সুখের দেশ বাংলাদেশ
সুখী সুন্দর বাংলাদেশ

‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ মতে সুখি দেশের তালিকায় সাত ধাপ এগোল (১০১ থেকে ৯৪ নম্বরে) বাংলাদেশ! ৯৪ নম্বর নয়, বাংলাদেশকে আমি এক নম্বরে দেখতে চাই।

সুখের তালিকায় আপাতত আমি দেশের ৯৪ নম্বরে খুশী আছি। বহুত বেটাগিরি, যার না তার মাতাব্বরি, কচুপাতার পানির মত টলমল ‘জান ও মালের নিরাপত্তার’ মাঝে বীমা, পেনশন ও ইউরোপ কানাডার মত মাগনা বেকারভাতা ছাড়াই সুখে আছি, উৎসবের আনন্দে বিলে সবাই মিলে মাছ ধরি, এটা কম কথা না।

আমার আপাতত স্বস্তির কারণ হলো, সুখের তুলনা বাংলাদেশ নিশ্চিত আম্রিকার চাইতে এগিয়ে আছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষ আম্রিকার মত যত্রতত্র শপিংমলে মানুষ মারার অস্ত্র কিনতে পায় না। কথায় কথায় গরীব দেশের মানুষ মেরে সাধু-সন্ন‍্যাসি থাকার চেষ্টা করে না। পর্ণ ইন্ড্রাস্টি, ক‍্যাসিনো সিটি, যুদ্ধযান নির্মান কারখানা ও হালাল পতিতালয় বাঙালি এখনো প্রেকটিস করে না। আমার দেশের মানুষ গরীব ও অশিক্ষিত হলেও বেমানান সুশীল দেখায় না, আম্রিকার শিক্ষিতদের মত একচোখা নীরবতা পালন, সেলফসেন্সরশীপ, সর্বপরি ভালোমানুষে অভিনয় করে না।

মৌলিক অধিকার ও আয় বোজগারের বিচারে বাংলাদেশে মার্জিন বেশী থাকলেও, অগ্রসর পরিবারের সদস‍্য ও নাগরিকরা এখানে প্রায় বিনামূল‍্যে বিশ্ববিদ‍্যালয়ে উচ্চশিক্ষা, স্বাস্থ‍্যসুবিধা ( সরকারী হাসপাতালে) পায়। গ্রামের মানুষ নিজের খাবার নিজে উৎপাদন করে, গান গাইতে গাইতে ধান কাটে, মাছের ঝাল তরকারি ও আলুভর্তা দিয়ে গলা পর্যন্ত কষা ভাত খায়, আরামে দুপুরে ঘুমায়। যা ইউরোপ, আম্রিকা ও জাপানের মানুষেরা কল্পনাও করতে পারে না। বাংলাদেশের বহুপদের গরীবি খাবার খেতেও আম্রিকা-জাপান-ইউরোপে অনেক টাকা লাগে।

টাকা থাকুক বা না থাকুক, কাছামেরে নির্বাচনী মিছিল করা, বউ পিটানো, ক্ষমতাবাদের বেটাগিরি আর গলাবাজির গর্ব করা সুখ অবশ‍্যই আমাদের আছে।

তথাকথিক নির্বাচনী গনতন্ত্রের চেয়ে, এখন সরকারী-বেসরকারী দূর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও দলপ্রীতি কমানো জরুরী। পুরোপুরি আইনের শাসন থাকলে- আমি নিশ্চিত ‘ইউক্রেন ও রাশিয়া’র চাইতে দ্রুত গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাব। আম্রিকার আরো হিংসার পাত্র হব।

উন্নয়নের চলার পথে যদি বৃটিশের ভূত আর কলোনিয়াল অপশক্তি বাগরা না বাজায় , তবে অবশ‍্যই আমরা এগিয়ে যাবো। কেউ আমাদের আটকাতে পারবে না।

আমরা সবাই উন্নয়নধারা এখন জানি, কিন্তু করি না। আমাদের উন্নয়নের জন‍্য দরকার – সমতার মানসিকতা, ফাও ভাজি দিয়ে তিনটা পরোটা না খাওয়া, আর জাপানের মত সেবা প্রদানকারী কায়িক পরিশ্রমী মানুষের আয় অফিসার-লেভেলদের চেয়ে অন্তত দ্বিগুণ করা। তাহলে সত‍্যিই আমাদের সুখ ঘরে ঘরে চলে আসবে।

সরকারী হিসাব-রক্ষকরা, ট্রেজারারগণ সৎ হলে, হিসাবরক্ষন ঠিকহলে অপচয়-দূনীর্তি কমে যাবে। শেখ হাসিনা যে ভাবে এগুচ্ছেন, তাতে আমার আস্থা আরো বেড়ে গেছে। শেখ হাসিনার মত ১২ জন নেতা ও নেত্রী দেশে থাকলে, বাংলাদেশকে কেউ পিছে টেনে রাখতে পারবে না। তাই বিকল্প দেশপ্রেমিক সৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত শেখ হাসিনাকে আমি প্রধানমন্ত্রী দেখতে ভালোবাসি।

Related article: https://bit.ly/3ihd9mU

March 19, 2022