কুবে বিফ, পৃথিবীর সবচেয়ে দামী গরুর মাংস, মেইড ইন জাপান!
( Most expensive beef of the world, price per KG US$ 1500 to 5000 )
——–
স্বর্গে যাওয়ার আগে স্বর্গের খাবার পৃথিবী অভ্যাস করে যেতে পারলে মন্দ হবে না। ২০০৫ সাল থেকে আমার ইচ্ছা, এই খাবারটা আমি খাবো , কিন্তু আমার রোজগারে থৈ কুলায় না। দাম বেশী না, প্রতি কেজি ১ লক্ষ থেকে ৪লক্ষ। ( রকম ও স্বাদের উপর নির্ভর করে দাম হয় )
ভাবতে পারেন – এত দামী গরুর মাংস খেতে কেমন? আমিও তাই ভাবছি।
আর যে গরুর মাংস এত দামী সেই গরুই বা কেমন, কেমন করে লালন-পালন করা হয় ।
( গরু পালনের উপর রিপোট // https://www.youtube.com/watch?v=DFPMOxQB1tg )
পৃথিবী বিখ্যাত গরুর মাংস শুধু জাপানের কুবে শহরে পাওয়া যায়।
( একজন ভোজন বিলাসীর অভিজ্ঞতা // https://www.youtube.com/watch?v=w9H4Nv4EsKE )
কোরবানীর গরুর মাংস ও ইন্ডিয়ান দেবগরুর মাংসে যাদের স্বাদ মিটে নাই – তারা কুবের গরুর মাংস খেয়ে স্বাদ মিটাতে পারেন। নিশ্চিত পকেট খালির সঙ্গে সঙ্গে স্বাদ মিটুক বা না মিটুক বলতে বাধ্য হবেন
– ভাই, আর খামু না, পেট ভইরা গেছে।
– তাকাই ( অনেক দাম)! এখনো খাই না। খাইতে পারুম বলে মনে হয় না।..
যারা খায় তারা অবশ্যই কেজি হিসারে খায় না! খায় গ্রাম বা পাউন্ড হিসাবে । ১০০ গ্রাম খেলে নাকি স্বাদ মিটে যায়। স্বপ্ন আছে, জীবনে একবার স্বাদ মিটানোর। একটা দাওয়াত পাইলে মন্দ হইতো না।
বউকে কইলাম,
– একবার খাওয়ান না ?
কয়,
– খেয়েছেন তো তিনবার! সাদোর কালো বিফ! একই প্রজাতির । এটারও তো অনেক দাম ১০০ গ্রাম ১০০ ডলার।
সাদোর কালো বিফ সত্যিই মজার ও সুস্বাদু! আর যাইহোক, দুধের স্বাদ ঘুলে মিটেছে ভেবে, শান্তিতে আছি!
‘ফসল ভরা ক্ষেত’, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্যের একটি!
( ‘Crop field’ is one of the most beautiful landscape of the planet. )
এবারের ঈদটা জাপানেই করতে হলো। অনেক ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশে করার, যেতে পারলাম না । নসিবে নাই!
বাংলাদেশ ও জাপান একই এশিয়ার হলেও, ঈদ ও ধর্ম পালনে ভিন্ন দৃশ্য। এখানে কোন ধর্মের ভিত্তিতে সরকারী ছুটি নাই। কোরবানি ও বলি নাই! স্বাস্থ্য ও পরিবেবেশের বৈজ্ঞানিক নিয়ম মান্য করে গরু-ছাগল জবাই করতে হয়। হত্যা তো পরের কথা, যত্রতত্র পালনেরও অনুমতি নাই। পশু পালনের জন্য বিশেষ খামার ও সেইফটি লাইসেন্স লাগে।
আল্লাহ বা খামিসামা ( জাপানিরা স্রষ্টাকে খামিসামা বলে ) যার নামেই কোরবানি করেন না কেন, নিদ্দিষ্ট স্থানে জবাই করতে হবে। পরিবেশের দুষন হলে- তৎক্ষনাৎ জরিমানা! রাজা-বাদশাহ-মন্ত্রী-এমপি যেই হোক, তাকে আইন ও নিয়ম মানতেই হবে। ক্ষমতার দাপট-তাদবীর-মওকুফ-মাস্তানির কোন সুযোগ নাই। স্বর্গে যাওয়ার জন্য পারাপারি-ধরাধরি-বাহাদূরী নাই। ঘুষ-দূনীতি, চুরি-চামারি করে, অন্যের সম্পদ-সুযোগ ও সম্ভাবনা হরন করে, নিজের পশুত্ব বজায় রেখে বড়বড় পশু কোরবানির রীতি, ধর্মনীতি জাপানিরা বুঝে না!
