Morning walk

Morning walk

এই বরফ শীতের ঠান্ডায় প্রাতঃভ্রমন শরীর ও প্রকৃতিকে এক করে দেয়। শান্তিতে শরীর-মন উল্লাসিত করে। মনেহয় – আসলেই মানুষ প্রকৃতির অংশ। বিশ্বভ্রমান্ড্রের কেন্দ্র!

My wife believes in a book more than me! Many years, I explained the benefits of morning walk for good health and getting much working time in the morning. But she did not motivated! She has workaholic habits, as the common nature of Japanese. Last week she read a book and changed. She reduced work in the night time. She may now understand, ‘Human being is the part of nature. To lead the healthy and cheerful happy life, one need to always touch of nature with unity as much as possible’. From yesterday she has started morning walks. This morning we enjoyed fresh winter air together with lovely daughter Anika.

জাগো হে পুরাতন প্রীতি

জাগো হে পুরাতন প্রীতি

‘ফুল নেবে না সুবাস’, ১৯৯৩ সালে, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ‍্যালয়ে লেখা আমার একটি গল্পের নাম। অপ্রকাশিত গল্পটি আজ পড়লাম! ক‍্যাম্পাসে রুমান্টিক প্রেম আমার নীবব-অন্তর্মুখী জীবনে আসেনি, করিনি! কিন্তু বন্ধুদের তিরিং-বিরিং এর আদলে খারাপ লিখতাম না!
 
আমি লেখালেখি ছেড়েছি, জিওলজি ছেড়েছি। বিশ্ববিদ‍্যালয় শেষে লেখালেখি একেবারেই করা হয়নি! শুধু পড়েছি, প্রতিষ্ঠা আর খ‍্যাতির পিছনে ঘুরছি। আজ বুঝলাম – আত্নার সঙ্গে সম্পর্কিত কোন কিছুই জিৎ করে, জোর করে ত‍্যাগ করা ঠিক না ।
 
লেখালেখি ও বিজ্ঞান, এই দু’টি বিষয় আমাকে অনেক দিয়েছে। সহজে কঠিন সব বিষয় রপ্ত করার অধ‍্যাবসায়ের অভ‍্যাস পেয়েছি এ দুবিষয়ে লেগে থাকার কারণে। কিন্তু গত ২০ বছর, তা স্বীকার করতে চাইনি। এখন প্রায়শঃ মনে হয় মাল্টিমিডিয়ার পাশাপাশি যদি লেখালেখি ও জিওলজি নিয়ে থাকতাম মন্দ হতো না ।
 
তাই বাড়ী ফেরার চিন্তা করছি। ‘সাইন্স জার্নালিজম, পরিবেশ বিষয়ে আরো বেশী কাজ করতে পারলে ভালো হবে। এবার বাংলাদেশ থেকে ‘লালচে রঙচটা’ পুরাতন পান্ডুলিপিগুলো নিয়ে আসেছি । দেখি কিছু করা যায় কিনা! পুরাতন প্রীতি আবার জাগানো যায় কিনা ।
আমার কুতুবগিরি!

আমার কুতুবগিরি!

২০-২৫ বছর আগে, ছাত্র জীবনে সুন্দরী সহপাঠী ও জুনিয়ারদের দেখলে, প্রেমে পড়ার ভয়ে আমার হাত-পা কাঁপতো! অনেক দূর দিয়ে হাটতাম! লুকিয়ে লুকিয়ে কবি কবি ভাব নিয়ে দেখতাম! ভাবখানা ছিল- নারীসঙ্গ সর্বনাশ! স্বরচিত আমার সেই রম‍্য নাটক, লাজুক ও অন্তমুখী চরিত্রে বন্ধুরা হাসতো! এখন আমি হাসি- অনেক জটিল কুতুব ছিলাম।

দিনের সাথে সাথে, আমার সেই কুতুবগিরি চলে গেছে। দেশ-বিদেশের ভিন্ন কালচারের প্রতি ভালোবাসা, নানান জাতের মানুষ সাথে বন্ধুত্ব আমাকে মানুষ করেছে! হাত-পায়ের কাঁপেনি থামিয়েছে! কিন্তু হৃদয়ের কাঁপনি কি থেমেছে? এবার রিইউনিয়নে জাহাঙ্গীরনগরের ক‍্যম্পাসে অনেক পরিচিতাদের দেখা হলো, কথা হলো, ছবি তুললাম! কিন্তু হাত কাঁপেনি!

