Oct 4, 2015 | The Opinion
ছেলেবেলা থেকেই আমি সব রকমের যুদ্ধের বিপক্ষে! তবে যুদ্ধবন্ধের জন্য যারা যুদ্ধ করে তাদের প্রতি আমার প্রশ্নহীন সমথর্ন সবসময়। শান্তির জন্য যুদ্ধের কথা শুনলেই আমার প্রাণ জেগে উঠে। যুদ্ধের বিপক্ষে সরব থাকার কারণে লিও টলষ্টয়, রেভারেন্ট মুন, গান্ধীজি, মাইকেল জেকসন আমার প্রিয় ব্যক্তিত্ব! যুদ্ধ ও অস্ত্রমুক্ত ভালবাসাসিক্ত পৃথিবীর কথা থাকার কারণে ‘হিল দ্যা ওর্য়াল্ড’ গানটি হয়ে গেছে – আমার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় গান! আজ আবার গানটি শুনলাম, দৃশ্যগুলা দেখে আবার কাঁদলাম…
Since my boyhood, I do not like any kinds of war, but support them who do war to stop war! ‘Heal the World’ is the most favorite song of mine! Because of this song, Michael Jackson becomes my favorite signer. Since my student life, I regularly listen it. Whenever there was no internet access in Bangladesh, I bought its VHS, then CD version! I gifted too many friends as well to encourage on ‘war free peaceful world’ vision. Today I again watched and cry for the better world!
Sep 25, 2015 | The Opinion
সাদো থেকে সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা! সবার জীবনে যেন ঈদ আরও সুখ ও শান্তি নিয়ে আসে…
আজ ঈদ হলেও জাপানে সব কিছু খোলা, ছেলে-মেয়েরা স্কুলে গিয়েছে । জাপানে কোন নিদ্দিষ্ট ধমর্ীয় উৎসব উপলক্ষে ছুটি নেই, এনিয়ে সবকার বা সমাজের চিন্তাও করে না ।এখানে ঈদগাহ না থাকাতে বাড়ীতেই প্রথর্না করেছি, ময়মনসিংহে কোরবানী দিয়েছি । প্রিয়জনদের সঙ্গে কথা হয়েছে। নিজহাতে ‘ভুনা মাংস’ রান্না করব।…
জাপানে যে যার ধমর্ নিজের মত করে শান্তিপূণর্ ভাবে পূণর্ স্বাধীনতার সাথে পালন করতে পারে। ধমর্ নিরপেক্ষতার জাপানের নীতি। এখানে ধমর্ের রীতি, কথা ও আধ্যাত্বিক বিষয়ের চেয়ে বেশী গুরুত্ব দেয়া হয় – হইজাগতিক কমর্ ও বাস্তবায়ন। ধমর্ের নামে হানাহানি, কুতর্ক, কতুকতু, ‘আমি শ্রেষ্ট-তুমি হীন’ একবারেই অগ্রহযোগ্য । অন্যের অসুবিধা হবে না – এমন দস্তগত দিয়ে উৎসবের আয়োজন করতে হয়। তাই বাংলাদেশের মত মাইকে বিকট আওয়াজে ওয়াজ, আজান, বক্তৃতা বা গান চলে না। প্রকাশ্যে বা রাস্তার ধারে পরিবেশ দূষণ করে নির্দয় ভাবে পশু হত্যা করে ‘ভয় জাগানো’ ধমর্ চচ্চর্া অপরাধ। নিদিষ্ট স্থানে, নিদ্দিষ্ট ভাবে উৎসগর্ করতে হয়। নিয়ম না মানলে আয়োজকদের উপর অথর্ দন্ড, সমাজদন্ড সবশেষে কারাদন্ড ও নিষিদ্ধ!
