Dance of Puppet and Goliath

Dance of Puppet and Goliath

After the second world war Japan has declared ‘No More War, but Peace’. For unknown reasons, like Bangladesh and developing nations. Japan cannot become natural still now.

Recently Japanese people are appreciating Mr. Zelanskyy, the Ukrainian president. In the way, Japan is entering conflict zones and thinking.

In my opinion, Japan and the Japanese should not welcome conflict in Asia by appreciating so-called false peacemakers, Mr. Zelanskyy. Although every war has a deep reason, however, a result of political and cultural resentment.

We know, Japan is the most vulnerable country for atomic war. Japan needs to be in a neutral position like Switzerland for World Peace. Unless Russia, N.Korea and China may become more visible enemies.

We need to understand, Mr. Zelanskyy was a professional entertainer, jocker. He has the skill and confidence to make jokes and laughing. But leading a country and handling ‘Warlike crude reality; are not a ‘Mater of Jokes’. Anyone should not consider war, as an entertainment event. His selfie video is inspiring us, but may make more suffering for human life. It seems he is very excited to be a famous person, in this war-time, regularly live video talk express his responsibilities.

He should understand, with whom he is fighting. Begging weapons and talking with different countries’ MPs, and in parliaments will not stop this war. Because this war is happening for implementing a ‘Big Plan’. This is sure Russia will not back except the favourable result. It is very necessary for Mr. Zelanskyy to overcome the ego of presidentship. He has lost enough time to beg help and weapons, but don’t get as needed. So this is the time to negotiate with Big Bear Russia. Unless conflict will not stop, day by day will increase if Mr. Zelanskyy wants to exercise power more.

As I understand, Joining in NATO or the EU are not the precondition for the happiness and development of the Ukrainian people. Ukraine itself is a good and resourceful country. He should proud of these natural gifts. Instead of naturing the future and future, the nationalist leaders are welcoming ‘enemies of enemies’. in own house, that makes killing-conflicts with powerful neighbours in many ways.

He could not imagine or understand the reasons of Russia’s aggression timely. It is sure either he did not care or don’t have enough intelligence to catch real issues correctly. It seems Mr. Zelanskyy has a lack of leadership qualities. For a true leader, it was necessary to minimize the reasons somehow before starting any war or conflict. Being a good public speaker or award are not the aim of a president. Ensuring the country’s development and citizens’ life with balanced relationships are the main mission.

We agree or not, it becomes true now, Mr. Zelanskyy is a puppet of Western Goliath, who are making conflicts worldwide. Mr. Zelanskyy should stop his mouth, and campaign today and now for the sake of the country. Otherwise, the intensity of conflict may increase more. More suffering will come for his people.

Apparently, it seems he will not give up or compromise, but need. If it is necessary to resign from presidential power. ‘The step down’ of Mr. Zelanskyy from presidential power cool down the fire of crude reality. It may create a new form of effective dialogue. I am worried, Mr. Zelanskyy may not give up as he is now living in the ‘World of Illusion’.

We know, Russia is a superpower. They have fewer options to fall back. We agree or not, Russia will continue the war until the last for winning. Putin already has declared, they are ready to do atomic war. So this is sure Russia will not stop. Horrible things, for this war many more people may die, beautiful country ‘Ukraine’ may turn into a poor country like Iraq, Libya, Bosnia, Yemen, Afghanistan, etc.

For any reason, war is not good for humanity. I don’t appreciate Russia’s invasion. If we study the history of NATO and the USSR, we easily understand, there are many deep causes for Russia’s this invasion. I think, this war is not a cause, is a result of resentment, disagrement and misunderstanding. It is true, the disagreements widely were made as plans of NATO, the US, and Western Countries with certain objectives.

Anyway, the superiority of Puppet Zelenskyy may prolong the war and will lose more life and property. I am very worried about destruction.

We should not appreciate an entertainer like Ershid, Trump, Zelenskyy, etc in the presidential power of a country. They love to make their popularity, but not ‘Social and Common Good’. It has already proved Mr. Zelenskyy is good for making popularity, but not for making good of his national and citizen’s life. He may not imagine the result of conflicts. Still have a big vision to win.

