জাপানি মন ও বাঙালি পণ!

জাপানি মন ও বাঙালি পণ!

জাপানে থাকতে হলে জাপানিদের মত হয়েই থাকতে হয়, হবে।

আমরা যারা জাপানে থাকি, এমন কেউ নেই যে জাপানিদের আচার ও কালচারে আহত হয়নি। আধুনিক জাপানিরা ইউরোপিয়ান ও এরাবিয়ানদের মত তেরা, অহংকারী ও ক্ষতিকারক না হলেও, মারদাঙ্গা বর্ণবাদি না হলেও, অনেকে জাপানিদেরকে বর্ণবাদী বলেন! ‘নীরব রেসিষ্ট’ আখ‍্যা দিয়ে – অনেকে বহুত অপছন্দ করেন।

বিদেশীদের এমন অভিযোগের মুল কারণটি হলো – জাপানিরা এশিয়ান হলেও বাঙালি মনোভাব, সততা ও কালচারে প্রায় পুরোটাই বিপরীত! গুনগত মানে, সততায়, পরিচ্ছনতা, সচেতনতা ও বিনয়ে জাপানি পুরো জাতিটিকে আমার পারফেকশনিষ্ট মনেহয়। শুদ্ধতায় অনেক সূচিবাই গ্রস্থ মনেহয়। যা অনেক সময় হালকা হালকা ভাবে, ছাড় দিয়ে চলা বাঙালিদের মনে আরামের বদলে বেরাম তৈরী করে। যারা জাপানি ভিন্নতাকে বুঝতে পারেন, মেনে নিতে পারেন, তাদের কাছে জাপান স্বর্গের মতো সুন্দর দেশ! আর যারা মেনে নেন না, তাদের কাছে হাবিয়া দোজখ।

অধিকাংশ সাউথ এশিয়ানরা ‘মেইনষ্ট্রিম জাপানি সমাজে’ মিশতে না পারার কষ্টের মাঝে, জাপানিদের ভুল ধরতে না পেরে পদে পদে জাপানিদের বকাবকি করেন। বিশেষ করে অন‍্যদেশ থেকে আসা সেমেটিক ধর্মের বিশ্বাসীরা, অনুসারীরা ‘বিধর্মী, বেলাহেজ, কাফের’ পর্যন্ত বলতে দ্বিধা করেন না । এরা সবক্ষেত্র ‘সুপিরিয়রিটি কমপ্লেক্স’ মানসিক রোগে আক্রান্ত থাকে। এই আরো বেশী প্রবল হয়েছে ২০০৮ সালে ফেইসবুকিং এর সহজ প্রচার ও প্রসারের ফলে। সবক্ষেত্রে জাপানিদের খুঁত ধরতে গিয়ে, ভুল না পেয়ে হয়রান হয়ে যায়। নিজেদের অসভ‍্যতাগুলোকে ‘শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মত’ করে গোপন করে রাখেন। ফলত- জাপানি সুন্দরীদের সঙ্গে প্রেম করতে পারেন না। হাতে গোনা কয়েকজন বিয়ে করলেও, ইমরান শরীফের মত মাঝপথে ‘অতি দোষারুপ’ করে, যাত্রাভঙ্গ করেন! আর মনের দুঃখে একা একা নলা-কচলিয়ে হাত দিয়ে সুসি-বিরানী খান। একাকিত্ব কাটানোর জন‍্য সন্ধ‍্যায় মসজিদ, মন্দির আর গুরুদুয়ারাতে ফাকিস্তানি আদলে মাগনা রুটি-পরোটা, নিহাড়ি-বিরানী খান। এরপরও যাদের ভালোবাসাহীনতা মন থেকে না কাটে, তারা কিছু টাকা পয়সা হলেই বকাবকি করতে করতে দেশে চলে যান! বিয়ের মাধ‍্যমে যাদের এজোকেন (স্থ‍ায়ী ভিসা) হযেছে, তারা জাপানি সুন্দরী বউকে ডিভোর্স দিয়ে, পাকা বয়সে দেশ থেকে আরেকটি কচি বা মুটকি বিয়ে করে এনে, আরেক মহা ঝামেলায় যুক্ত হন। মনে মনে বলেন- ‘যার জ্বালা সেই জানে’।

