রোগটার ভালো দিক অনেক! সহজে, স্বল্প খরচে যোগাযোগ করা যায়।! নিজের ঢোল নিজেই বাজানো যায়। লজ্জ্বা না পেয়েও, খরচাপাতি না করেও তামসা করা যায়।
তবে অতিমাত্রায় বিচরণ, অনে্যর আপডেটের ব্যাপারে কুতকুতানি, মাদকাসক্তির মতোই খারাপ! মাদকাসক্ত ব্যক্তিরা ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ করেন, ভুল বা বাজে সিদ্ধান্ত নেন। গবেষকগণ বলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আসক্ত মানুষও ঝুঁকিপূর্ণ সিদ্ধান্ত বেশি নেন।
কাজের জন্য ফেইজবুক ভালো, তবে মানসিকভাবে ফেসবুকের ওপর নির্ভরশীল না থাকাই শ্রেয়।
‘ফেইজবুকের পরিমিত ব্যবহার’ কাজটা শুরু করা যেতে পারে – মোবাইলে ফেইজবুক অ্যাপস না রাখা! ইন্টারনেট কানেকশন না রাখা! রাখলেও নুটিফিকেশন অফ করে রাখা! আর আমার মত রুটিন মোতাবেব, দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করা। প্রয়োজন ছাড়া নিউজফিড না পড়া, অনে্যর টাইম লাইনে গোয়ান্দাগিরি না করা!
আর অনে্যর সাফলে্য-আনন্দে কষ্ট না পাওয়া! অনে্যর দুঃখ দেখে খুশী না হওয়া! সুপিওরিটি-ইনফিউরিটিতে না থাকা! হিংসা না করা! এতে আবেগ শুদ্ধপথে চলে, ফেইজবুকে গরম করবো না!
যাইহোক, এখনই লাগাম ধরার সময়। নইলে, যে ভাবে আশক্তি বাড়ছে; কাজ-কাম না করে, লেখাপড়া না করে, অনেককেই হয়তো অকর্মণ্য হয়ে যাবে! রাস্তায় রাস্তায় ‘ফেইজবুকিং ভবঘুরে’ বেড়ে যাবে! স্মার্টফোনে ‘এপ্রোভ প্রফাইল’ দেখিয়ে ভিক্ষা মাগবে! মোড়ে মোড়ে হয়তো, নতুন মানসিক ডাক্তারের সাইনবোর্ড পাদূর্ভাব হবে,
– ‘ফেসবুক রোগ বিশেষজ্ঞ’,
স্বপ্নমূলে্য অতি আসক্তির সহজ সমাধান!