“যৌবনে “আমি আপনার প্রেমে পড়েছিলাম।..” কপোট্রনিক প্রেমিকাদের একথা বলতে চেয়েও বললাম না! অনুমতির পর, ভালোবাসা মাখা ছবি তোলা দেখে এই পরিচিতা দু’জন হাসিলো । তাদের রহস‍্যময় হাসিতে, আমার বুকের ভেতর কেমন যেন একটা মোচড় দিয়েছিল!…

জাপানে ট্যাক্স দেওয়া ভারি মজার !

জাপানে ট্যাক্স দেওয়া ভারি মজার !

বিদেশে যাওয়ার পর প্রায় সবারই, বিশেষ করে বাঙালির দেশপ্রেমের মাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে যায়। সবার বেলায় যা হয়, আমার বেলাতেও তাই হয়েছে।

জাপানে আসার পর থেকে দেশ নিয়ে আমার স্বপ্ন ও অভিযোগের শেষ নেই। সব ক্ষেত্রেই দুই দেশের বাস্তবতার সঙ্গে তুলনা করি ! কেন বাংলাদেশ উন্নত হবে না ! জাপানের চেয়ে আমাদের প্রাকৃতিক সম্পদ বেশি, জনসম্পদ বেশি, আমরাও তো এদের মতো মানবিক ও কর্মঠ? কী আমাদের সমস্যা! কীভাবে অতিক্রম করা যায়! ইত্যাদি।

জাপান ও বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় ৫০ গুণ তফাৎ দেখে আমি মাথা চুলকাই। নিজের প্রতি নিজে অভিযোগ করে কষ্ট পাই, বাংলাদেশ কী পারবে এই স্কেলে আসতে!

জাপানি ও বাংলাদেশিদের ব্যবসার ধরণ, সেবার মান মাথায় রেখে যখন আয়ের পরিমাণ তুলনা করি, তখন মাথা নত হয়ে যায়। আসলেই এরা অনেকগুণ এগিয়ে।

ধিক্কারে কষ্ট কমে না, পদে পদে মনে হয়- বাংলাদেশের মানুষ, ব্যবসা ও সেবা ঠিকমত বোঝেন না। বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ,অথচ অধিকাংশই এটাকে সহজ ও সুন্দর করতে পারেন না। এমনকি করার ইচ্ছাও আছে বলে মনে হয় না। কিন্তু লাভের অংশ সবাই চায় পুরোটা।
বিষয়টি আরও পরিষ্কার হলো, যখন আমি সকালে অতি সহজে জাপানি-ট্যাক্স দিয়ে আসলাম ‘সেইভ অন’ নামের একটি বেসরকারি শপে গিয়ে। সিটি অফিস থেকে পোস্টে পাঠানো ফরমে নিজেই নিজের আয়, সহজ অঙ্কে ট্যাক্স হিসাব করে দিয়ে আসলাম।

কেউ ভয় দেখালো না, কোন ঝামেলা নেই। পুরো টাকা সঠিকভাবে সরকারের খাতায় চলে যাবে। সঠিক খাতে, সঠিকভাবে ব্যয় হবে। আমি অবসরে (৬৫ বছর বয়সের বেশি) বিদেশি হওয়ার পরও ইন্সুরেন্স-পেনশনের পাওনা ঠিকভাবে পেয়ে যাব। কোন ঘুষ বা তদবির লাগবে না।