এরচেয়ে বড় অসভ‍্যতা কি হতে পারে, শুধুমাত্র ভিসার জন‍্য একজন জাপানিকে বিয়ে করে । শরীরিক সম্পর্ক থেকে মেসি জামাই সেজে অভিনয় করে। ভিসা পওয়ার সাথে সাথে নানান প্রকার অত‍্যাচার করে ঘর থেকে বের করে দেয়। কোন বিদেশী যদি কোন বাঙালি সুন্দরিকে এমনটি করে – তবে বাংলাদেশী সমাজ, মানুষ ও আইন তা মেনে নিবে? কিন্তু জাপানি মুক্ত কালচারে বিশ্বাসী বলে, ব‍্যক্তিগত বিষয় বলে মেনে নেয়।

জাপানি সরকারের পক্ষ থেকে অনেক আয়োজনের পারও, বিদেশী ও জাপানিদের অবস্থান বৈপরিত‍্য তেমনটা কমানো যায়নি। কারণটা জন‍্য জাপানি প্রশাসন ও আগত প্রবাসী দুই পক্ষই বেশ বিরক্ত। জাপানিরা বুঝাতে পারে না – জাপানে থাকতে হলে তোমাকে জাপানি হয়েই থাকতে হবে। আর বিদেশীরাও নিজেদের সত্ত্বা, এমনকি টোকিতে লাল গালিচা পার্টিতেও শাড়ি-সালোয়ার কামিজ পড়েন। দেশে নিজেদের সংস্কৃতিতে ‘পদদলিত’ করলেও, বিদেশে নিজস্ব অভ‍্যাস, রীতি-কালচার ত‍্যাগে করতে চান না – কারণ আসলেই রহস‍্যময় ও অজানা। মহাবিপদ জেনেও অধিকাংশ বিদেশী বেসিক পরিবর্তনে আগ্রহী নন। যারা আগ্রহী তাদের সংখ‍্যা খুবই নগণ‍্য!

জাপানে থেকে, জাপানে খেয়ে, জাপানে পড়ে – জাপানী হতে চান না, না বদলানোর দোষে জাপানিদেরকে গাওড়া বলা গালিবাজের সংখ‍্যা প্রবাসে কম নয়। হোষ্ট দেশে থেকে, হোষ্ট দেশকে সম্মান না করার কুকর্মটি অনেকটা হাস‍্যকর! সুবিধা নিবে কিন্তু এপ্রিসিয়েট করবে না, এটি কি ঠিক? বাংলাদেশকে পছন্দ করে না, তার জনগোষ্ঠী ও কালচারকে বকাবকি করে এমন বিদেশীদের কি বাঙালিরা মেনে নিবে? ইউরোপ আমেরিকার সংস্কৃতিকে বাঙালি সাদরে গ্রহন করলেও, জাপানিদেরটা ভালো হবার পরও গ্রহন করতে চায় না, কারণটি অদৃশ‍্য। দৃশ‍্যমান ভিন্নমত থাকার পরও আমাদের তুলনায় জাপানিরা বিদেশীদেরকে উদারভাবেই গ্রহন করে ও করছে। অথচ আমরা যেন তা মানতে ও বুঝতে চাই না।

আমিও পূর্বে জাপানিদের নিয়ে অভিযোগ করতাম; এখন বিষয়টি বুঝি! আসলে জাপানিরা বদলায় না, এটা বলা ভুল। যেটুকু বদলানো দরকার সেটুকুই বলায়। কিন্তু বদলানো প্রক্রিয়াটি খুব ধীর, সুস্থির ও হিসাবের ফরমূলাতে সীমাবন্ধ- যা বিদেশীদের অসহ‍্য লাগে। অনেকে বলে – জাপানিরা আমলাতন্ত্রিক জটিলতায় বন্দি জাতে, এদের মুক্তি দরকার।
অবজেক্টিভলি চিন্তা করলে বুঝা যায় – আসলে জাপানিদের বদলানো সুযোগ নেই- শুরু থেকে এরা নিজেদেরকে বদলিয়েই এত উন্নত হযেছে। আমরা যেমনটা চাই, তেমন করে বদলালে এদের ইউনিকনেস চলে যাবে। এরা আগের মত হিংস্র, সাম্রাজ‍্যবাদী ও পশ্চিমাদের মত ‘কৌশলি, লোভি, শট ‘ হবে । নষ্ট হয়ে যাবে।

