Unity saving the people

Unity saving the people

[fusion_builder_container hundred_percent=”no” equal_height_columns=”no” menu_anchor=”” hide_on_mobile=”small-visibility,medium-visibility,large-visibility” class=”” id=”” background_color=”” background_image=”” background_position=”center center” background_repeat=”no-repeat” fade=”no” background_parallax=”none” parallax_speed=”0.3″ video_mp4=”” video_webm=”” video_ogv=”” video_url=”” video_aspect_ratio=”16:9″ video_loop=”yes” video_mute=”yes” overlay_color=”” video_preview_image=”” border_size=”” border_color=”” border_style=”solid” padding_top=”” padding_bottom=”” padding_left=”” padding_right=””][fusion_builder_row][fusion_builder_column type=”1_1″ layout=”1_1″ background_position=”left top” background_color=”” border_size=”” border_color=”” border_style=”solid” border_position=”all” spacing=”yes” background_image=”” background_repeat=”no-repeat” padding=”” margin_top=”0px” margin_bottom=”0px” class=”” id=”” animation_type=”” animation_speed=”0.3″ animation_direction=”left” hide_on_mobile=”small-visibility,medium-visibility,large-visibility” center_content=”no” last=”no” min_height=”” hover_type=”none” link=””][fusion_text]

Children always look the unity of father and mother for the embodiment of love in the family. It brings the joy and happiness in the life of children and parents both; which expand to the society as well.

– Unity saving the people. unity saving the family, unity saving the nation.

Photo: Daughter Anika at the meeting point of Ko-sado and. O-Sado mountain ranges in the Japan sea.

[/fusion_text][/fusion_builder_column][/fusion_builder_row][/fusion_builder_container]

এসো শত্রুকে ভালোবাসি

আমরা জনি, পৃথিবীর প্রথম এটম হত‍্যাযজ্ঞের ঘটনা জাপানে ঘটেছে! মাত্র দুটো বোমাতেই আম্রিকা প্রায় ৩ লক্ষ জাপানি হত‍্যা করেছিল! জাপানিরা সেই করুণ ইতিহাস ভুলে গেছে। শত্রু আম্রিকাকে ক্ষমা করে, বন্ধু বানিয়ে নিয়েছে। হিরোসীমা-নাগাশাকি কোন দিবসেই জাপানি টিভিতে জ্বালাময়ী টকশো হয় না, পত্রিকাগুলোতে প্রকাশিত হয় না ঘৃণার ক্রোড়পত্র!
 
শত্রু আম্রিকাকে শুধু জাপানি সরকার না, অধিকাংশ জনগন এখন পছন্দ করে, মিত্র মনেকরে! গণতন্ত্র ও উন্নয়নের রোল মডেল হিসাবে রাজতন্ত্রের পাশাপাশি মার্কিন ঢঙ্গে পুঁজিবাদ চর্চ্চা করে। রাজতন্ত্র-গনতন্ত্র-পুঁজিতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা আর সাম‍্যবাদের সম্মিলনে জাপান আজ মানবাধিকারে সভ‍্য, প্রতিষ্ঠা করেছে অনন‍্য শাসন পদ্ধতি।
 
জাপানিদের প্রায় সবকিছু আমার ভালো লাগলেও, আম্রিকা প্রীতি বিষয়টি নিয়ে আমি জাপানীদের সঙ্গে কোনভাবেই একমত হতে পারি না! তারপরও শক্রুকে মাফ করে দিয়ে বন্ধু বানিয়ে ফেলার উদাহরন প্রসংশা করি! নিজের জীবন ও সম্পর্কগুলোতে প্রয়োগের চেষ্টা চালাই!
 
আসলেই যারা শত্রুকে ভালোবেসে বন্ধু বানাতে পারে, তার মতো সহজে সফল‍তা কেউ পায় না। এমন মানুষকে কেউ সহজে পরাজিত করতে পারে না । তারপরও পরাজয়ের ভয়ে আমরা শত্রুকে ঘৃণার মাত্রা পদে পদে বাড়াই, নিজের পরাজয়কে আরো নিশ্চিত করি। শত্রুকে ভালোবাসি না । যাকে পছন্দ হয় না তাকে মুখও দেখাতে চাই না।
____________
Loving Enemy

Japan loves its enemy ‘US’ as the most bosom friend. Making friends the enemy is a great job. If one can do it, s/he must will success one day. No body can defeat such persons.
 
