ভুনা খিচুড়ি পাকাইছি। ১০০% ডাইবেটিস ও হাইক্যালস্টেরল ফ্রেন্ডলি। পরিমান আগের অর্ধেক। বাটার দেয়া হয়নি, একটু তেল দিয়ে ফ্রাইপ্যান ঘষেছি মাত্র। জাপানি দামী গরুর মাংসের বদলে, হালাল ডিমবাজি।
এপিটাইট কমানোর জন্য হাতের বদলে চামাচ দিয়ে, আস্তে আস্তে খাচ্ছি, মন্দ না । মডেষ্ট ব্র্যাকফাস্ট কাম লাঞ্চ।
কাল ডাক্তার সাহেব কইছে। আজ সুগারমাত্রা ৮.৪, আগে ছিল ৭.৪। এক বেড়েছে। পরের বার সাতের নীচে না কমলে – ইনুসিলিনের ইনজেকশন।
আমি ইনজেকশনকে ভয় পাই। ভাবি – ইনজেকশন নেয়া মানে ডাইবেটিসকে পুরো স্বীকৃতি দেয়া। যা দিতে চাই না। তাই পুরোদমে আগামী ২২ ডিসম্বর পর্যন্ত ডায়েট ও মেদ কমানোর ঘুরাঘুরি চলবে। হাটার সময় ছবি তোলা, ক্যামেরা রাখার নিষেধ থাকলেও মানবো মা।
দেখি না কি হয়। যদি রক্তে চিনিরমাত্রা না কমে, তবে হাল ছেড়ে দিব। আবার বাঙালি ষ্টাইলে, হাত দিয়ে ঘষে নলা পাকিয়ে, ভর্তাভাত খাওয়া শুরু করবো।
যা আছে কপালে- দুই দিন আগে আর পরে মরতে তো হবেই। খেয়ে মরাই ভালো, জাপানিদের মত কিপটামি করে, না খেয়ে মরতে চাই না।