মাস্তানি ও জমিদারীর দিন শেষ
😂😂
ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বহুত তেলেসমাতির পর, চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এর সাথে আম্রিকার প্রেসিডেন্ট ভাইদেনের লাভটকের পর; হোয়াইট হাউজ থেকে হাছা কোন প্রেসকনফারেন্স হয়নি। আম্রিকা-বৃটিশ ও ইউরোপিয়ানরা এখন অনেকটা চুপ, মুখে কুলুপ।
গনতান্ত্রিক ও তথাকথিত সুশীল সভ্য সাদাদের বিশ্বনাটক দেখে মহামতি অবাক। সবচেয়ে বেশী অবাক পশ্চিমা মিডিয়া ও কোম্পানিগুলোর স্ব-ইচ্ছায় সাটডাউন, নিজে নিজে পুংমারা খাওয়া ও সেলফ সেন্সশীপ দেখে। আশ্চর্যের বিষয় –
যুদ্ধ হয় ইউক্রেনে, আর নিউজ প্রকাশিত হয় লন্ডন ও ওয়াশিংটনে। আর পাপেট জিলিনেস্কি রাশিয়ার ধারাবাহিক কিলঘুষি খাওয়ার পরও বলে,
– আরেকটা মার, আরেকটা মার।… আরকেটা মারলে তোর নাক ফাটাইয়া দিমু, রাশিয়া।
– মাইর খাওয়া পাপেট জিলিনেস্কি পাশে কি আসলেই সুবিধাভোগি, সুবিধাবাদী মাস্তান আম্রিকা ও পশ্চিমারা আছে?
আমার তো মনেহয়, পুরো বিষয়টা আম্রিকার ষড়যন্ত্র। জেলেনেস্কিকে নাচাচ্ছে আসলে পূর্ব ইউরোপে অস্ত্রের রমরমা বানিজ্য করার জন্য, ইউক্রেনকে সাহায্য করার জন্য না।
মহামতি ভেবে কূল কিনারা পায় না, ইউক্রেন যদি নেটো ও ইইউ এর মেম্বার হয়, তারা কি বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ও সুখী মানুষ হয়ে যাবে? কোন কোয়ালিশনের মেম্বার হওয়া কি জাতে উঠা বা উন্নত হওয়ার সার্টিফিকেট? লিথুনিয়া, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, পোলেন্ড, হাঙ্গেরি, রোমানিয়া ইত্যাদি সাবেক সোভিয়েত দেশগুলো তো এখন ইইউ’র মেম্বার, সোভিয়েত ভাঙ্গার পর তারা কি আসলেও তেমনটা উন্নত হয়েছে, যেমনটা চেয়েছিল? বাস্তব সত্য – হয়নি।
পুরো বিষয়টা নিয়ে চায়ের টেবিলে কবি শুদ্ধ ও মহামতি দু’জনেই মহাচিন্তিত। আদা চায়ে চুমুক দিয়ে কবি শুদ্ধ মহামতিকে বলে,
– মহামতি হারমাতিদের দিন শেষ । অস্ত্র, পর্ণ আর সফটওয়ার নির্মাতা আম্রিকানদের দিন শেষ। মানুষমারা যুদ্ধে আমি কষ্টে পেলেও, আম্রিকা আর পশ্চিমাদের মুক্তমঞ্চে লেডামারার দেখে আনন্দিত।
– কি রকম?
– মানুষ এখন বুঝে গেছে অস্ত্র ও সফটওয়ার খাওযা বা পড়ার জিনিষ না। এগুলো না থাকলেও মানুষের চলে। ভাত, খাবার তেল না থাকলে চলে না। ওরা অস্ত্র, চুমাচুমির সিনেমা, ক্রেডিটকার্ড আর সফটওয়ার ছাড়া এখন সব জিনিষ বানানো ভুলে গেছে।
– তাই নাকি?
– হ, সত্তরের দশকের পর থেকে আম্রিকার উৎপাদন আকাশমুখী, জীবনমুখী না। এতদিন অন্যের পণ্যে এটাসেটা করে, সারা দুনিয়ার মানুষকে ভয় ও লোভ দেখিয়ে, ব্যবসার তেলেসমাতির নামে অন্যের ভাড়াভাতে ভাগড়া দিয়ে চলেছে। এক অর্থে আম্রিকা আর পশ্চিমারা গরীব ও সর্বহারার সম্পদ ও সম্ভাবনা লুট করে ধনী হয়েছে। আর বোধহয় দুই নম্বরি করতে পারবে না।
– কি রকম? বুঝিয়ে বল
– অনেক বড় গল্প। সব কথার সারমর্ম, ওরা এখন বাংলাদেশের গার্মেন্টস্ অস্বীকার করলে কাপড় না পড়ে নেংটা থাকতে হবে। এখন ওরা মধ্যপ্রাচ্য ও রাশিয়ার তেলগ্যাস অস্বীকার করলে ‘তেলগ্যাস’ ছাড়া গাড়ি চালাতে হবে, এখন চায়নাকে অস্বীকার করলে ওদের শপিং মল খুলতে হবে না, পাতিল ছাড়া রান্না করে খেতে হবে, টিসু ছাড়া সুচু করতে হবে।
কবি শুদ্ধের কথা শুনে যুদ্ধের অশান্তিতেও মহামতি হাসে।