Animation on atom attack: https://www.youtube.com/watch?v=SwdmgOfnQ9s
‘ভালো লাগে না!’ – একটি রোগের নাম!

‘ভালো লাগে না!’ – একটি রোগের নাম!

ইদানিং জাপান সহ উত্তর বিশ্বের দেশগুলোতে ‘ভালো লাগে না!’ এই রোগটা বেশ রেড়ে গেছে। এর কারণে শিশু হত‍্যা, আত্নহনন, অকারণে বিবাহ বিচ্ছেদ, বিরোধ, বেহেমিয়ানগিরি, নেশাবাজি, কাজ-কর্মে অনাগ্র, অযথা অভিযোগ, স্বেচ্ছায় দারিদ্রতা গ্রহন অাশঙ্কাজনক ভাবে দ্রুত বাড়ছে!

এর মুল কারণ ব‍্যাখ‍্যায় জাপানি টিভিতে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন – একাকিত্ব, প্রেম অভাব, একাধিক পার্টনারের সঙ্গে লটর-বটর, অন‍্যকে বুঝতে না পারা, বাস্তবতাকে মেনে না নেয়া, নিজের অজন্তে স্বার্থপরতার চরম চর্চ্চা করা, সামাজিক ও মানসিক সম্পর্কের হাইপারটেশনে জটিলতায় নিজেকে জড়িয়ে রাখা!

সংসার কেন্দ্রিক ও সমাজিক দায়িত্বশীলতায় ব‍্যস্ত মানুষের এই রোগটা নাকি কম হয়। যারা কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক গেইমস্ ও ইন্টারনেট নির্ভর জীবনযাপন করেন তাদের নাকি এ রোগটা বেশী হচ্ছে!

জাপান সরকার – এর প্রকোপ নিয়ে শঙ্কিত। তাই স্কুলে, সামাজিক অনুষ্ঠানে ও কর্মস্থলে মানুষকে নানান ভাবে স্বাভাবিক জীবনে আগ্রহী করার চেষ্টায় চলছে। সংসারমুখি করার জন‍্য চালু করেছে নানান সুবিধা! নিয়মিত ব‍্যায়াম, খেলাধুলা, পরিবারের সাথে অন্তরঙ্গ বসবাস করে, নিয়মিত বিনোদন, গান-বাজনা করা, প্রকৃতি দেখা ও নিজের প্রতি যত্নবান হয়ে নাকি এ রোগ থেকে দ্রুত আরগ‍্য লাভ করা যায়!

কষ্টের কথা – চীনে’গেইম ও ইন্টারনেটে’ নেশাগ্রস্থ কিশোরদেরকে স্বাভাবিক জীবনে আনার জন‍্য তো ইতিমধ‍্যে বিশেষ জেল খানা চালু হয়েছে। জাপানে জেলখানা এখনো চালু না হলেও – স্কুল. শিশু-কিশোরদের দিনে ১ ঘন্টার বেশী স্মাটফোন ও গেমস্ ব‍্যবহারের অনুমতি দেয় না! বাবা-মা ও বিষয়টা বিশেষ নজরে দেখাশোনা করে।

সো‍স‍্যাল মিডিয়ার কারনে আমরা বিশ্বের বাস্তবতা থেকে এখন আর আলাদা নই । তাই প্রিয় বাংলাদেশী ভাই-বোনদের বিষয়টি নিয়ে সর্তক থাকার অনুরোধ রইলো।

ব্রাজিল যাত্রা

ব্রাজিল যাত্রা

 
২০০০ থেকে ২০১১ পর্যন্ত ছিল আমার বিদেশযাত্রার বছর। এমনও দিন গেছে, প্রতিমাসে কয়েকবার বিদেশ যেতে হয়েছে, যতনা কাজের কারণে – তার চেয়ে বেশী ছিল ফুটাঙ্গি দেখানোর জন‍্য।
 
নিজের টাকা তেমন লাগেনি। গরীব দেশের মিডিয়া, অধিকার ও উন্নয়নকর্মী হওয়ার কারণে দাওয়াতের সঙ্গে টিকেট, হোটেল বুকিং আর ছোট লেকচারের বিনিময়ে ডলারও পেয়ে যেতাম। বিষয়টা বেশ ভালোই লাগতো। নিজেকে এলিট এলিট মনে হতো!
 
