জেনে বা না জেনে, বুঝে না বুঝে আমরা ফেইসবুকে মাত্রারিক্ত ভাবে যুক্ত হয়েছি। আমাদের চেনা-অচেনা অনেক বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক হয়েছে। আমার পরিবারিক ও ব্যক্তিগত অনেক তথ্য, ছবি ও ভিডিও সহজে প্রকাশের কারণে আর্কাইভ হয়েছে। ভাবগতি দেখে মনে হচ্ছে এটা পুরোপুরি বাদ দেয়া যাবে না। তবে সোশাল ডাইট সম্ভব। আবেগে তাড়িত হয়ে মাত্রারিক্ত ব্যবহারের কারণে আমাদের অনেক মূল্যবান সময় নষ্ট হচ্ছে। আসল কাজ থেকে কম গুরুত্বপূর্ণ খাতে মনযোগ চলে যাচ্ছে , যা অনেকটা ঝামেলার। ফেইসবকু ঝামেলা থেকে পরিত্রাণের আমার সহজ বুদ্ধি –
১) মোবাইল থেকে ফেইসবুক ও ইন্ট্রোগ্রাম এপস ডিলট করা, এবং ব্রাউজ করে ব্যবহার করা।
২) সকল অটো-রবোটিং নোটিফিকেশন অফ করা, হিউম্যান কমিউনিকেশনকে গুরুত্ব দেয়া।
৩) প্রয়োজন ছাড়া নিউজফিডে আনলিমিটেট স্ক্রল না করা ।
৪) অন্যের পোষ্টে কমেন্ট ও লাইক শেয়ার কম করা । নিজের পোষ্ট দেয়া। সময় নষ্ট বহুদিনে গড়া নিজের সম্মানহানি করা। বিষয়টাকে অতি আবেগে তুচ্ছ না ভাব।
৫) পত্রিকার মত নিদ্দিষ্ট সময় ফেইসবুক খোলা/পড়া। দিনে একবার বা দুইবার , শুধু কম্পিউটার থেকে , ১৫ থেকে ৩০ মিনিটের বেশী ব্যবহার না করা।
৬) ফেইসবুক যে সময় নষ্ট করে, আমাদের জন্য অলাভজক হলে জুকারবাঘের জন্য এটা মহালাভের এই বিষয়টা মনে আনা ।
৭) ফেইসবুকে বদলে অন্য সোসাল মিডিয়া যেমন – লিঙ্কডইন ব্যবহারে মনোযোগী হওয়া।
৮) ফেইসের মাধ্যমে অতি সহজে ধনী ও বিখ্যাত হওয়ার মানসিকতা পরিত্যাগ করা। লাইক ও শেয়ার হাঙ্গার পরিত্যাগ করা।
৯) অন্যকে বদলানো বদলে, নিজের বদলানো ও উন্নয়নকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়া। অন্যের টাইম লাইনে অযথা গোয়েন্দাগিরি
না করা।
১০) সকল প্রকার এআই নোটিফেকিশেন বা এলার্ট বন্ধ রাখা
১১) যে সব বন্ধু, আমার মত অতিরিক্ত পোষ্ট দেয়, যাদের ভয় বা হিংসা লগে তাদেরকে আনফ্রেন্ড বা আনফলো করা
১২) যাদের সঙ্গে কখনো দেখা হয়নি বা হওয়ার সম্ভাবনা নেই, তাদেরকে আনফ্রেন্ড করা। কারণ তারা এক ক্লিকের বন্ধু, হয়তো ফেইক ও অনিরাপদ।
ইত্যাদি
আমি সবগুলো করতে পারলেও ৫ নম্বরটা করতে পারি না ।কাজের কারণে আমাকে সব সময়ই অনলাইনে থাকতে হয়। কম্পিউটার এখন আমার শরীরের অংশ হয়ে গেছে।