হিমালয় ও আমার উন্থান।

হিমালয় ও আমার উন্থান।

‘হিমালয়ের উন্থান’ প্রাচীন কালের আমার একটি লেখা, জাপানি যৌতুক ও ভালোবাসার পাহাড়।

১৯৯৭ সাল, যে যুগে আমার ল‍্যাপটপ ও আইফোন ছিল না, সে যুগের আমার একটি লেখা- ‘হিমালয়ের উন্থান’। পুরাতন পান্ডুলিপি’র গাট্টিতে আজ পেপার কাটিংটি খুঁজে পেলাম।

লেখাটি ছাপা হয়েছিল মুক্তকষ্ঠে , ১৯৯৭, ১৫ সেপ্টেম্বর। তখনো আমার প্রাণে বিশ্বাস ছিল, আমি লেখক হতে পারবো। বিশ্ববিদ‍্যালয়ের লেখাপড়া শেষে, ভূবিজ্ঞান পড়েও বিজ্ঞানী হতে মন চায়নি। কেরিয়ারিষ্ট না হয়ে, গান্ধীজি-ফুকুওকা’র মত অলটারনেটিভ হওয়ার দারুণ সাহস দেখিয়েছিলাম। টানা পাঁচ বছর লেখালেখির চেষ্টা করেও যখন দেখলাম – ৫০০০ হাজার টাকাও রোজগার হয়নি। চাকুরি-বাকরির খবর নাই । তখন বুঝলাম এপথে আর থাকা যাবে না। আব্বা-আম্মার চরম বকাবকিতে লেখালেখি ছাড়লাম, কাগজ-কলম ছেড়ে মাউস-প‍্যাড ধরলাম, মাল্টিমিডিয়া ডিজাইনে মন দিলাম, বিয়ে করার চিন্তা শুরু করলাম। ভাবতে শিখলাম,
– ‘সংসার ধর্ম, পরম ধর্ম’! জীবন- সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না আর ভালোবাসায় ভর্তি। এবার সংসার শুরু করতেই হবে।

কিন্তু ইত‍্যিমধ‍্যে সাত বছর পার হযে গেছে। পরিচিত সব সুন্দরীর বিয়ে হয়ে গেছে। জুনিয়র যারা খালি ছিল, তারাও চিনেও না চেনা, না চেনার ভান করতো। পরে কারণটা বুঝলাম,

কারণটা অনেকাংশে অর্থনৈতিক। গায়ের বঙ্গবাজারের কমদামের টিশার্ট’, চোখে সানগ্লাস নাই, হেঁটে গেলে সুগন্ধির ভুরভুরি না ঝরা, তাই হয়তো কেউ রাজি হয়নি। আগ্রহ দেখায় নি, এমনকি গররাজিও না।

সবচেয়ে বড় কষ্ট – একটি রিজিওনাল এনজিওতে জান-কোরবান ভলেন্টিয়ার ছিলাম। শত শত সুন্দরীর আনাগোনা ছিল সেখানে। নিয়মিত রুমান্টিক গল্প শুনতাম, উল্লাসিত ও উত্তেজিত হতাম। সবাই আমার চরিত্র সততা, কাজে দক্ষতা ও একাগ্রতার প্রশংসা করতো – কিন্তু একজন বাঙালী নারীও বলেনি – আই লাভ ইউ।

বাংলার নারীদের পছন্দ শেষমেষ বুঝেছিলাম। ভালো ছাত্র ও ভালো চরিত্রে অধিকারী হলেই যে ভালো বাঙালি বউ পাওয়া যায় না – তার প্রমান আমি। ১৬বছর শিক্ষা জীবনে ৯বার ক্লাসে প্রথম হয়েছি, চেহেরা হিরোদের মত না হলেও খারাপ না, জীবনে কোন চুরি-ডাকাতি, গুন্ডমি-বদমাইশি করি নাই, সে দিকে কোন বাঙালি সুন্দরী চোখ যায়নি, চোখ গিয়েছে আমার নিলামী শার্টের পকেটের দিকে।

স্বেচ্ছায় দারিদ্রতা প্রহন মহামতি-মানবদের জীবনে গ্রহনীয় হলেও, সাধারণ জীবনে নয়। মহামতি ষ্টাইলে জীবন-যাপন-দর্শন থাকার পরও, বাঙালি নারীদের প্রফেশন‍্যাল ভালোবাসার বলয়ে ঢুকতে না পারার এত ভালোবাসা হীনতা, এত ব‍্যর্থতা, এত অবহেলাতেও আমার মন খারাপ হয়নি। দিন দিন বিয়ে ও সংসার নিয়ে আমার ধারণা পাল্টাতে শুরু করলো – বিয়েশাদী যত না রুমান্টিক ভালোবাসা, তার চেয়ে বেশী অর্থনৈতিক।

আল্লাহ’র কি লীলা। যখন বাঙালি ললনারা বেরাজি, তখন দূরপ্রাচ‍্য থেকে জাপানি সুন্দরী আমার লাগি ঢাকায় হাজির। অল্প কয়েকদিন একলগে খিচুরী খেয়েই বিনা যৌতুকে বিয়ে করে ফেললাম। জীবনে প্রেম আসার সাথে সাথে আমার লেখালেখির প্রেমও চলে গেল, মাল্টিমিডিয়া প্রফেশ‍ন‍্যাল হওয়া দরজা খুলে গেল, রোজগার শুরু হলো ।

আমি বরাবরি লোভ ও যৌতুক বিরোধী। তারপরও বাঙালির স্বভাব মত গোপনে ভেবেছিলাম- জাপানি বিয়ে করলাম। বিরাট ধনী দেশের মানুষ। এবার সাত বছরের বেকার জীবনের রোজগারের উসলটা মিটে যাবে। এক লাফে বিলিয়নিয়ার হযে যাবো। তার আর হলো না !
– অভাবা যে দিকে তাকায়, সেদিকে সাগরও শুকায়।

সবেমাত্র বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন করছি, কমদানের রেস্টুরেন্টে নতুন বউকে নিয়ে তেহারি-বিরানী খাই। একদিন সুন্দরী বলে,
– আপনার তো এখন টাকা নেই। এক বছর আমি জাপানে কাজ করতে চাই। রোজগারের পর সংসার শুরু করবো। কি বলেন?
আমি নীমরাজি হয়ে বললাম – ঠিক আছে, যা ভালো তাই করেন, আমার ভিন্নমত নাই।

নতুন বউ জাপানে চলে আসলো। বউয়ের অনুপস্থিতিতে মোহাম্মদপুরে মেছের বিছানায় শুয়ে শুয়ে ভাবতাম। বউ আমার জাপানে কাজ করেছে। বেতন মাসে অন্ততঃ দুই-তিন লাখ তো হবেই । এবার আমার বিলিয়ন হওয়া পথ কেউ আটকাতে পারবে না। এক বছর পর, ঢাকায় স্থায়ীভাবে যাওয়ার আগে বউ আমার জিজ্ঞাসা করে,
– আপনার জন‍্য জাপান থেকে কি আনবো?
যৌতুক হতে পারে, তাই আমি কিছুতেই রাজি হলাম না। বললাম,
– আমার জন‍্য কিছু লাগবো না। আপনি চলে আসেন। আমার তো এখন দৃকে চাকুরি আছে। বেতন কম হলেও, খারাপ না, চলা যাবে।

