নানা-নানি, দাদা-দাদি’র কাছ থেকে কি কখনো এভাবে বকশিস পেয়েছেন? আমি বহুবার নানা-নানির কাছ থেকে পেয়েছি।
কিন্তু আমি প্রতিবারই নিতে চাইতাম না । শরম পাইতাম।
দাদা-দাদির কাছ থেকে পাই না। কারণ দাদাকে দেখি নাই, আমার জন্ম্রের আগেই তিনি মারা গেছেন। শুনেছি দাদা অনেক ধনী ও জমির মালিক ছিলেন। সুন্নতি ছিলেন, বহু বিবাহ করে ছিলেন। তবে গ্রামে থাকা দাদি’র বেহাল অবস্থা দেখে বুঝতাম না- দাদা তালুকদার দিলেন। ছেলেবেলায় প্রায়শঃ আব্বার সঙ্গে ফলফলাদি কিনে নিয়ে দাদিকে ইটাচকি গ্রামে দেখতে যেতাম। দাদা বেঁচে থাকলে হয়তো পেতাম, তবে বড় জেঠা আমাকে অনেকবার দিয়েছে।
নানা-নানি’র চাইতে সেলামী বেশী পেয়েছি কোটিপতি খালা-খালু’র কাছ থেকে। আমি নিতে চাইতাম না বলে, খালা বলতেন।
– তুই তো নিবি না, তোর মাকে দিইস, কিছু কিইনা দিব।
বিশ্ববিদ্যালয় পাশের পর অসুস্থ শুনে নানাকে একদিন দেখতে গেলাম। নানা তো একশো টাকার দুইটা নোট হাতে গুচে দিয়ে বলে,
– এখন তো বড় হইছস, এত অল্প টাকায় চলবো?
আমি হাসতে হাসতে কইছিলাম ,
– লাগবো না । আমি এখন কামাই করতে পারি।
– তোর টা তোর, এইটা রাখ। চা খাইস। দেখিস আবার সিগ্রেট কিনিস না।
– নানা, আমি বিড়ি খাই না।
– তাহলে তো ভালোই । দাঁত, শরীর দুইটাই অনেকদিন ভালা থাকবো।
—
বি.দ্র;ফটোগ্রাফারের নাম জানি না, তাই ক্রেডিট দেয়া গেল না, দুঃখিত।