প্রায় ২০টি দেশে অহরহ ভ্রমনের মাঝে ব্রাজিল যাত্রা ছিল আমার সবচেয়ে দীর্ঘপথের ভ্রমন। বাংলারাইটস্ / দৃকের প্রতিনিধি হিসাবে ২০০৩ ব্রাজিল গিয়েছিলাম, ১১ দিনের এক আন্তর্জাতিক কলোকিয়ামে যোগ দিতে। ঢাকা-দিল্লী-লন্ডন-সাওপাওলো, এই দীর্ঘপথ যেতে প্রায় ২ দিন লেগেছিল। গোলার্ধে বাংলাদেশের প্রায় বিপরীতের ব্রাজিলের অবস্থান ( প্রকৃতপক্ষে চিলি)! সময়ের ব‍্যবধান, বৃটিশ এয়ারলাইন্সে বিয়ার-ওয়ানের গন্ধ, ঘুমন্ত সব যাত্রীর মাঝে নিঘুম থাকার বেদনা, টানা বসে থাকতে থাকতে কোমড়ের ব‍্যাথা আজো মনে পীড়া দেয়। ঢাকায় এসে কানে ধরে ছিলাম, আর বিদেশ যামু না! কিন্তু কাজ আর বিনা-পয়সায় পাঁচতার হোটেলো থাকার লোভ সামলাতে পারিনি!
 
লন্ডন থেকে দীর্ঘ পথ পাড়ির পর যখন সাওপাওলে এয়ারপোর্টে নামলাম; একদল সুন্দরী অধিকারকর্মী আমাদেরকে সম্বধর্না দিতে এগিয়ে আসলো। আমরা ১৯২ জন আন্তজাতিক একটিভিষ্ট ছিলাম! একে একে সবার পরিচয় জানছে, এমব্রেস করছে ও হালকা চুমুও দিচ্ছে। আমার পালা আসতেই আমি টেনশনে প্রায় পড়ে গেলাম। নারীর নরম বুকের প্রথম ছোঁয়ায় আমার লাজে যেন জান যায়।
 
তখনও বিয়ে করেনি। বিয়ে ছাড়া নারী-পুরুষের সঙ্গ আমার কাছে অকল্পনীয়। আয়োজক ‘অ‍্যানিসান’ বুঝে ফেললো, আমি ফ্রি কালচারে অভ‍্যস্থ নয় । জিজ্ঞাসা করলো –
– বাংলাদেশে কি মুসলিম দেশ?
আমি মুচকি হাসলাম!
 
এরপর থেকে আমার কাছে, খাবার সহ সব কিছুই না চাইলেও হালাল ফ্লিলটার হয়ে আসতো। তারপরও সানপাওলো বিশ্ববিদ‍্যালয়ের দামাল ছেলে-মেয়েরা মানতো না । ওয়ান পান না করলেও প্রতিরাত্রে ২০ ডলার করে চাঁদা দিতে হতো।
 
সবচেয়ে অবাক লেগেছিল গভীর রাত্রে যখন ‘রিও ডি জেনারিও’ থেকে আগত এক সুন্দরী অধিকার কর্মী হোটেলের লবিতে দীর্ঘ রসালো আলাপের শেষে বললো,
– আজ, আমি তোমার রুমে রাতে থাকতে চাই!
 
