আম্রিকার হুশিয়ার, চায়না প্রবল চাপ, ইসরাইলের হুমকি, ইউক্রেনের আর রক্ষা নেই, আমরা শেষ দেখে নিব, আমাদের চেন না ইত্যাদি গুন্ডামি শব্দ কূটনৈতিক আলোচনায় বরাতে মিডিয়াতে, বিশেষ করে সাউথ-এশিয়ার মিডিয়াতে যত্রতত্র ব্যবহার করা হয়।
একটি দেশের সবচেয়ে সুশীল মানুষ সেই দেশের প্রেসিডেন্ট, তিনি কি আরেকটি দেশের সবচেয়ে দায়িত্বশীল- সচেতন মানুষ, প্রেসিডেন্ট, মন্ত্রী মিনিষ্টারের সাথে এমন অভদ্র শব্দ ব্যবহার করেন? তাদের রেফারেন্স দিয়ে বাংলা মিডিয়াগুলো যত্রতত্র নরম আলোচনাকে গরম বলে ব্যাখ্যা করে কেন? মাস্তানি ডায়লগ ষ্টাইলে টাইটেল দিয়ে খবর প্রকাশ করে কেন? এতে কি মিডিয়ার দায়িত্বহানি হয় না?
যে শব্দগুলো মেইষ্ট্রিম মিডিয়া ব্যবহার করে, সেই মাতাল শব্দগুলো যদি আসলেই প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রী-মিনিষ্টাররা ব্যবহার করেন, তবে কি তাদের দায়িত্বশীলতা প্রকাশ পাবে? আমি যতদূর জানি কূটনীতি মানেই ‘অ্যাবষ্টাক্টনেস’, কৌশলে বাঘ মারা, ‘মুরগীমারা মাস্তানি না’।
যদি আসলেই সরাসরি আক্রমনাত্বক শব্দ ব্যবহার করে, আমি নিশ্চিত রথিমহারথিরাও আলোচনা রেখে, সাধারণ মানুষের মত মারামারি, ধরাধরি শুরু করে দিবে আলোচনার টেবিলেই।
দেশে দেশে যুদ্ধ নিয়ে আলোচনা হলেও, বাস্তবে আমরা রথিমহারথিদের মাঝে মারামারি দেখি না। নেতাগিরি করা, আর জেলেনাস্কির মত মাঠগরম করা কথা এক না। একজন নেতা ভবিষত দেখতে পারেন, চাপাবাজরা দেখতে পান না।
আমার কেন যেন মনে হয়, মিডিয়া নিজেদের খেয়াল খুশীমত নরম শব্দগুলোকে, গরম শব্দে অনুবাদ করে, সুশীল শব্দগুলোকে কুশীলতায় প্রতিস্থাপন করে। উদ্দেশ্য বোধহয় সংবাদের সস্তা জনপ্রিয়তা। আপনাদের কি মনেহয়?
বি.দ্র.: রশিয়া-ইউক্রেন গ্যাঞ্জামের এই সময় সংবাদ নিয়ে বিশ্বব্যাপি কারুকাজ ও তেলেসমাতি বুঝলাম। সাউথ এশিয়ার মিডিয়া-পত্রিকাগুলো শুধু রং লাগায় বাড়তি কাটতি’র জন্য । কিন্তু আম্রিকা ও পশ্চিমা দুনিয়ার মিডিয়া পুরো সংবাদই বদলে দেয়। বিষয়টা পুরোপুরি পরিস্কার হয়ে যায় যখন দেখি- প্লোবাল মিডিয়া বন্ধ করে দিয়ে, একমুখি সংবাদ প্রকাশ করে। সবচেয়ে করুণ বিষয়- যুদ্ধ হয় ইউক্রেনে, সংবাদ ও রিপোর্ট প্রকাশিত হয় যুক্তরাষ্ট্রে ও যুক্তরাজ্যে, লন্ডনে…