অথচ বাংলাদেশে ট্যাক্স দিতে কতই না ঝামেলা! প্রতিবার যেতে হয় নির্দিষ্ট অফিসে, নির্দিষ্ট অফিসারের কাছে, তাও আবার উকিল বা দালাল-কনসালটেন্সি ফার্মের মাধ্যমে। এই সহজ কাজটি বাংলাদেশে উকিল সাহেবরা কীভাবে গুপ্তভাবে করেন, তা আজও বুঝি না। দেশের আয় ও জনগণের স্বস্তি বাড়ানোর চিন্তায় পুরো প্রক্রিয়াটাই যেন অলস।

আমি বুঝি না ভ্যাট-ট্যাক্স দিতে অফিসে যেতে হবে কেন? পোস্ট অফিসের মাধ্যমে বা নির্দিষ্ট দোকানে গিয়ে জাপানের মত সহজে দেওয়া যায় না?

ভ্যাট-ট্যাক্স দেওয়ার পরও কেন বাংলাদেশে ট্যাক্স-পেয়াররা সুবিধা পায় না? শুনেছি বৃদ্ধ বয়সেও নাকি কেউ কিছুই পায় না। প্রত্যক্ষ সেবা না দিয়ে ব্যবসা করার রীতিটা বাংলাদেশের রাখা ঠিক নয়। ‘সেবা ও গ্রহণ’ এই নীতি চালু করতে পারলে আমি নিশ্চিত, বাংলাদেশে ব্যবসায় সফলতা আসবে।

বাংলাদেশেও আমি ট্যাক্স দেই- উৎস কর। আগে উকিল সাহেবের মাধ্যমে দিতাম। একদিন উকিল মিয়া আমাকে বলে, “স্যার, আপনি এত ট্যাক্স দেন, অফিস থেকে তো সন্দেহ করবে। আপনি বিদেশে থাকেন। হয়তো ভাববে, আপনার অনেক কালো টাকা আছে।”

উকিল সাহেবের কথায় আমার রাগ হয়েছিল। পরে আমার সহকারী বলেছেন,”উকিল সাহেব আপনাকে ভয় দেখিয়ে বাড়তি কিছু আদায়ের চেষ্টা করছিলেন।”

এরপর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে, কর-মেলায় রির্টান জমা দেওয়া শুরু করি। হঠাৎ সত্যিই একদিন এক চাপ-দাড়িওয়ালা অফিসার আমাকে ধরে ফেললো, “এই সাহেব, এত ট্যাক্স দেন কেন? আপনার অনেক টেকা আছে মনে হয়। স্যারেরা তো আপনাকে ধরবো।

এই নেন আমার ভিজিটিং কার্ড, অফিসে আইসেন।চা-নাস্তা খাওয়ার কিছু টাকা দিয়েন, সব ঠিক কইরা দিমুনে। ট্যাক্সের পরিমাণ কমাইয়া দিমুনে।কোন ঝামেলা হইবো না।”

আমি তো শুনে হতবাক ! যিনি আমার কাছ থেকে ট্যাক্স আদায় করবেন,আর উনিই আমাকে বলছেন কমিয়ে দিবেন ! হায়রে সরকারি ব্যবসা, লাভের খাতায় শূন্য।

বাংলাদেশে ১২ বছর কাজ করেছেন, এমন এক জাপানি উন্নয়নকর্মী বন্ধুকে বিষয়টি বললাম।সে বললো, “এখন বুঝেছো জাপান কেন উন্নত? কেন মাথাপিছু ৫০ হাজার আয়, কেন আমরা বিশ্ব ব্যাংক থেকে টাকা নেই না? তোমাদের সরকার তো মানুষের কাজ থেকে টাকা নিতে চায় না।

“আমরা শতভাগ মানুষ ট্যাক্স দেই। পদে পদে উৎসাহ পাই। সহজ সব নিয়ম। মানুষকে সুবিধা না দিলে ব্যবসা ভালো হয় না।”

