আয়নাবাজি দেখার সাধ!
সব সিনেমা বা শিল্পের সমালোচনা হয়। কিন্তু সিনেমা হল গুলোকে জাগিয়ে দেয়া সাম্প্র্রতিক বাংলা সিনেমা ‘আয়নাবাজি’র কোন নীতিবাচক সমালোচনা পাচ্ছি না । সবাই বলছে অসাধারন, সুন্দর ছবি। নায়ক-নায়িকার বিশেষ অঙ্গ দেখানো ছাড়াই নাকি ছবিটা পুরো সময় দশর্র্কদের উৎসুক ও মাৎ করে রাখে। বিষয়টি আয়নাবাজি দেখার আগ্র্রহ আরো বাড়িয়ে দিল।
আয়নাবাজি’র ট্র্রেলরগুলো দেখে, আমার মনে হচ্ছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে এটি একটি নতুন সংযোজন – বানিজিক ও ডিজিট্যল সিনেমা টেকনোলজির তেলেসমাতি আছে! নির্র্মাতা ‘অমিতাভ রেজা’ যেহেতু একজন দক্ষ বিজ্ঞাপন নিমর্র্াতা, স্বল্প সময়ে দর্শকের মন কিভাবে জয় করতে হয় সেটা নিশ্চয়ই তিনি জানেন; ব্যবহার করেছেন তার নিমর্র্ানে। নইলে মৃত হলদর্শক হঠাৎ উঠে সিনেমা হলে দৌড় দিত না!
মানবদেহ কল্পভূমি, যত্ন করলে রত্ন মিলে
‘মানবদেহ কল্প-ভূমি, যত্ন করলে রত্ন মিলে ।’ বাউল দর্শন ও জীবনযাপনের উপর ‘মাকি কাজুমী’র গাওয়া এই বাউল গানটি জাপানে রের্কড করেছিলাম। আশাকরি আপনারদের ভালো লাগবে। গানটি শাশ্বত বাউল দর্শন সম্পর্কে বিশেষ তথ্য বহন করে। গানটির প্রচলিত স্বরলিপি হলো –
” মানবদেহ কল্প-ভূমি
যত্ন করলে রত্ন মিলে ।
ভবে আসার আশা পূর্ণ হবে
শুভযোগে চাষ করিলে || …..
এই জমি তোর চোঁদ-পোয়,
ভগবানের কৃপায় গেল পাওয়া,
মন্ত্র-বীজে নে স্বজে,
গাছ হলে বীজ জন্মে মূলে ॥
কাছের মানুষ
মনের মানুষের কথা শুনেছেন। এবার কাছের মানুষের কথা শুনুন। বাউল সংগীতির জাপানী সংস্করণটি জাপানের নিগাতা শহরে কাজোয়া জেনজাই গেয়ে সবাইকে মোহিত করেছিলেন। আমি ১ লা নম্ভেম্বর, ২০১৫ সালে ভিডিও রের্কড করেছিলাম । ভিডিওটি এডিট করতে অনেক দেরী হয়ে গেল, দুঃখিত। আশাকরি গানটি আপনাদের ভালো লাগবে।
Japanese version of ‘Kacher Manush’ (The Nearest Being) baul song was sung by Kazuya Zenzai on 1st November, at Niigata, Japan. I was impressed to listen the deep hearten performance.
আমার জন্মদিন
I am glad, many friends sent birthday greetings. Inbox has been flooded. Still the greetings is coming. It is a nice moment. I am glad many persons love me. My children and wife are also preparing for a birthday cake party. I said, instead of cake, I want to enjoy my favorite Japanese food ‘shushi’. They agree to serve both shushi and cake.
সবাইকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা পাঠানো জন্য ধন্যবাদ । এত মানুষ আমাকে ভালোবাসে জেনে ধন্য। স্ত্রী-পুত্র-কন্যা কেক পাটি করার কথা বলেছে গতকাল । আমি বলেছি – কেক দরকার নাই। জাপানী প্রিয় খাবার – ‘সুসি’ অর্থাৎ কাঁচা মাছ খেতে চাই । দাম বেশী, তাই আবদারটা জন্মদিনেই করলাম, যাতে ফেলতে না পারে। তারা রাজি হয়েছে – কি আনন্দ ঘরে ঘরে!…
সুসির খাওয়ার অভিজ্ঞতা-ভিডিও: https://www.youtube.com/watch?v=4hz0B9wjWV4
আমরা মেরিন
বাংলাদেশে পুলিশ বা সেনারা কাউকে কাছে যেতে ডাকলে এখনো প্রায় সবার পিলা কেঁপে উঠে! আমিও ভয়ে জড়সড় হয়ে যাবো, “কি আবার করলাম, কোন বিপদেই না পড়ি”…ইত্যাদি মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক! কিন্ত জাপানে আমার উল্টো অভিজ্ঞতা হলো! সাদোর সাগর তৈরী বিশাল যুদ্ধ জাহাজ দাড়িয়ে আছে, দেখে ভয়ে প্রথম সামনে এগুতে চাইনি, কাচুমুচু করছিলাম! নৌবাহিনীর সদস্যগণ কাছে ডাকলো, সাদরে আমন্ত্রণ জানালো! কাছে গিয়ে বুঝলাম, কিছু একটার প্রদশর্নী হচ্ছে।
সেনারা জাহাজে সাধারণ মানুষকে স্বাগত জানিয়ে, বুঝাচ্ছে কিভাবে তারা জাহাজ চালায়, জাহাজে কি কি আছে, কিভাবে সমরাস্ত্র নিক্ষেপ করে শত্রুকে ঘায়েল করা হয় ইত্যাদি ! সঙ্গে পুত্র-কন্যা ছিল, তাই ভয়ে আস্তে আস্তে কমে গেল। নৌসেনারা তাদের এ্যাপন-টুপি পড়িয়ে বাচ্চাদের ছবি তুলতে উৎসাহ দিল। আমিও তুললাম, কিন্তু যুদ্ধে ব্যবহৃত শান্তিধর মোটর-বাইকে চড়ে! সবচেয়ে ভালো লাগলে ভয়ঙ্কর সব সমরাস্ত্র ( স্ম্ভবত মিসাইল) মাঝে সৈনিকদের অতিনরম ব্যবহার! দুই দেশের দুই আচারে আমি অবাক। জাপানের মতো বাংলাদেশে যদি এমনটা হতো কতই না ভালো হতো। জনগন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর মাঝে দূরত্ব কমে যেত!