একজন নারী আমার সঙ্গে রাত্রি যাপন করবে, শুনেতেই আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। সবেমাত্র মিসুজু সানের সঙ্গে বিবাহ রেজিষ্টেশন হয়েছে, কয়েক দিন পরে সংসার শুরু করবো। এখন যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে তো বারোটা বেজে যাবে! মিসুজু সান না হয় শুনলো না, ‘নিত‍্য’ তো সবই দেখবে। আমি দৃঢ় প্রতিজ্ঞা হয়ে গেলাম। আমি বললাম,
– তুমি বস, আমি রুম থেকে আসছি।
 
আমি সেইযে রুমে গেলাম আর নীচে নামিনি!
 
সকাল হওযার আগেই আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। হোটেলের জানালা থেকে দেখি, সারা আকাশ যেন স্বগীয়, পবিত্রার হাসিতে হাসছে। চারদিক অপরুপ আলোতে আলোকিত। বুঝলাম – সতিত্ব রক্ষার পুরুস্কারে তাঁর দেখা মিলেছে।
 
সেদিন যে আকাশ আমি দেখেছি, তা আজো দেখিনি। সকালে নাস্তার টেবিলে সুন্দরী আমাকে দেখে বললো,
– তুমি তো আর আসলে না । পরে অন‍্য বন্ধুর সাথে ঘুমিয়েছি।
আমি বললাম,
– দুঃখিত, আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।
 
—————
বি.দ্রঃ দীর্ঘদিন উন্নয়ন-ভ্রমনে নীরবতার পরও, মাল্টিমিডিয়ায় উন্নয়নের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করার কারণে – আমার কাছে এখনও প্রায়শঃ নিমন্ত্রণ আসে । আমি নিজে না গিয়ে সংশ্লিষ্ট ব‍্যক্তি ও সংঘঠনকে ফরওয়ার্ড করে দেই।
 
২০১১ সালে সর্বশেষ থাই যাত্রার পর উন্নয়ন ভ্রমন ইস্তিফা দিয়েছি। ব‍্যংকক থেকে ‘ড্রাগন ফল’ নিয়ে এসেছি। সবাই আনন্দ করে খাবো! এসে থেকে সারা বাড়ীতে কান্নাররোল! বউয়ের দেখাদেখি ছেলে-মেয়ে দুটোই কাঁদছে! অনেকে অনুরোধের পর বউ কান্না থামিয়ে ফুপাতে ফুপাতে বলল,
– আপনি তো এনজিও’র লোক না। এনজিও সংক্রান্ত কোন ইনভাইটেশন আসলে, অযথা আপনি যাবেন না। এটা বাংলাদেশের জন‍্য আসে। সবাই বাংলাদেশকে ভালোবেসে ডেনেশনটা দেয়, যাতে বাংলাদেশ উন্নত হয়! আপনার আনন্দ-ফূর্তির জন‍্য না! অন‍্যরা, যারা সরাসরি মানুষের সঙ্গে কাজ করে তারা গেলে – বাংলাদেশের অনেক বেশী উপকার হবে। অভিজ্ঞতাটা কাজে লাগবে। বিদেশ যেতে মন চাইলে নিজের টাকা দিয়ে যাবেন, টুরিজম করবেন। খরচের কষ্ট থাকলেও আনন্দ পাবেন।…
 
সেই নাকে খতের পর যে কয়েকবার বিদেশ ভ্রমন হয়েছে, সবই নিজের টাকায়! প্রথম প্রথম সর্বশান্ত মনে হলেও এখন গা সয়ে গেছে। মনেহয় এটাই স্বাভাবিক।
 
সত‍্যিই, নিজে বিদেশ না গিয়ে, অন‍্যকে ফরওয়ার্ড করে দিলে আরও বেশী আনন্দ লাগে। বন্ধুদের কাছ থেকে যখন ধন‍্যবাদ ইমেইল পাই, হাসোজ্জ্বল মুখ দেখি আনন্দের সীমা থাকে না।
সো‍স‍্যাল মিডিয়ায় সফলতার মহাসুত্র