In a nutshell, we can say, a puppet Zelenskyy’s regim did many jokes for a long time with Goliat Bear. He thought everything is a joke, nothing will happen but happening. Many people are dieing, losing their families and property now. Still, Zelenskyy is in stubborn. He should escape the ‘motivation of war’, needs to start a fully ‘non-violence’ procession.

Unpleasant truth, we cannot create a life of a person, even a president’s life. It seems many people, especially western people cannot understand this simple truth. Mr. Zelenskyy is the king of chess, but not a real king. In huge western media’s chaouse, we are looking only at the play of war, but can not be understanding the real players’ motivation. We need to see the wholistic ‘Play and Players’ together. Unless true judgement and global view for ‘Culture of Peace’ never will come.

মাস্তানি ও জমিদারীর দিন শেষ

মাস্তানি ও জমিদারীর দিন শেষ

মাস্তানি ও জমিদারীর দিন শেষ
😂😂
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বহুত তেলেসমাতির পর, চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে আম্রিকার প্রেসিডেন্ট ভাইদেনের লাভটকের পর; হোয়াইট হাউজ থেকে হাছা কোন প্রেসকনফারেন্স হয়নি। আম্রিকা-বৃটিশ ও ইউরোপিয়ানরা এখন অনেকটা চুপ, মুখে কুলুপ।

গনতান্ত্রিক ও তথাকথিত সুশীল সভ‍্য সাদাদের বিশ্বনাটক দেখে মহামতি অবাক। সবচেয়ে বেশী অবাক পশ্চিমা মিডিয়া ও কোম্পানিগুলোর স্ব-ইচ্ছায় সাটডাউন, নিজে নিজে পুংমারা খাওয়া ও সেলফ সেন্সশীপ দেখে। আশ্চর্যের বিষয় –

যুদ্ধ হয় ইউক্রেনে, আর নিউজ প্রকাশিত হয় লন্ডন ও ওয়াশিংটনে। আর পাপেট জিলিনেস্কি রাশিয়ার ধারাবাহিক কিলঘুষি খাওয়ার পরও বলে,
– আরেকটা মার, আরেকটা মার।… আরকেটা মারলে তোর নাক ফাটাইয়া দিমু, রাশিয়া।

– মাইর খাওয়া পাপেট জিলিনেস্কি পাশে কি আসলেই সুবিধাভোগি, সুবিধাবাদী মাস্তান আম্রিকা ও পশ্চিমারা আছে?
আমার তো মনেহয়, পুরো বিষয়টা আম্রিকার ষড়যন্ত্র। জেলেনেস্কিকে নাচাচ্ছে আসলে পূর্ব ইউরোপে অস্ত্রের রমরমা বানিজ‍্য করার জন‍্য, ইউক্রেনকে সাহায‍্য করার জন‍্য না।

মহামতি ভেবে কূল কিনারা পায় না, ইউক্রেন যদি নেটো ও ইইউ এর মেম্বার হয়, তারা কি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও সুখী মানুষ হয়ে যাবে? কোন কোয়ালিশনের মেম্বার হওয়া কি জাতে উঠা বা উন্নত হওয়ার সার্টিফিকেট? লিথুনিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, পোলেন্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ইত‍্যাদি সাবেক সোভিয়েত দেশগুলো তো এখন ইইউ’র মেম্বার, সোভিয়েত ভাঙ্গার পর তারা কি আসলেও তেমনটা উন্নত হয়েছে, যেমনটা চেয়েছিল? বাস্তব সত‍্য – হয়নি।

