– সবার জীবন থেকে বন্ধ হোক সকল অনিষ্টের মুল কারণ!
শুধু দক্ষিণ এশিয়াতে না, এই করুণ বাস্তবতা সারা দুনিয়ায়। আমরা সবাই জানি – দক্ষিণগোলার্ধের দেশগুলোতে দারিদ্রতা, অনাচার ও অবিচার স্পষ্ট দেখা যায়। কিন্তু উত্তর গোলার্ধের দেশগুলো দেখা যায় না। এটাই তফাৎ!
সব দেশেই আজো রয়ে গেছে ক্ষমতাবানদের আদিম দাপর্ট ও হটকারীতা। যখন কেউ গদি ছাড়তে চায় না, অনগ্রসরদের এগুতে দেয় না, নিজের অবস্থা ঠিক রাখার জন্য নানা কলকৌশল করে – তখনই বুঝতে হবে, “ডাল মে কুচ কালা হে।” সমস্যার মুল কারণ স্বার্থপরতা, সেলফ জাষ্টিফিকেশন।
বহু বছর টানা জাপানে থেকে বুঝলাম,
আইনের শাসন ও দূনীর্তিতে জিরো টলারেন্স দেশ হওয়ার পরও – জাপানের আইন ও রীতি সব চলে ক্ষমতাবানদের অনুকূলে । করোনা সময় স্পষ্ট হয়ে গেল- সারা জাপানে অদৃশ্য দারিদ্রতায় ভরপুর। এখানে ছেচড়া চোর, ডাকাত নাই, সহজ পথে দূনীতি করে, ভিক্ষামেগে ও ভিক্ষুক হয়ে পার পাওয়া যায় না বলে – দেখা যায় না। বাংলাদেশের মত বুঝা যায় না।
ইদানিং কালে জাপানি নর-নারীর চরম টানাটানি দারিদ্রতার কারণ সংসার গড়তে চায় না। করলেও অধিকাংশই ছেলে-মেয়ে নিতে চায় না। শহরে যারা চরম দারিদ্রতায় থাকে, কিন্তু কাউকে বলতে পারে না – তারা সহজে টাকা রোজগারের জন্য অনেকে দেহব্যবসা মত সহজ পথ বেছে নেয়। বাঁচার জন্য গোপনে এটাসেটা করে। দূর্বল চিত্তের যারা সইতে পারে না – তারা মাঝপথেই জীবনকে চির বিদায় জানায়। আত্নহননের পথ বেছে নেয়। এই কারণে উন্নত হবার পরও জাপানে আজো আত্নহত্যার হার বেশী।
আমি মনেকরি – মানুষ যতদিন পর্যন্ত স্বার্থপরতা ত্যাগ করতে না পারবে, ততদিন পর্যন্ত মানুষের তাহেন তাহেন অবস্থা দূর হবে না। স্বার্থপরতাই সকল অনিষ্টের মুল কারণ! এরই নাম আমাদের সভ্যতা, তবে এমন সভ্যতা আমরা কামনা করি না।