আমি একটু তর্ক করতে চাইলাম। সে থামিয়ে দিয়ে বললো, “তোমরা যেভাবে চল, তোমাদের দেশের অফিসাররা যেভাবে সেবা দেন, ট্যাক্স নেন, অনিশ্চয়তায় তহবিলে রাখে, সেভাবে চললে জাপান পাঁচ-দশ বছরের মাথায় গরীব হয়ে যাবে। যদি পারো, এ নিয়ে লিখো।”

জাপানি বন্ধুর সেই কথায় এই লেখা লিখলাম। তাকে উৎসর্গ করলাম। একটাই প্রত্যাশা- বাংলাদেশের ভ্যাট-ট্যাক্স প্রক্রিয়া সহজ, সুন্দর ও স্বচ্ছ হোক।

—————————————————————
বিঃদ্রঃ – বিডিনিউজ২৪ এ প্রকাশিত/ ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৬

জাপানে বাবুর্চি হওয়ার স্বপ্ন

জাপানে বাবুর্চি হওয়ার স্বপ্ন

শরম ও ভয়ের কথা – আমার পুএধন ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হতে চায় না। তার জীবনের লক্ষ‍্য দোকানদার হওয়া, পাচক হওয়া! সুন্দর সুন্দর কেক বানাবে, কেক বানানো শেখার জন‍্য ফ্রান্সে পড়তে যাবে । এমন কেক আর খাবার বানাবে, সারা জাপানে নাকি আর কেউ বানাতে পারবে না! রাজবাড়ীতে থেকেও নাকি অর্ডার আসবে।…

আগে ভাবছিলাম সে মজা করেছে। এখন দেখি হাচাহাচা! এই বয়সেই সে রান্না করে, খাবারের বই পড়ে! গত মাসে পড়েছে পৃথিবীর বিখ‍্যাত ১০০০ খাবারের বই! ইয়া বড়, আমি তো দেখে হতবাক! ছেলের ইচ্ছামত মা’ও রাজি! আমার অবস্থা এখন ডাঙ্গায় জ‍্যান্ত পুটি মাছের মত!

আমি বললাম, পাচক কেন হতে চাও। সে বলে – মানুষকে ভালো খাবার খাইয়ে আনন্দ দিতে চাই।

আমি বললাম, তুমি তো গরীব থাকবা। সে বলে,
তুমি তো কিছুই জাননা দেখছি। এটা বাংলাদেশ না জাপান! এখানে ভালো খাবার ওয়ালা বিলিয়নিয়ারও হয়! অনেক সম্মানীও হয়, কেউ ছোট মনে করে না।

পুত্রের আস্থায় আমার টনক নড়লো – সত‍্যিই তো, টনি মিয়ার মত বাবুর্চি  হতে পারলে খারাপ কি? শুনেছি বাংলাদেশে নাকি এক দক্ষ ও ধনী বাবুর্চিকে পাচকগিরি ছাড়তে হয়েছিল বিয়ে করার জন‍্য! কন‍্যাপক্ষের এককথা, ছেলে সব পছন্দ কিন্তু বিয়ে করতে হলে বাবুর্চিগিরি করা যাবে না।

বাংলাদেশে বাবুচর্ির রান্না খাইতে মজা, কিন্তু বিয়া করতে সাজা! কন‍্যাপক্ষ ঘুষখোর, সুদখোর, চোর, বদমাইশের কাছে বিয়ে দিতে রাজী; কিন্তু স‍ৎ, নামী ও দক্ষ বাবুচর্ি’র কাছে বিয়া দিতে রাজী না। সাউথ এশিয়ায় দেশগুলোতে হয়তো একই অবস্থা। কিন্তু জাপানের অবস্থা ভিন্ন। সবাই শিক্ষিত ও ভালো রোজগার করে। সব পেশার মর্যাদা সমান। ছেলে সৎ হয়, বিয়ের সমস‍্যা হয় না।