পুরো বিষয়টা নিয়ে চায়ের টেবিলে কবি শুদ্ধ ও মহামতি দু’জনেই মহাচিন্তিত। আদা চায়ে চুমুক দিয়ে কবি শুদ্ধ মহামতিকে বলে,
– মহামতি হারমাতিদের দিন শেষ । অস্ত্র, পর্ণ আর সফটওয়ার নির্মাতা আম্রিকানদের দিন শেষ। মানুষমারা যুদ্ধে আমি কষ্টে পেলেও, আম্রিকা আর পশ্চিমাদের মুক্তমঞ্চে লেডামারার দেখে আনন্দিত।
– কি রকম?
– মানুষ এখন বুঝে গেছে অস্ত্র ও সফটওয়ার খাওযা বা পড়ার জিনিষ না। এগুলো না থাকলেও মানুষের চলে। ভাত, খাবার তেল না থাকলে চলে না। ওরা অস্ত্র, চুমাচুমির সিনেমা, ক্রেডিটকার্ড আর সফটওয়ার ছাড়া এখন সব জিনিষ বানানো ভুলে গেছে।
– তাই নাকি?
– হ, সত্তরের দশকের পর থেকে আম্রিকার উৎপাদন আকাশমুখী, জীবনমুখী না। এতদিন অন‍্যের পণ‍্যে এটাসেটা করে, সারা দুনিয়ার মানুষকে ভয় ও লোভ দেখিয়ে, ব‍্যবসার তেলেসমাতির নামে অন‍্যের ভাড়াভাতে ভাগড়া দিয়ে চলেছে। এক অর্থে আম্রিকা আর পশ্চিমারা গরীব ও সর্বহারার সম্পদ ও সম্ভাবনা লুট করে ধনী হয়েছে। আর বোধহয় দুই নম্বরি করতে পারবে না।
– কি রকম? বুঝিয়ে বল
– অনেক বড় গল্প। সব কথার সারমর্ম, ওরা এখন বাংলাদেশের গার্মেন্টস্ অস্বীকার করলে কাপড় না পড়ে নেংটা থাকতে হবে। এখন ওরা মধ‍্যপ্রাচ‍্য ও রাশিয়ার তেলগ‍্যাস অস্বীকার করলে ‘তেলগ‍্যাস’ ছাড়া গাড়ি চালাতে হবে, এখন চায়নাকে অস্বীকার করলে ওদের শপিং মল খুলতে হবে না, পাতিল ছাড়া রান্না করে খেতে হবে, টিসু ছাড়া সুচু করতে হবে।

কবি শুদ্ধের কথা শুনে যুদ্ধের অশান্তিতেও মহামতি হাসে।

সুখের দেশ বাংলাদেশ

সুখের দেশ বাংলাদেশ

‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ মতে সুখি দেশের তালিকায় সাত ধাপ এগোল (১০১ থেকে ৯৪ নম্বরে) বাংলাদেশ! ৯৪ নম্বর নয়, বাংলাদেশকে আমি এক নম্বরে দেখতে চাই।

সুখের তালিকায় আপাতত আমি দেশের ৯৪ নম্বরে খুশী আছি। বহুত বেটাগিরি, যার না তার মাতাব্বরি, কচুপাতার পানির মত টলমল ‘জান ও মালের নিরাপত্তার’ মাঝে বীমা, পেনশন ও ইউরোপ কানাডার মত মাগনা বেকারভাতা ছাড়াই সুখে আছি, উৎসবের আনন্দে বিলে সবাই মিলে মাছ ধরি, এটা কম কথা না।

আমার আপাতত স্বস্তির কারণ হলো, সুখের তুলনা বাংলাদেশ নিশ্চিত আম্রিকার চাইতে এগিয়ে আছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ আম্রিকার মত যত্রতত্র শপিংমলে মানুষ মারার অস্ত্র কিনতে পায় না। কথায় কথায় গরীব দেশের মানুষ মেরে সাধু-সন্ন‍্যাসি থাকার চেষ্টা করে না। পর্ণ ইন্ড্রাস্টি, ক‍্যাসিনো সিটি, যুদ্ধযান নির্মান কারখানা ও হালাল পতিতালয় বাঙালি এখনো প্রেকটিস করে না। আমার দেশের মানুষ গরীব ও অশিক্ষিত হলেও বেমানান সুশীল দেখায় না, আম্রিকার শিক্ষিতদের মত একচোখা নীরবতা পালন, সেলফসেন্সরশীপ, সর্বপরি ভালোমানুষে অভিনয় করে না।