দৃকে যোগদানের পরের থেকেই ফটো্গ্রাফার হবার- আমার ‘সুপ্ত ভাবনা’টা জাগ্রত হয়েছিল। কিন্তু প্রফেশ‍ন‍্যাল ক‍্যামেরা কিনা সামর্থ‍্য ছিল না। তাই কাউকে নিজের স্বপ্নের কথা বলতাম না। বলতাম – আমার কাজের এরিয়া মাল্টিমিডিয়া ডিজাইন, এই লাইনেই থাকতে চাই।

প্রায়শঃ মনে মনে ভাবতাম, জাপান থেকে বউ যদি একটা ক‍্যামেরা আর ল‍‍্যাপটপ আনতো ভালোই হতো।
একবছর পর- বিমান বন্দরে বউকে রিসিভ করার সময়, অনেকগুলো ব‍্যাগ থেকে একটা সুন্দর ব‍্যাগ আমার হাতে ধরিয়ে বলে,
– এটা আপনার জন‍্য। এখানে একটি ডিজিট‍্যাল ক‍্যামেরা আছে – সনি সিডিক‍্যাম, আর একটি হিটাচি ল‍্যাপটপ ।
কথাটা শুনে, আমি যেন ভালোবাসার চাঁদ হাতে পেয়েছিলাম। মনে আমার আনন্দ যেন আর ধরেনি। নতুন বউয়ের চেয়ে , ব্যাগটাকে আপন ও কাছে মনে হচ্ছিলো।

জাপানিকে বিয়ের পর শুরু হযেছিল আরেক ঝামেলা। রাস্তায় হাত ধরাধরি করে হাটলে, অপরিচিতরা জাপানি ললনার জামাই হিসাবে বিশ্বাস করতে চাইতো না, ভাবতো- আমি টুরিষ্টগাইড। আর পরিচিতিরা কেউ কেউ ভাবতো- আমি ধর্মান্তরিত হয়ে গেছি, খৃষ্টান হয়ে বিদেশী বিবাহ করেছি।আবার কেউ ভাবতো- আমি একজন চুড়ান্ত লোভি মানুষ। ঠোঁটকাটা বন্ধুরা বলেই ফেলতো- জাপানি তো বাগাইলা, জাপানে যাবা করে? ভাবখানা ছিল এমন – বিদেশী বিবাহ মানেই যেন দেশান্তরি। বিদেশী বিবাহ মানেই খৃষ্টান্তর। লোকজনকে তো বুঝিয়ে কুল-কিনারা শেষ করতে পারতাম না- জাপান খৃষ্টানদের দেশ না, বুদিষ্ট-সিন্তদের দেশ।

বউ আসার পর কিছুদিন আনন্দে কাটলো দুইমাস যাওয়র পরও জাপানি কোন টাকা দেয় না, টাকার কথাও বলে না। শরম কেটে যাওয়র পর বললাম,
– কত টাকা এনেছেন?
– কিসের টাকা?
– সংসার চালানো টাকা আনেন নাই?
– না, আপনার ক‍্যামেরা, ল‍্যাপটপ, আত্নীয়দের উপহার, বিমানের টিকেট আর কিছু বই-পত্র কিনেতেই সব শেষ হয়ে গেছে।
বিস্মিত হয়ে বললাম
– বলেন কি, তাই নাকি? তাহলে এখন কিভাবে সংসার চলাবেন? আপনি জাপানি মানুষ, আমার অল্প বেতনে কি আপনাকে লালন-পালন করতে পাররো? কম দামের বাসায় তো থাকা যাবে না, সিকিওরিটি ব‍্যাপার আছে না?

বউ অবাক করে বলে,
– কম দামের বাসায় আমি থাকতে পারবো , পারবেন না কেন? বাংলাদেশের সবাই থাকতে পারলে আপনিও পারবেন।
– আপনি তো বাঙালি বউ না। জাপানি, যেখানে সেখানে কি রাখা যাবে?
– আরে না, কেউ জিজ্ঞালে বলবো, আমি জাপানি না, চাকমা। দেখতে তো একই রকম।
– সবই বুঝলাম, তাহলে একটা বছর সেপারেট থেকে লাভটা কি হইলো?
– সারাজীবন টিকবেন কিনা একটু টেষ্ট করলাম। জাপানে যাওয়ার লোভে, ইয়েন পাওয়া লোভে বিয়ে করেছেন কিনা, টেষ্ট করলাম
– কি বুঝলেন?
– আপনি পাশ, ফাস্ট ক্লাস ফাষ্ট! লোভ নাই।
এ বলে কাছে আসে, রুমান্টিক হাসিতে হাসে।

যেমন কথা তেমন কাজ। ঠিক তাই হলো দশ বছর জাপানি – বাঙালি হয়ে, চাকমা নারীদের লুঙ্গি পড়ে ঢাকায় কাটিয়ে দিল।
আমিও মন থেকে মুছে ফেলেছিলাম – আমার বউ জাপানি। বাঙালি যুগলদের মত -দু’জনে বাংলা কথা বলতাম, হাত দিয়ে ঝাল ভাত খেতাম। যখন তখন মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারে যাওয়ার ছলে রিক্সপ্রেম করতাম। বাজারের সব দোকানদার আমাদের চিনতো। রিক্সা থেকে নামার সাথে সাথে সবজিওয়ালা, মুরগীওয়ালা ডাকাডাকি শুরু করে দিতে।
– মামা মামাী আর আমার এখান থেকে জিনিষ নিবেন।

এভাবেই শুরু হয়েছিল আমার জীবনোপন‍্যাসের নতুন পর্ব।

সাদো, জাপান
১৮ই আগষ্ঠ, ২০২২

সাহসী হিরো আলম – জিরো যখন হিরো

সাহসী হিরো আলম – জিরো যখন হিরো

বেশী মানুষকে আনন্দ দেয়া, বেশী মানুষের কাছে নিজের বিনোদনকে পৌঁছানোর বিচার বাংলাদেশে এ’দশকে তিনজন শিল্পী এগিয়ে। ১) হিবো আলম, ২) সেফু দা এবং ৩) এটিএনএ’র গায়ক মাহফুজ।

‘জিরো থেকে হিরো, হিরো থেকে জিরো’ হিরো আলমের এই ষ্ট্রোকহাঙ্গার ( খ‍্যাতিক্ষুধা, জাতেউঠার ক্ষুধা), বিষয়টা নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল না। আমার ফেইসবুক ষ্ট‍্যাটাসে, বন্ধু মোহাম্মদ জাহাঙ্গীরের ‘ব্রেইভ হিরো’ মন্ত্রব‍্যের সুত্রধরে আমার এই লেখা ।