জটিলতার কারণে প্রতিবারের মতো মায়ের মাধ্যমে এবারও মুক্তাগাছায় কোরবানি দিয়েছি।
মুসলমানের সংখ্যা জাপানে ১ পারসেন্টেরও কম! মসজিদ-ঈদগাহ না থাকার কারণে কুলাকুলি করতে পারিনি ।
পুত্র-কন্যার সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলাম । হ্যান্ডমেইড মাজদার রুটি কিনেছি। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ্য ‘ফসল ভরা ধান ক্ষেত’ দেখেছি, ছেলে-মেয়ের সঙ্গে আনন্দ করেছি, ছবি তোলেছি।
I have received over 1200 greetings already. I am glad to know many people like and love me. It seems, day by day my number of friends is increasing, I am becoming popular. I must have to be more responsible and devoted to love, serve and understanding others. Thanks, all friends to send birthday good wish.
( কেউ আশাহত হইয়ো না, আমার ভালোবাসা তোমাদের জন্য আছে, চিরকাল থাকবে….)
যা বলেছিলাম, তা সত্য। হৃদয়ে, ভালোবাসার অবতার ‘সন্ত’ হওয়ার বাসনা নবপ্রাণে জেগেছে।
পাঁচটি ধর্ম পরলোেকে শুভ যাত্রার আগে সুসম্পূর্ণ করতেই হবে, নইলে শান্তি নাই –
১. বর্তমানে থাকা ( Now and here, staying present )
২. অন্যকে ও নিজকে ভালোবাসা ( ‘Forgive, forget and love’, loving, serving and understanding others )
৩. একাকিত্ত্ব ও ভালোবাসহীনতাকে অতিক্রম করা ( Overcoming the ‘lack of love’ and ‘loneliness’)
৪. প্রথম কাজকে প্রথম হিসাবে করা। ( Giving priority to the first as first in work list )
৫. আপ ভালো তো জগত ভালো ( I am ok, you are ok )
আমার এই পাঁচটি ধর্ম যদি কারো ভালো লাগে, চর্চ্চা শুরু করে দিতে পারেন। পয়সা লাগবো না । আগ্রহীরা বিনাপয়সা আমার আরো পরামর্শ ও অনপ্রেরণা পাবেন। আমার মত আপনাদের জীবনেও আমি সুখ ও শান্তি চাই!
বি.দ্র. আমার ৮ বছরের মেয়ে স্কুলে যাবার আগে মাকে বলে গেছে, দোকান থেকে যেন কেক না আনা হয়। সে নিজ হাতে কেক বানাবে। আনিকা ফ্রেশক্রিম দিয়ে বেশ মজার কেক বানাতে পারে!
ছোট বেলা থেকে উত্তরমেরু ও দক্ষিনমেরু দেখার আমার বহুত ইচ্ছা! ফুসরৎ পেলেই এখনো নর্থপোল-সাউথপোলের ছবি দেখি! আর কল্পনা করি – পোলে জিরো সীমানায় হাঁটছি…
বিশ্ববিদ্যালয় খলিল স্যার যখন ‘ফিজিক্যাল জিওলজি’ পড়াতেন তখন তার লেকচার মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে শুনতাম। নিজেকে নিয়ে যেতাম স্বপ্নের দেশে!
