তাহাজ্জুদি আস্তিক ও সামাজতন্ত্রি নাস্তিক , দুই মেরুতে থাকা আমার দুইজন বন্ধু আছে। মতে ও পথে দুই মেরুতে থাকা দুই বন্ধু বাপ-মায়ের সম্পদ ভাগের সময় একমেরুর মানুষ হয়ে গেল।
আস্তিক বন্ধু ধর্মমতে শরীয়া আইন মেনে বোনদেরকে তিন ভাগের এক ভাগ দিল। নিজে ভালোটা নিল, গাঙ্গিনাপাড়ের বাড়িটা বেশী পেল, কিন্তু বোনদের দিল সবচেয়ে কম দামের, ডোবার পঁচা জমিটা।
পুরুষতন্ত্রের জৌলসে সম্পদ বেশী পেয়েও মুমিনআত্না ঠান্ডা হয় না। দামী সব সম্পদ তার চাই-ই চাই। এর জন্য মুমিন ভাই, আল্লাহ’র দারস্থ না হয়ে, দারস্থ হলো মেম্বার-চেয়ারম্যানের। মতব্বরদের কাছে বিচার দিয়ে, নিজের পক্ষে বিচারটা আনলো।
আর সর্বদা ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি’ আর সমাজতন্ত্রের কথা বলা , আধা-নাস্তিক বন্ধু হয়ে গেলে পুরো আস্তিক, ধার্মিক, শরীয়াহ আইনপন্থী। ধর্ম না মানলেও, নারী-পুরুষ সমতার কথা বললেও, সে’ও একই কায়দায় বোনদেরকে দিল তিন ভাগের একভাগ, সবচেয়ে পঁচা ও কম দামের ঝুপড়ি-আড়ার জমিগুলো, আর সে নিল গুলশানের আলিশান বাড়িটা।
এইজন্য নিজের বলা, মুখে ফেলা-তোলা-মানবাধীকার, সমাধীকার, আইনের তোয়াক্কা করলো না। দলপাঁকিয়ে, মেম্বার-চেয়াম্যানদেরকে ধরে, দাপটি আত্নীয়দের কাছে সাথে লবিং-টবিং করে নিজের পক্ষে বিচারটা আনলো। সবচেয়ে দামী বাড়ি ও জমি নিজের পক্ষে নিয়ে সে এখনো সমাজতন্ত্র ও ন্যায়্যতার স্বপ্ন দেখছে। দেশ-বিদেশে আন্দোলন করছে।
সম্পদ ও জমি বন্টনে আস্তিক ও নাস্তিকের কি অপূর্ব মিল। কি অপূর্ব সংস্কৃতি আমাদের।