আমি বলেছি – ভাইজান, আপনার মন্তব‍্যটা ক্ষুদ্র , কিন্তু বিরাট বড় গুরুত্ব লালন করে।এটা বাংলাদেশের বর্তমান মেইনষ্ট্রিম লেখক, শিল্পী ও সুশীলদের দরদের অনুরুপ। যারা নিজের অবস্থান রাখার জন‍্য সব রকমের ষড়যন্ত্র, ফন্দিফিকির করে, কোন আদর্শ-মতবাদের ধারধারে না, কিন্তু সমতার ও মানবাধীকারের কথা বলে সুশীলতা বড়াই করে।

আমি বন্ধুকে বিষয়টা বুঝানোর জন‍্য বলছি –
আমার নাম দিল্লির সম্রাট শাহজাহানের নামে নাম, আর আপনার নাম সম্রাট জাহাঙ্গীরের নামে নাম। মানবাধীকার ও একই মানবজাতির সদস‍্য হিসাবে, সম্রাটগণ ও আমাদের মাঝে কোন তফাৎ নেই। কিন্তু আমি বা আপনি যদি রাজার পোষাক পড়ে, অহংকারের সাথে রাস্তা দিয়ে ঘুরি, রাজকীয় সংলাপে ব‍্যবহার করি, আর বলি ‘আমরা সবাই রাজা’ বিষয়টা কেমন হবে?

ব‍্যাপারটা বিনোদনের দৃষ্টিতে মজার ও আর্কষনীয় হলেও ; মানুষ কিন্তু আমাদেরকে নিয়ে হাসাহাসি করবে! হয় পাগল বলবে, না হয় বন্ধুবান্ধব ও আত্নীয়রা আমাদেরকে নিয়ে বিব্রত বোধ করবে। আরো বিষয়টা জটিল হবে, যখন নিজের পাগলমী না বুঝে, অন‍্য সবাইকে আমরা পাগল বলতে শুরু করবো। অগ্রজ পরামর্শকদেরকে নিজের শত্রু ভাবতে শুরু করবো। …

হিরো আলম এমনি হাস‍্যকর ও অসভ‍্যতা চর্চা করেছে প্রতিদিন। তাকে অভিনেতা বা শিল্পী মানাতে আমার কোন সমস‍্যা নেই। টেলিসামাদ, সাইফুদ্দিন, রবিউল , কাজল সহ প্রমূখ কৌতুক অভিনেতাকে যদি আমরা মেনে নিতে পারি , তাকে মেনে নিতে আমাদের অবশ‍্যই সমস‍্যা নেই। প্রশ্ন হলো সে তার গন্ডিটা বুঝে না। হিরো ও শিল্পীর ভূমিকাটা বুঝে না।

আমার প্রশ্ন হলে – সে তার সীমা বুঝে না। যত্রতত্র সীমা অতিক্রম করে, একের পর এক বির্তকিত কাজ করে চলে! আলোচনায় থাকে, ভাড়ামি করে, নিজের ভিউ কেন্দ্রিক সস্তা জনপ্রিয়তা মানিটাইজের ব‍্যবসা তুঙ্গে রাখে , পকেট রমরমা করে। তাকে কেন আমরা ইন্টারটেইনার, মানিমেকার না বলে- হিরো বলবো?

কথায় কথায় সে চেহারা, আঞ্চলিকতার উচ্চারন নিয়ে হীনমন‍্যতা প্রকাশ করে। বিষয়টা আসলে তা নয়। অধিকাংশ মানুষের চেহেরা, বংশ ও যোগ‍্যতায় হিরো আলমের চেয়ে বেশী ভালো না। তবে আমরা প্রতিদিনের চেষ্টায় সেই সীমাবন্ধতা কাটিয়ে উঠি। হীনমন‍্যতা ভুগি না। চেষ্টা ও কাজ করে এগিয়ে যাই।

শুনতে মন্দ হলেও বলতে পারি – কাজ ও যোগ‍্যতার বিচারের, বাংলাদেশে তার মাসিক আয় ২০ হাজারের বেশী হবে না, কিন্তু সে মাসে ইউটিউব থেকেই মাসে ৮০ হাজার থেকে ৪ লাখ রোজগার করে। যা অভাবনীয়। আর্থিকভাবে সে বিরাট সফল, স্বচ্ছল। আর এর জন‍্যই হয়তো তার শরীর ও মাথ‍া সব সময় গরম থাকে।

শুধু সে না, আত্নজাতিক ক্ষেত্রেও অনেকে এমনটা করছেন। যেমন – জেলেনেস্কি করেছে। নিজের দেশের মানুষ মরছে, একটি শক্তিশালী দেশ তার দেশ গিলছে; আর মহাসিরিয়াস সে বিষয়টাকে সে তোয়াক্কা না করে – স্বস্ত্রীক ভোগের মডেল হচ্ছে। নিজ দেশের মানুষের জীবন-মরন সমসাকে কে হাস‍্যকার বলে, তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিতে চাচ্ছে।
কে কি ভাবছে, ভবিষতে কি হবে সেটা তার বিষয় না। নিজের কাজ করাই তার স্থিরলক্ষ‍্য।

একরোখা লক্ষ‍্য-মটিবেশন – আধ‍্যাত্নিক সাধনার জন‍্য আর্কষনীয় হলেও, বাস্তব জীবনের জন‍্য নয়। এই বিষয়টা অদৃশ‍্য সফলতায় পাগল- বিনোদনষ্টদের অধিকাংশই বুঝে না। তাই হয়তো মানসম্মান-দায়িত্ব না দেখে, গেইমের পর গেইম চালিয়ে যায। লাভ, স্ত্রী-পাটনার বদলো থেকে শুরু করে চুলকানির প্রকার করে। শিল্প চর্চার চেয়ে প্রপাগান্ড শোবিজ চালিয়ে যায়।

আমি যতদূর জানি – হিরো আলম এমন একজন মানুষ, স্কুল-কলেছে ঠিকমত লেখাপড়া করেনি, এখনো করে না! নিজেকে গড়ে তুলে না, এবং গড়ে তোলার ইচ্ছাও আপতত তার চরিত্রপ্রকাশে দেখা যাচ্ছে না। এমন একজন নিম্ন মানের মানুষকে শিল্পী হিসাবে কি গ্রহন করতে পারি?