আমরা জানি জাপানিদের জীবন, সংস্কৃতি, আচার-আইন যথাসম্ভব রিক্স-ফ্রি ভাবেই সাজানো! পরিবেশে ভূমিকম্প, সুনামি ও দূর্যোগ কবলতা, জীবনে দারিদ্রতার প্রবলতা ও প্রাকৃতিক সম্পদের সীমাবন্ধতার কারনে – আদিকাল থেকেই জাপানের সবাই নিরাপত্তা সচেতন। যে কোন সময় অপ্রত‍্যাশিত ঘটনা ঘটে যেতে পারে, তাই তারা সব সময় আতঙ্কগ্রস্থ থাকে। তাই ‘সেইফ জোনে’ থাকা জাপানিদের সাধারন পছন্দ। অযথা ঝামেলা যেন জীবনকে কষ্টময় না করতে পারে – তাই তারা কঠোরভাবে আইন মানে, সাবধানে পা ফেলে, একতাবদ্ধ থাকতে পছন্দ করে। যা অন‍্য দেশে, এমনকি উন্নত ইউরোপ আমেরিকাতেও অকল্পনীয়।

লক্ষণীয় ‘বিদ‍্যুৎ ও যোগাযোগে’ এত উন্নত হবার পরও; জাপানের প্রায় সকল বাড়িতে দূর্যোগ মোবাবের প্রস্তুতি হিসাবে কাঠের সংগ্রহশালা থাকে। বছরের পর বছর কাট ব‍্যবহার হয় না, তবুও তারা কাঠ রাখে, বাড়ির আঙ্গিনায় চাষ করে। মূল কারণটা হলো – ভুমিকম্প হলে যাতে, খাদ‍্য, শীত, রান্না ও অন্ধকারের প্রকোপে মরতে না হয়।

‘রিক্স-ফ্রি’ ভাবনা ও সংস্কৃতির কারণে- এরা পশ্চিমাদের মত দিল দরিয়া নয়। ‘স্বর্গের মিথ‍্যা লোভে’, দান-খয়রাত তো পরের কথা – এরা ডিজিট‍্যাল কয়েনও ব‍্যবহার করে না, বুড়োরা নগদ টাকা পছন্দ করে, অযথা আগলা পিরিত করে কাউকে বাড়িতে ঢুকায় না, দাওয়াত দেয় না, অপচয় করে ফুটাঙ্গি দেখায় না! রিক্স-ফি থাকার জন‍্য, রিক্স-ফি রাখার জন‍্য গুরুত্বপূর্ণ অতিথিকে হোটেলে রাখে। ইমিগ্রেশনেও কানাডা-আমেরিকার মত বিদেশীদের দুইহাতে গ্রহন করে না। নেটিভ জাপানিদের মত না হলে নাগরিকত্ব বা পাসপোর্টও দিতে চায় না।

এভাবে খুঁজলে জাপানের প্রতিটি ঘটনা ও আচারের পিছনে- নিরাপত্তা ও নিরাপদে থাকার কারণ খুঁজে পাওয়া যায়। এই মুলকারণটি বুঝে, অবজেক্টিভলি জাপানকে গ্রহন করলে – নিশ্চিত বাঙালির জাপানবাস সুখি ও সুন্দর হয়ে যায়।

কিছুদিন আগে ‘রিও’ নামের এক তরুণ জাপানি বন্ধুর সঙ্গে, ‘বিদেশীদের সম্পর্কে জাপানিদের ধারনা-ভাবনা’ নিয়ে আলাপ করছিলাম। সে বলল – কিছুদিন আগে পরীক্ষামূলকভাবে টোকিওতে একটি কোম্পানী শুধু বিদেশীদের দিয়ে একটি বিভাগ চালু করেছিল! দ্রুত সেই কোম্পানিটি লসে পড়েছিল। বিদেশীদের নিম্নমানের সেবা, হেলাফেলা আচরণ, চুরি ও অযথা এটাসেটার করার কারণে কোম্পানিটি সেই বিভাগটি বন্ধ করে দিতে বাধ‍্য হয়েছিল। তাহলে বুঝ – জাপানিরা কেন বিদেশীদের প্রতি আস্থা রাখতে পারে না।

যতই দিন যাচ্ছে আমি জাপানকে গভীরভাবে বুঝতে পারছি, মেনে নিচ্ছি, আমার জাপানবাস দিনদিন সুখময় হচ্ছে। কি শান্তি ঘরে ঘরে।
লিঙ্কের ভিডিও দেখলে জাপানিদের মাইনসেট সহজে বুঝা যায়।
https://youtu.be/dGIMF0tHDnQ

ডারউইন যা বলেননি , ফেইসবুক তা বলছে!