সাদো শহরে মসজিদ-মন্দির নাই। আছে শুধু সিন্তু শ্রাইন আর বৌদ্ধ প্রোগোডা। কয়েকটি খৃষ্টান গীজর্া আছে, তবে মানুষ যায় না। জাপানীরা বিশ্বজনীনতা পছন্দ করে, সব সংস্কৃতির ভালো দিক গ্রহন করে । তবে মধ্যপ্রাচ্যের গরম হাওয়া এখনও তেমন গ্রহন করেনি । এরাবিয়ান নাচ ও গান বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে; তবে ঈশ্বরবাদের তকর্ শ্রীঘরে। জাপানীরা পারসোনালাইড ধমর্ চচ্চর্াকে সাধুবাদ জানায়। অধিকাংশ মানুষই সবোশ্বরবাদী, স্রষ্টাকে স্বগর্ থেকে মত্যের্ নামিয়ে এনেছে জাপানীরা। ৩০ ভাগের বেশী মানুষ নাস্তিক বা ধমর্ চচ্চর্া করে না। এই নিয়ে কোন কথাও হয় না । ধমর্ নিয়ে জাপানীদের জরিপ অদ্ভুত। ৭০ ভাগ সিন্তু, ৬০ ভাগ বৌদ্ধ, ৩০ ভাগ নাস্তিক, ১০ ভাগ অন্যান্য ; মোট ১৭০% । এর মানে একজন মানুষ একাধিক ধমর্ পালন করে । টেডিশনাল বাড়িতে – সিন্ত ও বৌদ্ধ দু’ই ধমর্েরই বিগ্রহ ( খামিসামা ও খামিদানা) আছে। সব ধর্মের মানুষ স্রষ্টাকে ‘খামিসামা’ বলে । একই রীতিতি সালাম ও শুভ কামনা করে। তরুণ-তরুনীদের এপাটমেন্টে ধমর্ের নিশানা নাই বললেই চলে। বিশষজ্ঞদের পর্যবেক্ষন – একজন জাপানী জন্মে সিন্ত হয়ে, বিবাহ করে খৃষ্টান মতে (আর্কষনীয় পোষাক ও স্বপ্ন খরচের কারণে ), জীবন-যাপন করে ধমর্হীনতায় – মানবিকতায় (নাস্তিক বলা যেতে পারে) আর মৃত্যুবরণ করে বৌদ্ধিষ্ট হিসাবে অভিযোগহীন পুনর্তার সাথে।
আমি তো দেখে হতবাক – বাংলাদেশে বৃদ্ধরা যেখানে পরকালের ভয়ে থরথর করে কাঁপে, সেখান জাপানী বৃদ্ধরা ফ্যাশন করে ছবি তোলে ফিউনারালে ব্যাবহার করার জন্য। কবরের শীলালিপির কবিতা, জীবন-তথ্য নিজের হাতে লিখে যায়। মৃত্যুকে, জন্মের মত আনন্দের সাথে স্বাগত জানায় – অধিকাংশ জাপানী।
দ্বিতীয় মহাযুদ্ধে এটম বোমা নিক্ষেপের পর, পাল ধরে খৃষ্টান মিশনারীরা ইউরোপ-আমেরিকা থেকে জাপানে এসেছে । শান্তির বানী শুনিয়েছে । কিন্তু জাপানীদের মন গলাতে পারেনি। কিন্তু কোন দন্দ্বও হয়েনি। অনেক চেষ্টা তদরিরের পরও খৃষ্টানের সংখ্যা নগন্য। তবে খ্রষ্টান মতে বিবাহও বড়দিন পালন জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এক্ষেত্রে অহিংসার বানী শুনিয়ে ভারতীয়রা অনেক সফল হয়েছে । ভারতীয় ইয়োগা ও খাবার এখানে অনেক জনপ্রিয় । কিন্তু ‘হরে কৃষ্ণ হবে রাম..’ কে ‘ওম রিলিজিয়ন’ ( আশাহারির গ্যাস সন্ত্রাসের পর ) বলে ভারতীয় অধ্যাত্নবাদকে পাশ কেটে চলে প্রায় সবাই। নীরবে, বিশেষ করে বিবাহের মাধ্যমে ইসলামের প্রসারে একটু ভাটা পড়েছে। আইএস কর্তক দু’জন জাপানী হত্যার পর, মিডিয়াতে ইসলামের মন্দ দিক গুলো নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এখন ইসলামের নাম শুনলেই মানুষ এখন ভয় পায়। খারাপ লাগে – জাপানীরা মনে করে ইসলাম মানেই মাথা গরম, অহংকারী সুপিরিয়রিটি কম্পেক্সে আক্রান্ত। মুসলিমদেরকে উত্তরকোরিয়ানদের মত একরোখা মনে করে।
আজ ঈদ হলেও সারা দিন কাজ করব। খলিফা ওমর (রাঃ) ঈদের দিনেও নাকি কাজ করতেন। সাহাবীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেছিলেন – “তার জীবন স্বাথর্ক, যিনি ঈদের দিনেও কাজ করেন…”। শান্তির জন্য হযরত ওমর (রাঃ) তলোয়ার ছেড়ে সমতা ও সেবার পথ বেছে নিয়েছিলেন। তার পথ – সুপথ, মান্য।
ঈদের এই দিনে আমার কামনা – আমি জাপানীদের মত অভিযোগহী শতবষর্ বাঁচতে চাই । মৃত্যুকে শোকে নয় , সুখ ও উৎসব হিসাবে দেখতে চাই! করবে শিলালিপিতে লিখতে চাই – ” এ পৃথিবীতে জন্মে জীবন আমার ধন্য । আমি তোমাদের ভালোবেসে, তোমাদেরকে ভালোবাসতে পেরে আনন্দিত। পৃথিবীতে শান্তির যাত্রার আমার স্বাথর্ক !”
Sep 24, 2015 | The Opinion
গরুর হাট না, গাড়ীর হাট…ঈদের আগে বেশ জমে উঠেছে সাদোতে! বাংলাদেশের চেয়ে তিনগুণ দাম কম…ভ্যাট-ট্যাক্স, চাঁদা দালালী ও ঘুষ দেয়ার পর গাড়ি ও গরুর দাম বাংলাদেশে আনুপাতিক হারে বাড়ে মনেহয়।…
Sep 23, 2015 | The Opinion
The eyes and mind behind the machine are important for good photography and video! I always try to update my views and motivations for good production. The photography was taken in Shimaya Cafe in Sado, Japan.