আমি এক রিপোর্টে দেখেছি হিরো আলম বাউন্ডাইলে, ছ‍্যাবলা, একাধিক নারীর সাথে একসঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখে! মা-বাবা ও স্ত্রী-সন্তানের প্রতি বেসিক দায়িত্ব পালন করে না। ঠেডামি করে। মুখের উপর তর্ক করে, নিচুতার সাথে মাটিতে কথা পড়তে দেয় না, হেসে হেসে বিরোধে জড়ায়।

অনেকে বলে – তার দারিদ্রতা, কালো রঙ্গের চেহারা, সবদিকে থেকে নিম্নমান তাকে ব‍্যাঙ্গচরিত্র করে তুলেছে। সে নিজেকে এমন ভাবে প্রকাশ ও প্রতিষ্ঠিত করে, তার প্রতিটি কথাকে নিয়ে হাসাহাসি করা যায়।

আমি বিষয়টাকে ভিন্নভাবে দেখি, যদি সে আসলেই বদলাতে চায়, বদলে যেতে পাররে। অজো পড়াগায়ের আরজ আলী মাতাব্বর, মহামতি লালন, আমাদের প্রিয় নজরুল সহ অনেকে অল্পশিক্ষিত ছিলেন, বংশ ও চেহেরায় পরিচয়ে সালমানশাহ মত অভিজাত ছিলেন না, কিন্তু উনারা কেউ সীমা লঙ্গন করেননি। দক্ষতা ও সুশীলতার সাথে নিজেদেরকে উপস্থাপন করেছেন। যার কারণে আজো আমাদের তাদেরকে স্বরণ করি।

প্রেম, অভিনয়, ব‍্যবসা, গানে, অভিনয় এমনকি একটিভিজমেও সে প্রতাপ রাখতে চায়। যোগ‍্যতা নেই, কিন্তু সমান অধিকার দাবীর সুযোগে- রাজনীতির বেসিক যোগতা না থাকার পরও নির্বাচন করবে- নেতা, এমপি,মন্ত্রি হতে চাইবে। রবীন্দ্রসংগীত আর নরুজলগীতি’র মাঝে ব‍্যবধান করতে পারবে না, কিন্তু আত্নজার্তিক মিডিয়াতে বিভিন্ন ভাষায় গান গাইবে। শ্লীলতা ও অশ্লীলতা বুঝবে না , নিজেকে শিল্পী-সভ‍্য দাবী করবে। আইন-শৃঙ্লা বাহিনীর পরামর্শ অগ্রাহ‍্য করে, গান গাইবে-বেডাগিরি দেখাবে- এটা আসলেই ঠিক না। আমি মনেকরি একটা – অপরাধ। ভাবখানা এমন – আমার যা ইচ্ছা, তাই আমি করুম। তোরা কি পারবি, করিস।

কিছু সভ‍্য মানুষের মানবিক দরদ ও নীরবতাকে – সে হয়তো সমর্থন মনে করে ।

আমি ব‍্যক্তিগত ভাবে মনেকরি – হিরো সাহেব মানসিক রোগে আক্রান্ত, প্রতিমুহুর্তে ভালোবাসাহীনতায় ভূগে । উল্টোপাল্টা কিছু একটা করা জ‍ন‍্য তার হাত-মুখ সবসময় উসপিস করে। যে উসপিসটা মানুষের জন‍্য উৎপাৎ। স্বভাটা ইউটিউব মানিটাইজের জন‍্য মহাযুতের। অস্বাভাবিক কুকর্ম কি- সে হয়তো বুঝে না, বা ইচ্ছাকৃত ভাবে নিয়মিত ভুল করে যায়। তার বেসিক জ্ঞানবুঝ না আসা পর্যন্ত – আমি মনেকরি, তার মানসিক শুদ্ধতার জন‍্য মনোচিকিৎসার ও সুশিক্ষার আওতায় রাখা উচিত। তার সকল সোস‍্যাল মিডিয়ার আইডি বাধ‍্যতামূলকভাবে, মেন্ডালষ্ট্রোক ঠিক না হওযা পর্যন্ত- স্থগিত করা উচিত।

শুধু হিরো আলম না – অনেক আলম এখন আমাদেরকে অযথা উৎপাত করে । এই উল্টোদৌড়ে অনন্ত-বর্ষা, সেফুদা, গায়ক মাহফুস, পরিমনি, গালিবাজ হুজুর, নজি ওসমান, ভিউখেকো ও লাইক খেকো ব্লগারা কম এগিয়ে নয়। এরা সবাই নিম্নমানের কাজ করে, উচ্চমানের বাহাবা ও ফল পেতে মশগুল।

যাইহোক সবশেষে বলতে চাই – নিজের ক্ষতি করে, আমরা শরম ছাড়া হতে পারি। এই পথ সবার জন‍্য খোলা। কিন্তু প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে আমরা অন‍্যদেরকে নেংটা করতে পারি না। অন‍্যের মানসিক, শারীরিক ও আর্থিক ক্ষতি করতে পারি না। অন‍্যের মহামূল‍্যবাদ সময় নষ্ট করতে পারি না।

শিক্ষা বিস্তার, বিনোদনের সাথে সভ‍্যতা ও উন্নয়ন আমাদের লক্ষ‍্য। সোসাল মিডিয়া ব‍্যবহার করে, আনসোস‍্যাল চর্চা কর- অসভ‍্যতাকে সভ‍্যতার সাথে মিশিয়ে ফেলার অধিকার করো নেঈ। এভাবে নিজের নিজের সুশীল অবস্থান গড়া যায় না।

ব‍্যক্তিগত ভাবে আমার মনেহয়। :
হিরো আলম নিজে বেশ সচেতন। নিজের কোয়ালিটি সে জানে ও বুঝে, তাই সে নিজেকে সুপিরিওরিটির আবেগে ভাসায়। নিজেকে শেষ্ঠ ও সঠিক দাবী করে। মনোদর্শনে একটি কথা আছে

Superiority is the manifestation of interiority.
“শ্রেষ্ঠত্ব হল অভ্যন্তরীণ দূর্বলতার বহিঃপ্রকাশ।

আমার এককথা – মানুষ হিসাবে আমরা সবাই সব কিছু করতে পারি। কিন্তু সবার সব কিছু করা উচিত না। এতে মুল‍্যবান জিনিষের মূল‍্য নষ্ট হয়। বিশেষ করে সাহিত‍্য ও সংস্কৃতির।

জাপানিদের গোপনকথা

জাপানিদের গোপনকথা

সব সময়ই জাপানিদের প্রশংসা করতে করতে সব বাঙালিদের মত আমিও অনেকটা হয়রান। বাশার স‍্যারের পোষ্টের সূত্রধরে আজ বিষয়টা নিয়ে একটু চিন্তা করে নিজের মনে লুকিয়ে থাকা অভিজ্ঞতা গুলো খুঁজে পেলাম।
যারা স্বল্পমেয়াদে টুরিজম বা সেমিনার ভিজিটে জাপানে আসেন, তাদের কাছে জাপানকে স্বর্গ মনে হয়। জাপানিদেরকে এঞ্জেল মনে হবে। স্বল্পভাষিতা মানে বিনয়, গাড়ি-বাড়ি-নারীতে পরিপাটিতা, রোবটের মত সময় সচেতনতা দেখলে – এটা ভাবাই স্বাভাবিক।

২০০৫ সালে আমি যখন প্রথম জাপানি আসি, আসার আগে ভাবতাম ‘জাপান হয়তো হবে – ষ্টারটেক বা গেইম ওর্যাল্ডের মত উন্নত। এসে দেখি, মুক্তাগাছার মারুয়ারীপট্টি, আর গ্রামগুলো মুজাটি গ্রামের মতই।
দ্বীর্ঘমেয়াদে জাপানে থাকলে সবারই অন‍্যরকম, আসল অভিজ্ঞতা হয়। যে বিষয়গুলো প্রথমে দৃষ্টি কাড়ে, কষ্ট দেয়