মৌলিক অধিকার ও আয় বোজগারের বিচারে বাংলাদেশে মার্জিন বেশী থাকলেও, অগ্রসর পরিবারের সদস‍্য ও নাগরিকরা এখানে প্রায় বিনামূল‍্যে বিশ্ববিদ‍্যালয়ে উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ‍্যসুবিধা ( সরকারী হাসপাতালে) পায়। গ্রামের মানুষ নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করে, গান গাইতে গাইতে ধান কাটে, মাছের ঝাল তরকারি ও আলুভর্তা দিয়ে গলা পর্যন্ত কষা ভাত খায়, আরামে দুপুরে ঘুমায়। যা ইউরোপ, আম্রিকা ও জাপানের মানুষেরা কল্পনাও করতে পারে না। বাংলাদেশের বহুপদের গরীবি খাবার খেতেও আম্রিকা-জাপান-ইউরোপে অনেক টাকা লাগে।

টাকা থাকুক বা না থাকুক, কাছামেরে নির্বাচনী মিছিল করা, বউ পিটানো, ক্ষমতাবাদের বেটাগিরি আর গলাবাজির গর্ব করা সুখ অবশ‍্যই আমাদের আছে।

তথাকথিক নির্বাচনী গনতন্ত্রের চেয়ে, এখন সরকারী-বেসরকারী দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলপ্রীতি কমানো জরুরী। পুরোপুরি আইনের শাসন থাকলে- আমি নিশ্চিত ‘ইউক্রেন ও রাশিয়া’র চাইতে দ্রুত গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাব। আম্রিকার আরো হিংসার পাত্র হব।

উন্নয়নের চলার পথে যদি বৃটিশের ভূত আর কলোনিয়াল অপশক্তি বাগরা না বাজায় , তবে অবশ‍্যই আমরা এগিয়ে যাবো। কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না।

আমরা সবাই উন্নয়নধারা এখন জানি, কিন্তু করি না। আমাদের উন্নয়নের জন‍্য দরকার – সমতার মানসিকতা, ফাও ভাজি দিয়ে তিনটা পরোটা না খাওয়া, আর জাপানের মত সেবা প্রদানকারী কায়িক পরিশ্রমী মানুষের আয় অফিসার-লেভেলদের চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ করা। তাহলে সত‍্যিই আমাদের সুখ ঘরে ঘরে চলে আসবে।

সরকারী হিসাব-রক্ষকরা, ট্রেজারারগণ সৎ হলে, হিসাবরক্ষন ঠিকহলে অপচয়-দূনীর্তি কমে যাবে। শেখ হাসিনা যে ভাবে এগুচ্ছেন, তাতে আমার আস্থা আরো বেড়ে গেছে। শেখ হাসিনার মত ১২ জন নেতা ও নেত্রী দেশে থাকলে, বাংলাদেশকে কেউ পিছে টেনে রাখতে পারবে না। তাই বিকল্প দেশপ্রেমিক সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে আমি প্রধানমন্ত্রী দেখতে ভালোবাসি।

Related article: https://bit.ly/3ihd9mU

কূটনীতি ও  মিডিয়াতে গুন্ডামির শব্দ!!

কূটনীতি ও মিডিয়াতে গুন্ডামির শব্দ!!

আম্রিকার হুশিয়ার, চায়না প্রবল চাপ, ইসরাইলের হুমকি, ইউক্রেনের আর রক্ষা নেই, আমরা শেষ দেখে নিব, আমাদের চেন না ইত‍্যাদি গুন্ডামি শব্দ কূটনৈতিক আলোচনায় বরাতে মিডিয়াতে, বিশেষ করে সাউথ-এশিয়ার মিডিয়াতে যত্রতত্র ব‍্যবহার করা হয়।

একটি দেশের সবচেয়ে সুশীল মানুষ সেই দেশের প্রেসিডেন্ট, তিনি কি আরেকটি দেশের সবচেয়ে দায়িত্বশীল- সচেতন মানুষ, প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী মিনিষ্টারের সাথে এমন অভদ্র শব্দ ব‍্যবহার করেন? তাদের রেফারেন্স দিয়ে বাংলা মিডিয়াগুলো যত্রতত্র নরম আলোচনাকে গরম বলে ব‍্যাখ‍্যা করে কেন? মাস্তানি ডায়লগ ষ্টাইলে টাইটেল দিয়ে খবর প্রকাশ করে কেন? এতে কি মিডিয়ার দায়িত্বহানি হয় না?

