Aug 24, 2017 | The Opinion
( Peach / Momo from Fukushima )
গতকাল ফুকুসিমা থেকে আমার শfশুড়ি গরমে জামাই আদরের অংশ হিসাবে এক বক্স পিচফল পাঠিয়েছেন। পিচ জাপানে মম নামে পরিচিত।
গ্রীম্মে জামাইকে আম-কাঁঠালের দাওয়াত দেয়া; জামাই শশুর বাড়ি গেলে পোলাও আর ঝাল মাংস খাইয়ে ঘামিয়ে ফেলা, পাশ থেকে মেয়ে-শাশুড়ী দুইজনেই বিছুন (পাখা) দিয়ে জামাকে বাতাস দেয়ার বাংলাদেশের মত রীতি এখানে নেই । তবে ঋতু অনুযায়ী উপহার পাঠানোর রীতি আছে।
আমার শাশুড়ি জানেন – ফল আমার পছন্দ । তাই প্রতি ঋতুতেই মিষ্টি ফলের বক্স পাঠান। মমগুলো সত্যিই মজার ছিল। খেয়ে গরমে ক্লান্ত হৃদয় ঠান্ডা হয়েছে।
বলতে দ্বিধা নেই
– শুশুর বাড়ি জিন্দাবাদ!
Aug 23, 2017 | The Opinion
জীবনের প্রথম থেকেই পথ আমাকে ধরে না! প্রথমে মনেহয় ভুল পথে চলছি, মনোঃকষ্টে সময় যাওয়ার পর দেখি, ঠিক পথেই আছি!
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান পড়ার সময় আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই বলতো,
– এই মিয়া, কি সাবজেক্ট পড়? এইডাতে তো কোন চাকুরি-বাকুরি নাই! কলেজেও তো পড়াইতে পারবা না!…
কমন-কালা মন্তব্যে অনেকাংশে আমি নিরুৎসাহী হতাম, চুপসে যেতাম!
এখন তো দেখছি এই লাইনেই সবচেয়ে বেশী ও দামী চাকুরি। আর জলবায়ূ ইস্যু আসার পর থেকে তো রমরমা।
কিন্তু ইতিমধ্যে তো ২০ বছর চলে গেছে। পিছনে ফেরার সুযোগ নেই। তারপরও হিসাব-নিকাশ করে দেখলাম, অজান্তে চুপে-চুপে মিডিয়া, জলবায়ূ পরির্বতন ও পরিবেশ নিয়ে অনেকগুলো মাল্টিমিডিয়া প্রডাকশন করেছি, যা আমাকে ইমেজ ক্রাইসিস থেকে রক্ষা করেছে, ভবিষতেও আরো কাজ হবে আশাকরি!
– ক্লাইমেট চেঞ্জ সেল, সিডিএমপি/ইউএনডিপি, সিএসআরএল/অক্সফাম, লাইট হাউজ, এনগেইমিডিয়া, প্যানস লন্ডন, ওয়ান ওয়ার্ল্ড, দ্বীপ-উন্নয়ন, ইকুটিবিডি, ক্লাইমেট রেডিও ইত্যাদি ২০টি’র অধিক সংঘটন, এনজিও এবং প্রজেক্টের ই-বুক, ওয়েব, ভিডিও, রিপোর্ট ও অডিও ষ্টরি ইত্যাদি বানানোর অভিজ্ঞতা আমাকে বেশ আরাম দেয়!
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের উপর অজস্র ছবি, মাল্টিমিডিয় ব্লগপোষ্ট ইমেজহীন বাস্তবতায় আমাকে যেন ইমেজ দেয়! ভূ-বিজ্ঞান বিষয়টি খারাপ না! প্রিজোডিজ ও মনের ভুলে অনেক সুযোগ নষ্ট হয়েছে বোধহয়! প্রফেশনাল প্রকৃতি-বিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগটি হাত ছাড়া হওয়ায় এই পৌঢ়ত্ব্যে মাঝে মাঝে বেশ কষ্ট লাগে!
Aug 20, 2017 | The Opinion
Earth celebration celebrated today on the bank of Lake Kamo (加茂湖). With children, I also joined in this indigenous celebration. Many children with cheers designed oyster-shells, bottles, two wood boats etc. In the closing children used the boats as the cradle. The children enjoyed the swing in the flow of cold-fresh water-air of the lake.
Aug 18, 2017 | The Opinion
‘চেয়ার আমার সামনে নাকি তোমার পিছনে’ এই সূত্র যে বা যারা মিলিয়ে ফেলতে পারে তাদের জীবনের হিসাব বদলে যায়, বাস্তবতা পাল্টো যায়, অনেক দ্বন্দ্ব ও ঝামেলা জানালা দিয়ে পালায়।
সত্যিই যে চেয়ারে বসে কথা বলে তার জন্য চেয়ার পিছনে, আর যে চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে তার জন্য সামনে। যখন আমরা নিজের অবস্থান পরির্বতন করি তখন চেয়ারের অবস্থানও বদলে যায়।
এসো চেয়ারের অবস্থান বুঝি; জীবন, পরিবাবার ও সমাজ দ্বন্দ মুক্ত করে শান্তিতে টইটুম্বর করে ফেলি!