গত বিশ বছর ধরে ফটোগ্রাফি ও ভিডিও প্রডাকশনের জন্য ‘মন আর চোখ’ তৈরীর অভিযাত্রায় আছি। প্রথমে থেকেই আমার মাল্টিমিডিয়ার তৈরীতে সময় বেশী লাগে, ভালবাসার সঙ্গে যতদূর সম্ভব সুন্দর ডিজাইন পছন্দ করি! কাজ শেষে আমার সস ক্লাইন্ট খুবই সন্তুষ্ট হয়, আমিও আনন্দিত হয়। তবে কিছু কিছু অল্প বাজেটের ক্লাইন্টগণ তাড়াতাড়ি করে, যা আমার সৃজনশীলতাকে বাধাগ্রস্থ করে, তবে আমি মেনে নিয়ে, দ্রুততার সাথে শেষ করে তাদেরকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টা করি! কিন্তু আমি এসব কাজে প্রায়শঃ আনন্দিত হতে পারি না। তারপরও একটি কাঙ্খিত প্রোডাকশনের প্রয়াস থেকে বের হই না, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করি…
Sep 19, 2015 | The Opinion
সোনালি ধানে ভরে আছে মাঠ! জাপানে এখন নবান্ন চলছে। ধান কাটা, মাড়াই ও প্যাকেট পর্যন্ত হয় ক্ষেতেই। এখানে গরু-মহিষের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় ধান-কাটার মেশিন, ট্যাক্টর । বাংলাদেশের মত এখানে অনেক মানুষ এক সঙ্গে ধান কাটে না, এত উৎসব মুখুর হয় না। প্রতি ক্ষেতে ১-২ জনেই সব কাজই পরিপাটি ভাবে দ্রুত শেষ করে ফেলে।
বাংলার চাষীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কতই না কষ্ট করে! গান গাইতে গাইতে ধানকাটে, মাড়াই করে, আর ফল যায় জমির মালিকের (জমিদারের) ঘরে ! জাপানে প্রায় সব লাভই থাকে কৃষকের ঘরে। মাঝে মাঝে অবশ্য কোম্পানীর ঘরে যায়, তবে স্বীকৃত ন্যায্যতা আছে।
অবাকের বিষয় – যে সুন্দরীকে গতকাল কফি হাউজে বসে আড্ডা দিতে দেখে, মডেল মনে করে ভুল করেছি। তাকে ক্ষেতে কাস্তে হাতে কৃষানীর পোষাকে কাজে দেখে, আমি তো হতবাক। এখানে ১০০ ভাগ নারী-পুরুষ শিক্ষিত, সচেতন ও অধিকারে পুষ্ট। শিক্ষার নামে, কাজে ও সম্পকর্ে শ্রেণী নাই বললেই চলে। নারী-পুরুষের মাঝে লিঙ্গের ব্যবধান তাছাড়া তেমন পাথর্ক্য নাই । সবাই সব কাজ করে । পাপ্য মযর্াদা পায়। বাংলাদেশের নারীদের মত এখানেও নারীরা, পুরুষের তুলনা বেশী কাজ করে । বাংলাদেশের নারীরা সারাদিন গৃহস্থলীর কাজ করার পরও স্বীকৃতি পায় না, নিজের টাকা থাকে না, কিন্তু জাপানে থাকে । নারীর ওয়ালেটে টাকা থাকে বলে, ধমর্ ও আইনের কাছে সমান গণ্য বলে – পুরুষের ভাড়ামী তেমন পাত্তা পায় না। নারীরাও পুরুষের মত সমান শক্তি দেখাতে পারে, নিজের পছন্দ মত বাজার করে, কফি খায়, আনন্দ করে ও স্বাধীনতা ভোগ করে সম্মানের সাথে।
Sep 15, 2015 | The Opinion
As like as other JapaneseTokuwa Matsuri (festival) has also spiritual and social aspects liked with Okura Jinja, Tokuwa, Sado. As the common practices of Japanese festival, in Kopuwa Matsuri also ‘Mikoshi’ ( Portable Shrine) has been used. ‘Oni Daiko’ ( demon dance) also performed but different in style. I have captured in video and photo of the steps of celebration and rituals.
By reading a book on ‘Mikoshi’, I become interested on the unique design of Mikoshi. Japanese consider, Mikoshi is ‘House of God’. God travels in whole community during festival celebration. However, there is a similarity between ‘Roth of Rothyatra’ and Mikoshi. However, Mikoshi is smaller like ‘Pulki’ and carry from Jinja (main shrine) to community by devotees. The whole body of Mikoshi has been designed with gold or gold like metal and fabric with mysterious motifs. Each part of Mikoshi has special meaning.