সো‍স‍্যাল মিডিয়ায় সফলতার মহাসুত্র

 সোসাল মিডিয়ার দাপটের যুগে – কাজ ও আনন্দের সময় বের করা ৭ মহাসুত্র
 
১. অতি আবেগের প্রশমনের জন‍্য শুধু ব‍্যস্ত সময়ে ফেইজবুক ও সোসাল মিডিয়া ব‍্যবহার করা
( দুপুরে হলে ভালো! সকালে ও রাতে বা ঘুমানো আগে পরিতাজ‍্য ! এতে কাজ ও ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে!)।
২. অপরিচিত ও ভারচুয়াল বন্ধুদের আপডেট না পড়া, লাইক-কমেন্টস ও শেয়ার না দেয়া!
৩. প্রয়োজন ছাড়া অন‍্যের টাইমলাইনে ঢু না মারা! বন্ধুরা রাগান্বিত বা হিংসা করতে পারে, বা আমার অংহকারের দাপট বেড়ে যেতে পারে – এমন পোষ্টিং এড়িয়ে চলা!
৪. স্মার্ট ফোন থেকে সোসাল মিডিয়া এপস ডিলিট করে দেয়া । ব‍্যবহারের পর লগ আউটে থাকা ও নিদ্দিষ্ট বন্ধু ব‍্যতিত সবার জন‍্য মেসেঞ্জার অফ করে রাখা!
৫. শুধুই কম্পিউটারে ই-মেইলো বিকল্প হিসাবে সোসাল মিডিয়া অর্থাৎ ফেইজবুক-টুইটার-ইউটিউব ব‍্যবহার করা!
৬. অপরিচিত – যেমন, সাক্ষাৎ হয়নি, কাজে লাগবে না বা লাগার সম্ভাবনা নাই এমন কুতুবদের বন্ধু বানিয়ে জিলাপির প‍্যাঁচে না প্রবেশ করা!
৭. সোসাল মিডিয়া দিয়ে দুনিয়া পরির্বতন, বিশ্বখ‍্যাত ও বিলিয়নিয়ার হওযার স্বপ্ন না দেখা! বই ও সংবাদপত্র পড়ার লাভ ও স্বাদ নেয়ার চেষ্টা না করা।
( যত বেশী ব‍্যবহার করবেন জুকারমিয়া, গুলল মিয়ার তত লাভ! আপনার তত ক্ষতি…)
 
এই সাতসুত্রের বাস্তবায়নের পরে – কাজ করে, বই পড়ে, আড্ডা মেরে, ছেলে-মেয়ে, বয়ফ্রেন্ড-গার্লফেন্ড, চাচা-চাচি, জেঠা-জেঠি, শশুড়-শাশুড়ি প্রমুখের সঙ্গে হৈ-হুল্লা করে, ভালোবেস, আনন্দ-ফূর্তি করে সময় শেষ করতে পারবেন না!
 
সুন্দর সুন্দর বইয়ের বন‍্যায় আপনার টেবিল আবার সায়লাব হবে!
 
সোসাল মিডিয়ার সঠিক ব‍্যবহারের মহাসুত্র বাস্তবায়নের লাইনে আমি আছি! আমার সঙ্গে আপনিও বিনা পয়সায় যোগদান করতে পারেন। দেখি কত দূর যায়। গত ৫ বছর ধরে আইফোন ও স্মার্টফোন আমি ব‍্যবহার করি না বললেই চলে! বেশী সময় অফ করে রাখাতে নষ্ট হইয়া গেছে।
“বাইচা গেছি”…
 
“অনেক শান্তি নিজের ঘরে, খুঁজে বেড়াবো না অন‍্যর ঘরে!” এ স্লোগান সফল হোক!
 
বৎসগণ, পরোচিত হবেন না, বেশী বেশী সোসাল মিডিয়া ব‍্যবহার করে নাজাত পাবেন না!
সাধু-সন্তের লাইনে আসুন! সাঁইজে কইছে, ‘সময় গেলে সাধন হবে না!…’ সময় নষ্ট করবেন না, প্লিজ!
 

I am the person of NEW MEDIA. But I love to restore my position as that of OLD MEDIA to create time for joy, happiness, and works. This decade, the digital media has been developed tremendously, however making us unnecessarily busy. I think media-development until 2007 is enough for communication and human rights development.

বিখ‍্যাতের প্রতি ভালোবাসা!

বিখ‍্যাতের প্রতি ভালোবাসা!