১) এরা মহাকিপটা । মরে গেলেও এক ইয়েনও দান করে না, কাউকে ধার দেয় না। নির্দয়, হৃদয়হীন। ভিক্ষা-দান তো পরের কথা; মা-বাবাকেও টাকা দিলেও বলে,
– কবে ফেরত দিবা? আত্নকেন্দ্রিক বললে কম বলা হবে, স্বার্থপর বললে বেশী বলা হবে না।

২) জাপানে প্রকাশ‍্য ছোট ছোট দূর্নীতি নাই, এটা সত‍্য। তবে বড় বড় কর্পোরেট ঠিকই দাইন মারে, যার বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ নেই। অফিসিয়াল সহজ কাজেও মহা ঝামেলাময় আমলাতান্ত্রিক জটিলতা আছে । যা অনেক সময় দূনীর্তির চেয়েও জটিল, বেশী কষ্ট দেয়! যার কারণে ইউরোপিয়ান ও আম্রিকানরা ব‍্যবসা বা চাকুরি করতে চায় না। জুত পায় না।

৩) এরা প্রিয়জনের সামনে কফি খায়, কিন্তু অফার করে না। এমন চরম স্বার্থপর, অভদ্র, মেনে নেয়া কষ্টকর! খরচ হবে বলে, প্রয়োজনের বাহিরে আড্ডা দেয় না, অতিব‍্যস্ততা দেখায়। বন্ধুর সংখ‍্যা বাড়াতে চায় না। শুনেছি ডেটিং এর সময়ও নাকি বয়ফ্রেন্ড , গার্লফ্রেন্ড যার যার বিল, সে সে দেয়। ( ডেটিং এর অভিজ্ঞতা আমার জাপানে নাই, তাই নিশ্চিত করতে পারলাম না, দুঃখিত! )

৪) প্রয়োজন শেষ হয়ে গেলে, প্রিয় বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডও চিনে না।

৫) মারামারি না করলেও, বর্ণবাদ না থাকলেও, ভিতরে ভিতরে এরা বিদেশীদের ঘৃণা করে, অদক্ষ মনে করে, সম্মানজনক কাজে সুযোগ ও নিয়োগ দিতে চায় না, দেয় না। এদের সরকারী অফিসে কোন ইমিগ্রেন্ড অফিসার আজো পাইনি। এমনকি ইন্টারন‍্যাশনাল- পাবলিক রিলেশন অফিসেও না। যা ইউরোপ-আম্রিকাতে অকল্পনীয়।
সব যোগ‍্যতা থাকার পরও, সব পরীক্ষা পর হবার পরও নাগরিকত্ব তো পরের কথা এজোক‍্যান ( স্থায়ী ভিসা) দিতে চায় না। অজানা কারণ দেখিয়ে আবেদন বাতিল করে দেয়। যা কানাডা, আম্রিকা সহ পশ্চিমা ও ইউরোপের মানববান্ধব দেশে অকল্পনীয়।

৬) ভাষার ব‍্যাপারে এরা ইস্পাত কঠিন। ইংরেজী পারলেও বলতে চায় না। ইন্টারন‍্যাশনাল হতে চায় না। বিদেশী দেখলে এরা ইংরেজী ভুলে যায়। আসল কথা হলো – বন্ধু হতে চায় না। গাইজিন, মানে বিদেশীদেরকে ঝামেলা মনে করে। ঝামেলা মুক্ত জীবন তো সুস্থ জীবন নয়। পুতুল জীবন আর মানুষের জীবনের মাঝে তফাৎটা এখানেই। অনেকাংশ জাপানি এই সহজ বিষয়টা বুঝতে চায় না । হয়তো এই কারণে এরা, নিজের অজান্তেই চরম একাকিত্বে ভুগে, সব পাবার পরও ভালোবাসাহীনতায় থাকে- দূর্বলচিত্তের জাপানিরা হিরিগিরি, আত্নহনন করে।

৭) সারাদিন বুঝানোর পরও বিকাল বেলায় একই কথা বলে । একেবারেই বদলাতে চায় না। নিজেদেরকে সঠিক মনেকরে। তবে ঝগড়া করে না। বড় জিনিষ দেখতে বা বুঝতে পারে না। ভিশন কম। যোগাযোগে খুবই দূর্বল! আমি বলি- জাপানিদের কমিউনিকেশন- শ্লো মিটিমিটি, হাসিহাসি কমিওনিকেশন। যা একেবারেই আরামপ্রদ না । একটা বললে আরেকটা বুঝে। দ্রুত রেসপন্স না করলেও, সময় মত ঝামেলা পাকিয়ে ফেলে। তাই আমি অনেক জাপানিকে মুক্তাগাছার ভাষায় বলি – ‘মিচকা শয়তান!’

৮) আধুনিক জাপানিরা বাড়িতে দাওয়াত দিতে চায় না। কারণটা অজ্ঞাত। সবচেয়ে বিব্রতকর বিষয় – বিদেশী দেখলেই এরা ভাবে, গাইজিন হয় প্রেম করতে বা লুট করতে জাপানে এসেছে। সবাইকে একই পাল্লায় মাপে।

৯) অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, জাপানিদের মত হয়ে গিয়েও, নাগরিকত্ব পাবার পরও, ৩০-৪০ বছর জাপানে থাকলেও বলে- ‘গাইজিন। (বিদেশী)’! বিদেশী দেখলে ভূতের সঙ্গে তুলনা করে বাচ্চাদেরকে মা’য়েরা ভয় দেখায়। বলে- ‘শিজুকানি, গাইজিন আবুনাই’। ( চুপ কর, বিদেশী- মাইর দিব/ বিপদজন বিদেশী )

১০) অধিকাংশ তরুণ-তরুণীরা উচ্চশিক্ষা গ্রহন করতে চায় না। একেবারে ভিশন নাই। ১২ ক্লাস পার করেও ভাবে লেখাপড়া শেষ। এবার মাস্তি করার পালা, কাজ করার সময়। সুখী না হয়েও, মনেমনে মনকলা খায়। একটুতেই খুশী হয়ে যায়।

বিশ্ববিদ‍্যালয়ের জীবন ব‍্যয়বহুল এই অজুহাতে, অধিকাংশই লেখাপড়া চুকিয়ে, কামলাগিরি আর লিভটুগেদার শুরু করে দেয়! দেখে লাজুক মনে হলেও, অধিকাংশ শহরে জাপানিদের লজ্জাশরম কম, যা মন চায় তাই করে।
পিএইচডি হোল্ডার আর কনষ্ট্রাকশন ওয়ারকার সবাইকে একই কামলা কাতারে এনে, জীবনের জয়গান, সমতার জয়গান গায়। নিজেদেরকে সমাজতন্ত্রিদের চেয়ে সভ‍্য প্রমান করতে চায়। উপরে উপরে এটা সুন্দর দেখালেও, ফলটা হয়ে যায় মাকালফল, দরকাচুরা!