ডারউইন যা বলেননি , ফেইসবুক তা বলছে!

The Facebook bloggers, before making a comment on ‘Evolution and Adaptation’, please read again. the basic Evolution Theories, ‘Origin of Species’, and related books.

বানর কখনো মানুষ হয় না। এ’কথা শতভাগ সত‍্য। আরো সত‍্য বাঙালি বানর – কখনোই মানুষ হয় না ও হবে না। এক্ষেত্রে অভিযোজন ও বিবর্তন তত্ত্ব প্রায় সম্পূর্ণ মিথ‍্যা। বিবর্তন নিয়ে সোসাল মিডিয়াতে অযথা কুতর্ক তার প্রমান।

বিশ্ববিদ‍্যালয়ে টানা ৬ বছর (১৯৯১-১৯৯৬) প্রকৃতি বিজ্ঞান, জিওলজি, বির্বতনবাদ ও অভিযোজন তত্ত্বগুলো পড়ে এটুকু বুঝেছি।

বানর বা বানর জাতীয় জীবেররা প্রকৃতির বিরূপ ও সুরূপ বাস্তবতার সাথে খাপ খাইয়ে দৈহিক ও মানসিক ভাবে পরিবর্তিত হয়। সৃষ্টি হয় টিকে থাকা নতুন বৈশিষ্ট‍্যের প্রজাতির। এমন পরিবর্তনের ফল- আজকের বুদ্ধিমান মানুষ। অভিযোজন ও বিবর্তন এখানেই শেষ নয়। বিবর্তন একটি ধারাবাহিক ও চলমান প্রক্রিয়া। এটি দীর্ঘদিন ধরে, সৃষ্টির প্রথম থেকে লক্ষ-লক্ষ‍ বছর ধরে চলে আসছে, ও চলবে।

এটি নিশ্চিত হাজার ও লক্ষ বছর পর – আজকের মানুষ আর আজকের মত থাকবে না । দৈহিক গঠন ও মানসিকতায় বিপুল পরিবর্তন ঘটবে। যেমন বর্তমানের মানুষ ও আদিকালের মানুষের মত নেই। সোজা কথায় – এই পরিবর্তনই বিবর্তন ও অভিযোজনের ফল। খাপ খাইয়ে খাইয়ে শুধু মানুষ নয়, সকল জীব-প্রজাতিগুলো আরো উন্নত হয়। প্রকৃতির প্রতিকূল অবস্থার সাথে মানাতে পারলে পরিবর্তিত হবে, উদ্ভব হবে আরো উন্নত মানব ও প্রজাতি, না মানাতে পারলে মরে যায় । যেমন মরে গেছে ডাইনোসর ও নানান বিলুপ্ত প্রানী। এটাই প্রকৃতির শাশ্বত নিয়ম।

অভিযোজন ও বিবর্তন তত্ত্বগুলো যারা মিথ‍্যা বলেন, তারা প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের প্রায় ১০০টি শাখাকে মিথ‍্যা বলতে চান, অস্বীকার করেন। যা মেনে নেয়া অসম্ভব, মানবজাতির জন‍্য ক্ষতিকর ও এক ধরনের মূর্খতা। তারা আসলে ইভালিউশন বিষয়টির বেসিস বৈশিষ্ট‍্য ও উদ্দেশ‍্য জানেন না, বুঝেন না।

ডারউইন কখনো যা বলেননি – তা খৃষ্টান, হিন্দু ও সালাফি মোল্লারা অনবরত বলেন। হিন্দু সাধু ও মুসলমান মোল্লারা বাইবেলকে অস্বীকার করলেও, তারা বাইবেলিক জেনেসিস অর্থাৎ সৃষ্টিতত্ব ঠিকই মানেন। কুতর্কটি আরো প্রখর হয়েছে – ফেইজবুকে বানর মার্কা সহজ ব্লগারদের মাধ‍্যমে, যাদের উপস্থাপনা খুবই হাস‍্যকর।