The position of chair for the subject is on the back. In the same reality for the object is on the front! If one changes the position, the position of the chair also changed together with the view! If one can understand this norm, the problem of conflicts solves easily.
But we don’t want or can not change our position mostly for the ego! Let be ego free creative and solve your problems within a moment without any monetary investment. It’s free and depends on your choice.
Aug 16, 2017 | The Opinion
Objective views and practices are the best and easy way for conflict resolution. It is easy but we can not do mostly for our subjective views and behaviors.
Most of the persons of the world are subjective and parental. In the way, subject and object live in restless and unwanted realities. Something subjective view kills our peaceful relationship also.
If the object can not understand the subject’s love, , even it is true, this is not loving. Such kinds love also sometimes become the reason of conflict.
So we need to be objective as much as possible by understanding, loving and serving others. It is wise to study the objective’s views, liking and reality before making any interaction.
সারমর্ম – এত ভালোবাসি তবু, কও না কথা কেন বউ!…
Aug 15, 2017 | The Opinion
মুজিব বাইয়া যাওরে!….
১৯৭৫ সালে আমার বয়স ৬। তেমন বুঝমান হয়নি। বাবা আমার সঙ্গে বিছানায় শুয়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদছেন, আর বেদনায় ভাওইয়া সুরে গাইছিলেন, “মুজিব ভাইয়া যাওরে!….”
কেন কাঁদছিলেন, তখন বুঝতে পারিিন! তবে মনে আছে- অবাক হয়ে বাবার অশ্রু মুছে দিয়েছিলাম।
বড় হয়ে জেনেছি, যে দিন বাবা কেঁদেছিলেন, দিনটি ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট! স্বপরিবারে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার দিন। আমার পিতা অফিসিয়ালি মুক্তিযোদ্ধা কিংবা আওয়ামীলীগের নেতা ছিলেন না। আমি যখন স্কুলে পড়ি, তখন বাবাকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম,
– মুক্তিযুদ্ধের সময় তুমি তো তরুণ ছিলা, যুদ্ধে যাও নাই কেন?
বাবা কাঁদু কাঁদু কন্ঠে বলেন,
– সাহস কম আছিলো। বাড়িত থেইকা কেউ যাইতে দেয় নাই। যুদ্ধে যাই নাই ঠিকই, যুদ্ধের চেয়েও বেশী করেছি। আমি মুক্তিযোদ্ধাদের ইনফরমার ছিলাম। গ্রামে গ্রামে সাইকেল দিয়ে ঘুরে খবর সংগ্রহ করতাম। আর মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে খবর পৌঁছে দেয়াই ছিল আমার কাজ। সব সময়ই হাতের ভিতর আত্না লইয়া ঘুরতাম, যে কোন সময় রাজাকাররা আমাকে মেরে ফেলতে পারতো! জয়ের জন্য, আত্নরক্ষার জন্য যুদ্ধাদের হাতে তো অস্ত্র থাকে, আমার তো তাও ছিল না….বলে কেঁদে দিলেন!
– পাকিস্তান রক্ষার যুদ্ধে যাইনি, সাইকেল নিয়ে টইটই করে ঘুরতাম বলে, রাজাকার আর পাকসেনারা কয়েকবার ধরেছিল, মেরে ফেলতে চেয়েছিল। আল্লাহর রহমতে প্রতিবারই কোন না কোন উছিলায় বেঁচে গেছি…
মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গব্ন্ধুর প্রতি পিতার ভালোবাসা শেষ পর্যন্ত অটুট ছিল। ১৫ই আগস্টের দিন কাজ করতেন না। ফকির খাওয়াতেন। বাবা এখন এই জগতে নেই, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি, জাতির পিতার প্রতি তার ভালোবাসা আজো রযে গেছে, আমার অন্তরে। কেউ মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু নিয়ে কুটুক্তি করলে পিতা ‘তেলে-বেগুনে’ রেগে যেতেন, সরাসরি বকাঝকা করতেন। আমি বকাবকি না করলেও, ক্ষুব্ধ হই। বালবেটা বলি!
আমরা মনেহয়, জাতীয় শোক দিবস ১৫ই আগস্টে, যে মানুষ উল্লাস করে, ভূয়া জন্মদিন পালন করে, সে যেই হোক, সে পৃথিবীর সবচেয়ে মন্দ বাঙালি! আমি স্কুল জীবন থেকে এই এক পক্ষের কাঙালি ভোজ, মিলাদ, কীর্তন-প্রার্থনা; আরেকপক্ষের জম্মোৎসব পালন, বড় বড় কেক কাটা দেখে আহত হয়েছি। এমন জন্মদিনের অনুষ্ঠানে কে কে হাততালি দিত, পত্রিকায় দেখা তাদের হাসিমূখ এখনে আমার চোখে ভাসে, আহত হই।
ছোট থেকেই বাবা আমাকে রাজনৈতিক ও সমাজ সচেতনতা শিখিয়েছেন, যা আজো আমাকে সুপথ দেখায়। আমার পিতা বিখ্যাত, অনেক বড় শিক্ষিত বা বিশাল ধনী মানুষ ছিলেন না, নিম্ন মধ্যবিত্তের মানুষ ছিলেন, কিন্তু তার অন্তরে ভালোবাসা ছিল, দেশপ্রেম ছিল। এমন পিতার সন্তান হয়ে আমি গর্ববোধ করি।