১১) লেখাপড়া বেশী না করার কারণে, রাজনৈতিক সচেতন না হওয়ার কারণে- তিক্ষ্ন ও দায়িত্বশীল ব‍্যক্তিত্বের বিকাশ ঘটে না! জ্ঞান-দর্শনের অভাব, এবং সবক্ষেত্রেই নেতৃত্বের অনুপস্থিতি, আম্রিকাপ্রেম লক্ষণীয়।
এ যেন ঠিক বাংলাদেশের উল্টো । বাংলাদেশ সবাই নেতা হতে চায়, আর জাপানে সবাই কামলা/প্রজা হতে চায়। অন‍্যের বা সমাজের দায়িত্ব নিতে চায় না। ভাবে সমাজ সেবা – সরকারী অফিসারের কাজ। যা অনেকাংশে আপত্তিকর । ফলত সামাজিক জীবন স্থবীর হয়ে যায়। রাস্তাঘাট উন্নত হলেও, প্রকৃত মানবিক উন্নয়ন কম হয়।

১২) একজন মানুষ শিক্ষিত ও ধনী হলে, চকচকে গাড়িতে চড়লে, ব্রেন্ডের কাপড় চোপড় পড়লে, স্বল্পবাসী বিনয়ী ভাব দেখালেই যে ভদ্র ও সভ‍্য হয় না, তার প্রমান – জাপানের শহরের মানুষ। আর অশিক্ষিত, দরিদ্র ও অসচেতন হলেও যে একজন মানুষ ভদ্র ও সভ‍্য হয় তার প্রমান, বাংলাদেশের গ্রামের মানুষ।

১৩) তবে একটা সত‍্য- চুরি, ডাকাতি ও বাটপারি হয় না। বিদ‍্যুৎ যায় না। প্রতি বাড়িতে গরমপানি ও ঠান্ডাপানির ব‍্যবস্থা আছে। আইন খুব কড়া। হাকিম লড়ে তো হুকুম লড়ে না। তাই সৎ বা অসৎ কেউ আইন ভাঙ্গে না। আইনের ভয়ে যারা অতিচালাক, তারা অতি কৌশলে কোন প্রকার প্রমান না রেখে, আসল কাজটি করে ফেলে। ফলে ভুক্তভোগি হায়হায় করলেও, প্রমান না থাকার কারনে টু-শব্দ করতে পারে না।

১৪) আর তেমন বেশী কিচু খারাপ নাই। আমি মনেকরি উপরের বিষয়গুলো জাপানিরা অতিক্রম করতে পারলে, জাতীয়তাবাদিতার বদলে আন্তর্জাতিকবাদ চর্চ্চা শুরু করে, বাহিরে অন্তরে সমান করলে, জাপানির সত‍্যিকারে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জাতি হবে। এরা যা চায় তা করতে পরে। লক্ষনীয় বিষয়- গত কয়েক দশক ধরে এদের মাঝে চায়নাফোবিয়া কাজ করছে, আর আম্রিকান লাভুলাভু কাজ করেছে! যা ক্লোডওয়ার সময়ের রেশারেশির চেয়েও ক্ষতিকর, মারাত্নক।

১৫) সংক্ষেপে যদি বলি- দৃষ্টিকটু বিষয় গুলো হলো
– লাভ হোটেল, পিঙ্ক হোটেল, সিঙ্গেল মাদার, সিঙ্গেল ফাদার, পুরুষ পতিতা (আমি পুরুষ বা নারী সব রকমের পতিতাবৃত্তির রিরোধী), কথায় কথায় তালাক আর একদিনের পরিচয়েই ফুলশ‍য়‍্য খুবই দৃষ্টিকটু বিষয়। ব‍্যক্তিস্বতন্ত্রনা, আইন ও স্বাধীনতার কারণে এই বিষয়ে কেউ মুখ খোলে না।

১৬) সমাজনীতিতে নিজের বিষয় গুলো সচেতন মানুষের পক্ষে মানা কষ্টকর..

– এরা প্রতিদিন চাইনিজ স‍্যুপ খায়, চাইনিজ কাঞ্জিতে লিখে, চাইনিজ জিনিষ না হলে বাজারের ব‍্যাগ ভরে না, তারপরও বলে – চায়না খারাপ।

– মাথার উপর দুইটা বোমা মেরে, প্রায় ৩ লাখ মেরে ফেলেছে, তারপরও বলে আম্রিকা জিন্দাবাদ। আব্বা হুজুর জিন্দাবাদ।

– রাশিয়ার তেলগ‍্যাস না হলে চলে না, তারপরও বলে ইউক্রেন শ্রেষ্ঠ। জুসি ইউক্রেন যুদ্ধে সরাসরি সরব ও পক্ষ নিলেও; ইয়েমেন, ইরাক, লিবিয়া, সিরিয়া, আফগান ইত‍্যাদি যুদ্ধে, শুধু জাপান সকার না- পুরো জাতির মুখে কুলুপ ছিল।

– এক অদ্ভদ ব‍্যবস্থা। নিজের দেশের মানুষকে বেকার ভাতা বা প্রয়োজনীয় ভাতা দেয় না, কিন্তু অন‍্য দেশে দান করে, অযথা আম্রিকান সৈন‍্য পালে। ( কারোনার সময় জাপানিরা আড়াই বছরে,মাত্র ১৫ দিনের খরচ সহযোগীতা পেয়েছে। অথচ কানাডা-নিউজিল‍্যান্ড সহ ইউরোপের গরীব দেশের মানুষেরাও সারা বছর আপদকালীন ভাতা পেয়েছে। এদের সরকার অতীব ধনী, কিন্তু মানুষকে কার্যত অতীব গরীরবানা হালে চলতে বাধ‍্য করে। )

– এরা পশ্চিমাদের মত হতে চায়, কিন্তু ইংরেজী শিখে না। আন্তজার্তিক হতে চায় না। লেখাপড়া করতে চায় না। আমার মনেহয়- দর্শনশাস্ত্রে হয় এতের আগ্রহ নাই, না হয় বুঝে না, বা বুঝতে দেয়া হয় না। এরাবিয়ানদের মত – ‘প্রশ্ন’ করাকে এরা অপছন্দ করে। অঘোষিত অপরাধ মনেকরে। প্রতিবাদ ও সমালোচনা করলে এরা অল্পতেই কাতর ও পাথর হয়ে যায়।

বি.দ্র; যাইহোক, আমার আসছে ‘জাপান স্মৃতি, বাংলা প্রীতি’ বইয়ে এ বিষয়ে একটি অধ‍্যায় লিখবো । বিষয়গুলোকে আশাকরি সবাই গঠনমূলক দৃষ্টিতে দেখবেন। কোন কিছু ভুল বললে বা লিখলে আমার ব‍্যক্তিগত অভিজ্ঞতা হিসাবে নিবেন। বেয়াদবি নিবেন না