যে শব্দগুলো মেইষ্ট্রিম মিডিয়া ব‍্যবহার করে, সেই মাতাল শব্দগুলো যদি আসলেই প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রী-মিনিষ্টাররা ব‍্যবহার করেন, তবে কি তাদের দায়িত্বশীলতা প্রকাশ পাবে? আমি যতদূর জানি কূটনীতি মানেই ‘অ‍্যাবষ্টাক্টনেস’, কৌশলে বাঘ মারা, ‘মুরগীমারা মাস্তানি না’।

যদি আসলেই সরাসরি আক্রমনাত্বক শব্দ ব‍্যবহার করে, আমি নিশ্চিত রথিমহারথিরাও আলোচনা রেখে, সাধারণ মানুষের মত মারামারি, ধরাধরি শুরু করে দিবে আলোচনার টেবিলেই।

দেশে দেশে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হলেও, বাস্তবে আমরা রথিমহারথিদের মাঝে মারামারি দেখি না। নেতাগিরি করা, আর জেলেনাস্কির মত মাঠগরম করা কথা এক না। একজন নেতা ভবিষত দেখতে পারেন, চাপাবাজরা দেখতে পান না।
আমার কেন যেন মনে হয়, মিডিয়া নিজেদের খেয়াল খুশীমত নরম শব্দগুলোকে, গরম শব্দে অনুবাদ করে, সুশীল শব্দগুলোকে কুশীলতায় প্রতিস্থাপন করে। উদ্দেশ‍্য বোধহয় সংবাদের সস্তা জনপ্রিয়তা। আপনাদের কি মনেহয়?

বি.দ্র.: রশিয়া-ইউক্রেন গ‍্যাঞ্জামের এই সময় সংবাদ নিয়ে বিশ্বব‍্যাপি কারুকাজ ও তেলেসমাতি বুঝলাম। সাউথ এশিয়ার মিডিয়া-পত্রিকাগুলো শুধু রং লাগায় বাড়তি কাটতি’র জন‍্য । কিন্তু আম্রিকা ও পশ্চিমা দুনিয়ার মিডিয়া পুরো সংবাদই বদলে দেয়। বিষয়টা পুরোপুরি পরিস্কার হয়ে যায় যখন দেখি- প্লোবাল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়ে, একমুখি সংবাদ প্রকাশ করে। সবচেয়ে করুণ বিষয়- যুদ্ধ হয় ইউক্রেনে, সংবাদ ও রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ‍্যে, লন্ডনে…

আমার সরলতা ও  মহামতি সাহাবুদ্দীন আহমদ

আমার সরলতা ও মহামতি সাহাবুদ্দীন আহমদ

বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ আমার ও আব্বার প্রিয় ব‍্যক্তিত্ব। তাঁর ‘হিটলার মার্কা’ বা ‘চার্লি চ‍্যাপলিন মার্কা’ মোছ থাকলেও, চরিত্রে হিটলারি বা কৌতুকের ছিটেফোঁটা ছিল না। শান্ত ও সিরিয়াস মানুষ ছিলেন। তাঁর সরলতা ও সততা মুগ্ধতার সাথে দেখিয়ে আব্বা আমাকে বলতেন,
– দেখছ, কত ভালো মানুষ? কত সরল মানুষ? এমন মানুষ হইতে হব। তাহলে জীবন স্বার্থক…

আব্বার কথায়, বিচারপতির সরলতায় অনেকটা আমি প্রভাবিত হয়েছিলাম। নিজের অজান্তেই অতি সরল হওয়ার পথ বেছে নিয়েছিলাম। হৃদয়ে বিশ্বাস লালন করতে শুরু করেছিলাম- সৎ ও সরল মানুষের কষ্ট হলেও, শেষ পর্যন্ত সিনেমার নায়কের মত জয়ী হয় ও হবেই।