গতকাল টিভিতে ক‍্যন্সারে মৃত‍্য হয়েছে এমন একজনের জীবরের উপর রিপোট দেখাচ্ছিল। আমি কাজে মগ্ন ছিলাম। হঠাৎ ক‍্যান্সারের কথা শুনে, আমি বউকে জিজ্ঞাসার করলাম – কে ইন্তেকাল করেছেন? বিখ‍্যাত কেউ?
 
আমার প্রশ্ন শুনে, বউ নীরব-নিথর! হতভম্ব দৃষ্টিতে অশ্রু ছলছল আবেগে বলল, “বিখ‍্যাতরাই কি মানুষ, অন‍্যরা কি মানুষ না? আপনার পরিবারে কে সবচেয়ে বিখ‍্যাত মানুষ ? আপনি, আমি নাকি অন‍্য কোন মহামানব?..”
 
কথাটা আমার লেগেছে।
 
আসলে এক অখ‍্যাত সদ‍্যপ্রায়াত ফুল চাষীর জীবন কাহিনী দেখানো হচ্ছিলো, যিনি মানুষকে আনন্দ দেয়ার জন‍্য ফুল চাষকে পেশা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন। বিখ‍্যাত ছিলেন না, সারজীবন ফুল চাষ করে গ্রামে কাটিয়েছেন । ফুলের প্রতি ভালোবাসার জন‍্য তিনি যৌবনে নিজ-খরচে বুলগেরিয়া এবং ফ্রান্সও ভ্রমন করেছিলেন।
 
সত‍্যিই, বাংলাদেশে আমারা কত মিথ‍্যা আবেগে, কত জটিলভাবে গড়ে উঠে! আমার বেড়ে উঠাও সাধারণ প্রবাহের বাহিরে নয়। বিখ‍্যাত হলে আমরা খারাপকেও গুরুত্ব দেই, গরু-ছাগলকেও মাঝে মাঝে সাধু-সন্ত বানাই! যার কারণে প্রায় সবাই গুরুত্ব পাওয়ার জন‍্য, বিখ‍্যাত হওযার প্রতিযোগিতায় গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দেই! অথচ সব মানুষই মর্যাদায়,অধিকারে, স্বীকৃতিতে সমান! অথাকথিত বিখ‍্যাত হলেই শুধু মিডিয়াতে খবর আছে।
 
প্রতিদিন কত মানুষ যায়-আছে। প্রতিটি মানুষই তার পরিবার, সমাজ ও দেশের জ‍ন‍্য কত কাজই না করে, কত কিছুই না ভাবে, কতই না গুরুত্বপূর্ণ! যাদেরটা ক্লিক করে, যারা চৌকষ হয়, তথাকথিত স্মার্টনেসের সাথে নিজের ঢোল-বাজাতে জানে, অন‍্যকে দিয়ে বাজানো কাজটা করাতে পারে, তাদেরকেই আমরা বিখ‍্যাত বলি! চালাক এই মানুষগুলো নিয়ে আমারা বিজয়ের উল্লাসে মেতে উঠি। নিজের অমুন‍্য সময় নষ্ট করি!
 
নামকরা ব‍্যাক্তিদের ছবি তোলে বিখ‍্যাত হয়েছেন প্রিয় ফটোগ্রাফার নাসির আলী মামুন (Nasir Ali Mamun THE PORTRAIT MAN ) এক বক্তব‍্যে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা যাদের বিখ‍্যাত জানি তাদের ব‍্যক্তিগত জীবন যদি শুনেন তবে হতভম্ব হয়ে যাবেন। অনেকে এত খারাপ মানুষ যে তাদের আশে-পাশে ভীড়তে চাইবেন না ! কারো করাে পরিবারিক জীবন ও সম্পর্ক নরকের মত দূর্বিসহ। আমি ৪০ বছের বেশী সময় ধরে তাদের অজানা কথা শুনেছি, জেনেছি , সহ‍্য করেছি, ভালোবেসে ছবি তুলেছি।…
 
( Many people contribute many ways, having right to be a famous. When many people know something and someone with tricks of promotions, becomes famous, but everybody does the good jobs as much as possible in the spheres of life. )