———
সাদো, জাপান
১২ জুলাই, ২০২২

মাস্তানি ও জমিদারীর দিন শেষ

মাস্তানি ও জমিদারীর দিন শেষ

মাস্তানি ও জমিদারীর দিন শেষ
😂😂
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বহুত তেলেসমাতির পর, চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে আম্রিকার প্রেসিডেন্ট ভাইদেনের লাভটকের পর; হোয়াইট হাউজ থেকে হাছা কোন প্রেসকনফারেন্স হয়নি। আম্রিকা-বৃটিশ ও ইউরোপিয়ানরা এখন অনেকটা চুপ, মুখে কুলুপ।

গনতান্ত্রিক ও তথাকথিত সুশীল সভ‍্য সাদাদের বিশ্বনাটক দেখে মহামতি অবাক। সবচেয়ে বেশী অবাক পশ্চিমা মিডিয়া ও কোম্পানিগুলোর স্ব-ইচ্ছায় সাটডাউন, নিজে নিজে পুংমারা খাওয়া ও সেলফ সেন্সশীপ দেখে। আশ্চর্যের বিষয় –

যুদ্ধ হয় ইউক্রেনে, আর নিউজ প্রকাশিত হয় লন্ডন ও ওয়াশিংটনে। আর পাপেট জিলিনেস্কি রাশিয়ার ধারাবাহিক কিলঘুষি খাওয়ার পরও বলে,
– আরেকটা মার, আরেকটা মার।… আরকেটা মারলে তোর নাক ফাটাইয়া দিমু, রাশিয়া।

– মাইর খাওয়া পাপেট জিলিনেস্কি পাশে কি আসলেই সুবিধাভোগি, সুবিধাবাদী মাস্তান আম্রিকা ও পশ্চিমারা আছে?
আমার তো মনেহয়, পুরো বিষয়টা আম্রিকার ষড়যন্ত্র। জেলেনেস্কিকে নাচাচ্ছে আসলে পূর্ব ইউরোপে অস্ত্রের রমরমা বানিজ‍্য করার জন‍্য, ইউক্রেনকে সাহায‍্য করার জন‍্য না।

মহামতি ভেবে কূল কিনারা পায় না, ইউক্রেন যদি নেটো ও ইইউ এর মেম্বার হয়, তারা কি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও সুখী মানুষ হয়ে যাবে? কোন কোয়ালিশনের মেম্বার হওয়া কি জাতে উঠা বা উন্নত হওয়ার সার্টিফিকেট? লিথুনিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, পোলেন্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ইত‍্যাদি সাবেক সোভিয়েত দেশগুলো তো এখন ইইউ’র মেম্বার, সোভিয়েত ভাঙ্গার পর তারা কি আসলেও তেমনটা উন্নত হয়েছে, যেমনটা চেয়েছিল? বাস্তব সত‍্য – হয়নি।

পুরো বিষয়টা নিয়ে চায়ের টেবিলে কবি শুদ্ধ ও মহামতি দু’জনেই মহাচিন্তিত। আদা চায়ে চুমুক দিয়ে কবি শুদ্ধ মহামতিকে বলে,
– মহামতি হারমাতিদের দিন শেষ । অস্ত্র, পর্ণ আর সফটওয়ার নির্মাতা আম্রিকানদের দিন শেষ। মানুষমারা যুদ্ধে আমি কষ্টে পেলেও, আম্রিকা আর পশ্চিমাদের মুক্তমঞ্চে লেডামারার দেখে আনন্দিত।
– কি রকম?
– মানুষ এখন বুঝে গেছে অস্ত্র ও সফটওয়ার খাওযা বা পড়ার জিনিষ না। এগুলো না থাকলেও মানুষের চলে। ভাত, খাবার তেল না থাকলে চলে না। ওরা অস্ত্র, চুমাচুমির সিনেমা, ক্রেডিটকার্ড আর সফটওয়ার ছাড়া এখন সব জিনিষ বানানো ভুলে গেছে।
– তাই নাকি?
– হ, সত্তরের দশকের পর থেকে আম্রিকার উৎপাদন আকাশমুখী, জীবনমুখী না। এতদিন অন‍্যের পণ‍্যে এটাসেটা করে, সারা দুনিয়ার মানুষকে ভয় ও লোভ দেখিয়ে, ব‍্যবসার তেলেসমাতির নামে অন‍্যের ভাড়াভাতে ভাগড়া দিয়ে চলেছে। এক অর্থে আম্রিকা আর পশ্চিমারা গরীব ও সর্বহারার সম্পদ ও সম্ভাবনা লুট করে ধনী হয়েছে। আর বোধহয় দুই নম্বরি করতে পারবে না।
– কি রকম? বুঝিয়ে বল
– অনেক বড় গল্প। সব কথার সারমর্ম, ওরা এখন বাংলাদেশের গার্মেন্টস্ অস্বীকার করলে কাপড় না পড়ে নেংটা থাকতে হবে। এখন ওরা মধ‍্যপ্রাচ‍্য ও রাশিয়ার তেলগ‍্যাস অস্বীকার করলে ‘তেলগ‍্যাস’ ছাড়া গাড়ি চালাতে হবে, এখন চায়নাকে অস্বীকার করলে ওদের শপিং মল খুলতে হবে না, পাতিল ছাড়া রান্না করে খেতে হবে, টিসু ছাড়া সুচু করতে হবে।

কবি শুদ্ধের কথা শুনে যুদ্ধের অশান্তিতেও মহামতি হাসে।

সুখের দেশ বাংলাদেশ

সুখের দেশ বাংলাদেশ

‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ মতে সুখি দেশের তালিকায় সাত ধাপ এগোল (১০১ থেকে ৯৪ নম্বরে) বাংলাদেশ! ৯৪ নম্বর নয়, বাংলাদেশকে আমি এক নম্বরে দেখতে চাই।

সুখের তালিকায় আপাতত আমি দেশের ৯৪ নম্বরে খুশী আছি। বহুত বেটাগিরি, যার না তার মাতাব্বরি, কচুপাতার পানির মত টলমল ‘জান ও মালের নিরাপত্তার’ মাঝে বীমা, পেনশন ও ইউরোপ কানাডার মত মাগনা বেকারভাতা ছাড়াই সুখে আছি, উৎসবের আনন্দে বিলে সবাই মিলে মাছ ধরি, এটা কম কথা না।

আমার আপাতত স্বস্তির কারণ হলো, সুখের তুলনা বাংলাদেশ নিশ্চিত আম্রিকার চাইতে এগিয়ে আছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ আম্রিকার মত যত্রতত্র শপিংমলে মানুষ মারার অস্ত্র কিনতে পায় না। কথায় কথায় গরীব দেশের মানুষ মেরে সাধু-সন্ন‍্যাসি থাকার চেষ্টা করে না। পর্ণ ইন্ড্রাস্টি, ক‍্যাসিনো সিটি, যুদ্ধযান নির্মান কারখানা ও হালাল পতিতালয় বাঙালি এখনো প্রেকটিস করে না। আমার দেশের মানুষ গরীব ও অশিক্ষিত হলেও বেমানান সুশীল দেখায় না, আম্রিকার শিক্ষিতদের মত একচোখা নীরবতা পালন, সেলফসেন্সরশীপ, সর্বপরি ভালোমানুষে অভিনয় করে না।