২০০১ সাল পর্যন্ত আমার অতি সরল পথে চলার ব্রত গোড়াদের মত বহুত বলবৎ ছিল। এরজন‍্য আমি অনেকের কাছে প্রিয় সাহাবুদ্দীন আহমদের মত হাসির পাত্রও হয়েছিলাম। যদিও আমার পূর্ণ আস্থা ছিল – আমার সরলতা হাসির বিষয় না।

মহাকালের সরলতার মহাযাত্রায়, কয়েকজন ‘দয়াল বাবা, কলা খাবা’, মাগনা কুতুবের পাল্লায় পড়ে মাইনকাচিপায় ছিলাম। তবে নিজের প্রতি, নিজের সরলতার বিশ্বাস বিশ্বাস হারাতাম না। অতি আস্থার সাথে পথ চলার পর যখন বুঝলাম পেটে ভাত জুটবে না, আরো বেকার থাকতে হবে, মানুষের কাছে হাত পাতার অবস্থা হবে, তখন পথ একটু বদলিয়েছিলাম।

বিশ্ববিদ‍্যালয় পাশের ৫ বছর পরও চাকুরি-বউ-প্রেমিকা কোন কিছু ছুটছে না, তখন একটু হতাশা হযেই, বৈষয়িক ও কৌশলী হতে শুরু করেছিলাম। শেষমেষ খানিকটা সফল হয়েছি। জাপানি বউ-পোলাইপান পেয়েছি। এখন আমি নিজেকে বেশ চালাক মনেকরি, যদিও প্রায় সব মানুষ এখনো আমাকে সরল ও বোকা মনেকরে।

যাইহোক আমার ব‍্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও সাহাবুদ্দীন আহমদের জীবন থেকে বুঝলাম,
অতি সরলতা ও অতি সততা সব সময় ভালো না। অনেক সময় হীতে বিপরীত হয়। জীবনের মুখোমুখি হয়ে, জয়ী হতে হলে আমাদেরকে কৌশলী হতে হয়। বুদ্ধির চর্চার করতে হয।

আমি এখন মনে করি – চাতুরতা মন্দ হলেও, অন‍্যের ক্ষতি না করে, কৌশলে নিজের হিস‍্যা আদায় ও অবস্থান ঠিক রাখা মন্দ না।

মহামতি বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রয়াণ দিবসে, আজ রাষ্ট্রীয়ভাবে তেমন শোকবার্তা নেই। বিষয়টা আমার দৃষ্টিকটু মনে হয়েছে। অথচ তিনি চরিত্র ও কর্মগুণে তিন-তিনবার দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন হয়েছিলেন। আজকে তচ্ছতার কারণটা আমাদের সবার জানা। তার অতিসততার কারণে – চতুর প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি বাংলাদেশে ক্ষমতায় এসেছিল। প্রত‍্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশের অনেক ক্ষতি করেছিল।

আমরা সবাই জানি তিনি সৎ ও সরল ছিলেন। কিন্তু এটাও আমরা বুঝেছি, অতি সততা অতি সরলতা মাঝে মাঝে দেশ ও দশের অকল‍্যান ডেকে আনে। তার অতি সততার সুযোগে সুবিধাবাদীরা একতার বদলে দেশকে বিভাজিত করেছিল, দূনীতির স্বর্গরাজ‍্য বানিয়েছিল।

মহাত্না সাহাবুদ্দীন আহমদের প্রয়ানে আমি দুঃখিত। তার সততা ও অবদানে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। তার ৯২ বছরের জীবনে জাতিকে যা দেবার তার চেয়ে অনেক বেশী দিয়েছেন। আমরা তার প্রতি কৃতজ্ঞ। সরলতার প্রতিককে, ‘প্রিয় স্রষ্টা’ খামিসামা – অবশ‍্যই অদৃশ‍্য ভালোবাসার জগতে অপার শান্তি দিবেন, পুরুস্কৃত করবেন।