প্রকৃতি বিজ্ঞানে ডক্টরেট করা আমার অভিজ্ঞ প্রিয় স‍্যারেরা, যারা বিবর্তনবাদ পড়াতেন, তাদেরকে কখনো বলতে শুনিনি- বানর থেকে মানুষ হয়েছে। কিন্তু অনলাইন কানার হাটবাজারে, অন্ধ-অতিজ্ঞানীরা বিজ্ঞান ও সত‍্যকে নিয়ে কৌতুককর গল্প করেন, মহামতি ডারউইনকে বকাবকি করেন। যারা অধিকাংশ বুঝে না ও মানতে চায় না – ইডেন গার্ডেন বলতে বাস্তবে কোন গার্ডেন নেই, এটা মধ‍্যপ্রাচ‍্যের মিথোলজি, লোককথা। বৈজ্ঞানিক উপাত্ত, ফসিল-নমুনা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অতিআদি এককোষি জীবের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে, কিন্তু ‘টেরেস্ট্রিয়াল প্যারাডাইস’ এর অস্তিত্ব ইতিহাস, প্রত্নতত্ত্ব ও বিজ্ঞানে পাওয়া যায় না।

আমার অভিমত – কল্পকাহিনীর এ গল্পগুলো বাস্তব না হলেও অবশ‍্যই এগুলোর মনস্তাত্ত্বিক, আধ‍্যাত্ত্বিক ও মানবিক শিক্ষার বিচারে মহামূল‍্য আছে। তবে প্রতিকী বিষয়কে – বাস্তব ভেবে মানবজাতি যেন আজ মহাবিপদে আছে। আমি মনেকরি ‘আমাদের পরিবারই’ ‘টেরেস্ট্রিয়াল প্যারাডাইস’, আমাদের পিতা-মাতাই এই মহাকাব‍্যের মহানায়ক-মহানায়িকা।

মোটকথা গোরারা আজো মানতে ও বুঝতে চায় না – সব বিজ্ঞানী সমাজের সবচেয়ে জ্ঞানী, শিক্ষিত ও সচেতন মানুষ। আর ধর্মীয় সাধুরা অধিকাংশই অশিক্ষিত, মূর্খ, কোন বিদ‍্যালয়ে না গিয়ে, পাহাড়বাসী-নাগাসন্ন‍্যাসী হয়ে নিজেদেরকে মহাজ্ঞানী দাবী করেন।

আমার ব‍্যক্তিগত মত- ধর্মের সঙ্গে বিজ্ঞানের মিলানো ঠিক নয়। কারণ বিজ্ঞান হলো- প্রমান যুক্ত প্রস্তাবনা , আর ধর্ম হলো প্রমানহীন প্রস্তাবনা।

ধর্মে অনুমান ভিত্তিক, প্রমানহীন প্রচলিত মিথ‍ থাকে, যা বিজ্ঞানে থাকে না। আজকে যা বিজ্ঞানে প্রমানিত, তা কালকে মিথ‍্যা প্রমানিত হলে, বিজ্ঞানীরা দুঃখিত হন না, প্রমানিত নতুন সত‍্যকে মেনে নেন, স্বাগত জানান।

অন‍্যদিকে তথাকথিত – আচার কেন্দ্রিক ধার্মিকেরা আদি গ্রন্থের কল্পলেখাকে মিথ‍্যা প্রমানের পরও মেনে নেন না। জেনে-বুঝে অযথা রাগান্বিত হন। যা গোড়ামি সৃষ্টি করে।

সমাজকে আফগানিস্তান ও সৌদির মত পিছনের দিকে টেনে রাখতে চান। ইউরোপ-আমেরিকা; জাপান-চীনের মত প্রগতির দিকে উৎসাহিত করেন না।

তাই পাঠ‍্যপুস্তকে অভিযোজন তত্ত্ব নিয়ে যেসব যাজক-প্রাদী-মোল্লারা বির্তক করছেন, তাদেরকে আবার বিষয়টি গভীরভাবে বুঝা ও মানার অনুরোধ রইলো। নতুবা ধর্ম, শিক্ষা ও সমাজ তিনটিই অন্ধকারে ঘুরপাক খাবে। আমি নিশ্চিত – অভিযোজন ও বিবর্তন তত্ত্ব মানলে কেউ – নাস্তিক, অধার্মিক, মুরতাদ, মোনাফেক ও তামসিক হবে না। বরং সত‍্যের অনুসারী হবেন।

সবার আগে আমাদের সবাইকে বুঝা উচিত‍্ – ধর্ম ও বিজ্ঞান দু’টোরই উদ্দেশ‍্য মানব কল‍্যাণ। ধর্ম যখন অকল‍্যাণের কারণ হয় – ধর্ম তখন ধর্ম থাকে না, অধর্ম হয়ে যায়।

My book of Haiku and Visual Haiku

My book of Haiku and Visual Haiku

私の俳句と視覚俳句の本 – হাইকু আমার নতুন বই
My ‘Haiku and Visual Haiku’ book has been published today.

