আমার নিরামিষ ভোজের সুখশান্তি
শান্তি , ওঁম শান্তি জগতের সকল প্রাণী সূখী হোক

লাল মাংসের হারাম ও হালাল বির্তক, এবং স্বাস্থ‍্যহানী থেকে বাঁচার জন‍্য সবজির পথ আবার বেছে নিয়েছি।

১৯৯৬ থেকে ২০০০ সাল পর্যন্ত গান্ধীবাদ চর্চাকালে নিয়মিত নিরামিষ ভোজি ছিলাম। শেষমেষ টাকার অভাবে, প্রথম প্রেমিকা হারানের পর যখন বুঝলাম – গান্ধীজি’র মত নেংটি পড়ে, সব ছেড়ে দিয়ে মহামতি হওয়া যাবে না, সংসার করা যাবে না, তখন আবার নগর সভ‍্যতায় গমন করেছিলাম। মাল্টিমিডিয়ার জগত এসেছিলাম।

২২ বছর পর অতীত হাতরিয়ে দেখছি, নিরামিষ ভোজের অভ‍্যাসটা মন্দ ছিল না। খরচ কম, লাভ বেশী ছিল। যদি চালিয়ে যেতাম- হয়তো স্বাস্থ‍্য, নীতি, ধর্ম ও পকেট সবই আরেটু ভালো থাকতো।

তখনকার কালে অভিজ্ঞতা থেকে অহিংসবাদের সম্পর্কে বুঝেছি: ক্ষমতা পাওয়া ও টাকা রোজগারের আগেই টাকা ছেড়ে দিতে হয় না। এতে পদে পদে অপমানিত হতে হয়। টাকা ও ক্ষমতা রোজগারের পর ছেড়ে দিলে – মহাত্না ও দানবীর হওয়া যায়। নইলে স্বীকৃতি পাওয়া না।

তাই আবার চেষ্টা করছি। তিন বেলায় সবজি-ডাল, ডিম-দুধ খাচ্ছি। পরিকল্পনা মাফিক কাজ করার চেষ্টা করছি। সুন্দরী জাপানি বউ তো আমার অবতারি সুশৃঙ্খল কাজকাম দেখে হতবাক। হয়তো মনে মনে ভাবে,
– আমার অবাধ‍্য স্বামীটার কি হইলো। মাংস খায় না, কিন্তু মাংসের সসেস খায়। মাথা ঠিক আছে তো? মোদি আর লালু যাদবের মতো নিরামিষি ভোজের ভেক ধরে নাই তো?

যে যাই বলুক, মজার ও দামী মাংস পেলে কিন্তু খেতে ভুলবো না ।

আমার মতবাদ- অন‍্যের ক্ষতি না করে, মাঝে মাঝে অনিয়ম করা ভালো, এতে নিয়মের দাম বাড়ে। আমার নিরামিষ ভোজ গোড়ামি ধর্মচর্চা নয়, শুদ্ধতা চর্চার অংশ।

চেষ্টা করে দেখি মহাত্না’র মতো আবার যুক্তিশীল মহামতি হওয়া যায় কিনা। তাই আজ লাঞ্জে ডাল ভর্তা ঢেড়শ ভর্তা খাচ্ছি। গত দুই সপ্তাহ ধরে- কম খেয়ে, বেশ হালকা শান্তি শান্তি লাগছে।

“ওঁম শান্তি, জগতের সকল প্রাণী সুখি হোক!”

October 26, 2021