অবশেষে একটি সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
দূর্গম আবহাওয়ার ও ভৌগলিক অবস্থানের কারণে; যাওয়ার আগে সুইজারল্যান্ডে প্রায় ৬ মাসের বিশেষ ট্রেনিং নিতে হবে এক ‘মেরু অভিযান’ সংস্থা থেকে।
বেশ মোটা অঙ্কের গ্রান্ড-টাকা-পয়সা পাওযা যাবে। নিরাপত্তা আয়োজনও বৃটিশ অভিযাত্রীদল করবে; তবে জানের ভয় আছে।
৬ মাস বউ-পুলাইপান রাইখ্যা বাহিরে জান-কুরবানী ভ্রমন ঠিক হইবো কিনা, ভাবতাছি!
__________ Antarctica Visit!
There is a possibility to go Antarctica for a geological photography assignment! I am confused to take the 6 months long continuous assignment or not!
The taste of water depends on its source, place, and minerals present.
We everyday drink water. We are the concern on the purity of water, but not about the taste mostly. Japanese water marketing companies catch this point. Many types of water are available in the developed world and Japan. When I drink, the deep sea water and rare siring water, I feel mysterious taste.
( ভিন্ন উৎসের পানির ভিন্ন স্বাদ হয়, এমন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি নিয়ে আমার সর্তকতাই ছিল না! এখন মনোযোগ দিয়ে পান করি, আর বুঝি সত্যিই ভিন্ন স্বাদ, উপভোগ্য! দাম বেশী হলেও – গভীর সমৃদ্রের পানির স্বাদ অন্যরকম, যা অন্য পানিতে পাই না! )
২০০৫ সালে, যখন আমার প্রফেশনাল ক্যামেরা ছিল না, তখন এই ‘কীর্তন (Kirton)’ ওয়েব ভিডিওটা বানিয়ে ছিলাম।
( Kirton, the Bengali mystical performance. I made this video on 2005 with my small CDCam digital camera. )
——–
২০০৩ সালের কথা! নন-এইচডি’র যুগে জাপান থেইক্যা, বউয়ের মাধ্যমে একটা ‘সিডিক্যাম’ ডিজিট্যাল নিয়ে ছিলাম। হেইডা দিয়া ছবি তুললাম আর কইতাম,
– আমি ডিজিট্যাল ফটোগ্রাফার, ডকুমেন্টারী ফ্লিম মেকিং করি! ভিডিও-ফটো দিয়া সমাজ পাল্টাইয়া দিমু! ওয়েব ভিডিও তে আমি বাংলাদেশে পাইয়োনিয়র!..
সবাই যখন আমার অহঙ্কারে তাকাইয়া থাকতো, তখন আরো কইতাম,
– এইডা আধুনিক ডিজিট্যাল ক্যামেরা, সবার নাই। সরাসরি সিডিতে রাইট হয়! বাংলাদেশে কয়েকজনের আছে মাত্র, তার মধ্যে আমি একজন!…
২০০৫ সালে, ইউটিউব-ভিমিও এর প্রতাপ ছিল না ! উন্নয়নটিভি ও উন্নয়ন নিউজ নামে আমার ওয়েবসাইট ছিল । সাইট দুইটাতে ভিডিও ব্লগিং করতাম! ইন্টারনেটে ধীর গতির বারোটার জন্য কম্প্রোশ করতে করতে ভিডিও কুয়াটিলির বারোটা বেজে যেত। তখন ১০ মেগার ফাইলও আপলোড করতেও যে কষ্ট হইতো, এখন তা ১০ গিগাতেও হয় না!
টকেনোলজি পাল্টে গেলেও, মনে হচ্ছে – আগের কাজ গুলোতে ভালোবাসা ও আনন্দ ছিল অনেক।
২০০৮ সালে ইউটিউভে আপলোডের পর থেকে, প্রায় নব্বই হাজার (89,827) মানুষ এই ভিডিওটা দেখেছে, জেনে খুব ভালো লাগছে।