This Haikugraphy book with art photography is dedicated to Shahidul Alam’, a world-renowned photographer.

The bilingual book contains English and Bengali haiku and 134 relevant art photographs.
It will be available at the Ekushey Book Fair 2023, in Dhaka, Bangladesh. I hope you will like and collect it.

Japanese Baby Marriage: Pakistani Lily Vs Japanese Kawaii

Japanese Baby Marriage: Pakistani Lily Vs Japanese Kawaii

結婚: パキスタン人対日本人!!
At Narita Airport, during my trip to Dhaka, I met a Pakistani man. He was going to Karachi via Bangkok to meet his wife. He was very handsome. I was asking about his 13 years of experience in Japan.
In the open talk, I asked.
– Brother, you are attractive, many Japanese girls may like you very much, right?”
– Yes? They like.
– So, why did you not marry a Kawaii Japanese?
He smiled at my question and laughed.
– Yes, a number of Japanese girls are like me. They are cute, gentle, and modest, but not rich! They don’t want to give or take from others, very static in a relationship! There is no smooth give-and-take relationship.
– Have you married a Japanese?
– Yes, I did. I enjoy a good life with Japanese views and opinions.
Surprisingly he said,
– You have big power to manage! A Japanese wife is good at smiling like a BABY. but it is very difficult to manage without agreeing with them. I feel they don’t agree with others’ views. So I married a Lilly in my country. She is poor but understands me. I have always been loved and attracted by my wife.
– Yes, if Pakistan agreed and loved Bangladesh like your Lilly, we may still be one country.
‘It’s Raining’  – Candian Pandemic Fund and Asian Minds

‘It’s Raining’ – Candian Pandemic Fund and Asian Minds

(Canadian Public Story and Trudeaus’ Policy )
– এমন শাসক কবে গো হবে সৃজন, এশিয়াতে…

The common trends of western countries are imperialism, capitalism, media hegemony, ‘mastan-like’ self-justification, showing subjective superiority, and making slavery in different forms,. So I don’t like the western countries’ global policies and cultures.

Although the West are doing good jobs in science and technology, war, and pornography, I don’t care about their focus points in branding and global business; as they love to make hidden tricks and divisions in humankind.

Good news, after a long time, my stone-like resentment against the West has been melted like ice cream by Canadian Prime Minister Justin Trudeau. He is the hero of my change.

I appreciate very much Trudeaus’ motivation in his “rainy day fund” initiative. His public voice touched my heart. During the COVID-19 pandemic. He unexpectedly approved and spent a lot of money on public benefits by delivering inspirational words and cash dollars. Despite the huge national debates, he did not stop providing cash assistance to the general Canadian population.

Prime Minister Justin Trudeau said that Canada had always kept a “rainy day fund.” …” it’s raining” right now. This is the time of spending, and that is what we are doing.

Although Canada is a G7 country but is not rich compared to Japan. Moreover, there are many rich counties in the middle east and Asia. None of them for Asia helped the people like Trudeau and Canada. I understand Bangladesh has funding and resource limitations, but what about Japan, Saudi Arabia, the UAE, etc.?

Japan is still ‘World’s number 3 richest ‘ county but helped the people very little. Each Japanese receives pandemic aid only an average of 2000 dolor, ( equivalent to the amount of a month’s cost for a lower-middle-class family); whereas a Canadian citizen has received over 60000+ dolor, and a soft loan for continuing their business.

I thought, in a performance race, Saudi ironman “Rich Salman’ would do something better than Trudeau. But he remained silent to help the people.

I asked my Canadian friend, who lives in Canada, about how the Canadian government helps people. He said –

“Asian leaders still cannot change their rule positions. It seems they feel, they are not servent, but masters. They can not see the people’s worse realities through public eyes. Asian countries love to use their citizens for tax revenue generation, but they are not eager to help their people like Trudeau. I appreciate the Canadians’ motivation – the state’s money is for the people, and for helping in emergency crises, not for lazy saving or ruling. The Asian states should change their position 180 degrees by understanding the public mind for serving people truly.

Related link: http://bit.ly/3E2yoTX’