মৌলিক অধিকার ও আয় বোজগারের বিচারে বাংলাদেশে মার্জিন বেশী থাকলেও, অগ্রসর পরিবারের সদস‍্য ও নাগরিকরা এখানে প্রায় বিনামূল‍্যে বিশ্ববিদ‍্যালয়ে উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ‍্যসুবিধা ( সরকারী হাসপাতালে) পায়। গ্রামের মানুষ নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করে, গান গাইতে গাইতে ধান কাটে, মাছের ঝাল তরকারি ও আলুভর্তা দিয়ে গলা পর্যন্ত কষা ভাত খায়, আরামে দুপুরে ঘুমায়। যা ইউরোপ, আম্রিকা ও জাপানের মানুষেরা কল্পনাও করতে পারে না। বাংলাদেশের বহুপদের গরীবি খাবার খেতেও আম্রিকা-জাপান-ইউরোপে অনেক টাকা লাগে।

টাকা থাকুক বা না থাকুক, কাছামেরে নির্বাচনী মিছিল করা, বউ পিটানো, ক্ষমতাবাদের বেটাগিরি আর গলাবাজির গর্ব করা সুখ অবশ‍্যই আমাদের আছে।

তথাকথিক নির্বাচনী গনতন্ত্রের চেয়ে, এখন সরকারী-বেসরকারী দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলপ্রীতি কমানো জরুরী। পুরোপুরি আইনের শাসন থাকলে- আমি নিশ্চিত ‘ইউক্রেন ও রাশিয়া’র চাইতে দ্রুত গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাব। আম্রিকার আরো হিংসার পাত্র হব।

উন্নয়নের চলার পথে যদি বৃটিশের ভূত আর কলোনিয়াল অপশক্তি বাগরা না বাজায় , তবে অবশ‍্যই আমরা এগিয়ে যাবো। কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না।

আমরা সবাই উন্নয়নধারা এখন জানি, কিন্তু করি না। আমাদের উন্নয়নের জন‍্য দরকার – সমতার মানসিকতা, ফাও ভাজি দিয়ে তিনটা পরোটা না খাওয়া, আর জাপানের মত সেবা প্রদানকারী কায়িক পরিশ্রমী মানুষের আয় অফিসার-লেভেলদের চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ করা। তাহলে সত‍্যিই আমাদের সুখ ঘরে ঘরে চলে আসবে।

সরকারী হিসাব-রক্ষকরা, ট্রেজারারগণ সৎ হলে, হিসাবরক্ষন ঠিকহলে অপচয়-দূনীর্তি কমে যাবে। শেখ হাসিনা যে ভাবে এগুচ্ছেন, তাতে আমার আস্থা আরো বেড়ে গেছে। শেখ হাসিনার মত ১২ জন নেতা ও নেত্রী দেশে থাকলে, বাংলাদেশকে কেউ পিছে টেনে রাখতে পারবে না। তাই বিকল্প দেশপ্রেমিক সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে আমি প্রধানমন্ত্রী দেখতে ভালোবাসি।

Related article: https://bit.ly/3ihd9mU

কূটনীতি ও  মিডিয়াতে গুন্ডামির শব্দ!!

কূটনীতি ও মিডিয়াতে গুন্ডামির শব্দ!!

আম্রিকার হুশিয়ার, চায়না প্রবল চাপ, ইসরাইলের হুমকি, ইউক্রেনের আর রক্ষা নেই, আমরা শেষ দেখে নিব, আমাদের চেন না ইত‍্যাদি গুন্ডামি শব্দ কূটনৈতিক আলোচনায় বরাতে মিডিয়াতে, বিশেষ করে সাউথ-এশিয়ার মিডিয়াতে যত্রতত্র ব‍্যবহার করা হয়।

একটি দেশের সবচেয়ে সুশীল মানুষ সেই দেশের প্রেসিডেন্ট, তিনি কি আরেকটি দেশের সবচেয়ে দায়িত্বশীল- সচেতন মানুষ, প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী মিনিষ্টারের সাথে এমন অভদ্র শব্দ ব‍্যবহার করেন? তাদের রেফারেন্স দিয়ে বাংলা মিডিয়াগুলো যত্রতত্র নরম আলোচনাকে গরম বলে ব‍্যাখ‍্যা করে কেন? মাস্তানি ডায়লগ ষ্টাইলে টাইটেল দিয়ে খবর প্রকাশ করে কেন? এতে কি মিডিয়ার দায়িত্বহানি হয় না?

যে শব্দগুলো মেইষ্ট্রিম মিডিয়া ব‍্যবহার করে, সেই মাতাল শব্দগুলো যদি আসলেই প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রী-মিনিষ্টাররা ব‍্যবহার করেন, তবে কি তাদের দায়িত্বশীলতা প্রকাশ পাবে? আমি যতদূর জানি কূটনীতি মানেই ‘অ‍্যাবষ্টাক্টনেস’, কৌশলে বাঘ মারা, ‘মুরগীমারা মাস্তানি না’।

যদি আসলেই সরাসরি আক্রমনাত্বক শব্দ ব‍্যবহার করে, আমি নিশ্চিত রথিমহারথিরাও আলোচনা রেখে, সাধারণ মানুষের মত মারামারি, ধরাধরি শুরু করে দিবে আলোচনার টেবিলেই।

দেশে দেশে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হলেও, বাস্তবে আমরা রথিমহারথিদের মাঝে মারামারি দেখি না। নেতাগিরি করা, আর জেলেনাস্কির মত মাঠগরম করা কথা এক না। একজন নেতা ভবিষত দেখতে পারেন, চাপাবাজরা দেখতে পান না।
আমার কেন যেন মনে হয়, মিডিয়া নিজেদের খেয়াল খুশীমত নরম শব্দগুলোকে, গরম শব্দে অনুবাদ করে, সুশীল শব্দগুলোকে কুশীলতায় প্রতিস্থাপন করে। উদ্দেশ‍্য বোধহয় সংবাদের সস্তা জনপ্রিয়তা। আপনাদের কি মনেহয়?

বি.দ্র.: রশিয়া-ইউক্রেন গ‍্যাঞ্জামের এই সময় সংবাদ নিয়ে বিশ্বব‍্যাপি কারুকাজ ও তেলেসমাতি বুঝলাম। সাউথ এশিয়ার মিডিয়া-পত্রিকাগুলো শুধু রং লাগায় বাড়তি কাটতি’র জন‍্য । কিন্তু আম্রিকা ও পশ্চিমা দুনিয়ার মিডিয়া পুরো সংবাদই বদলে দেয়। বিষয়টা পুরোপুরি পরিস্কার হয়ে যায় যখন দেখি- প্লোবাল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়ে, একমুখি সংবাদ প্রকাশ করে। সবচেয়ে করুণ বিষয়- যুদ্ধ হয় ইউক্রেনে, সংবাদ ও রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ‍্যে, লন্ডনে…