জীবনের প্রথম থেকেই পথ আমাকে ধরে না! প্রথমে মনেহয় ভুল পথে চলছি, মনোঃকষ্টে সময় যাওয়ার পর দেখি, ঠিক পথেই আছি!
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভূতত্ত্ব বিজ্ঞান পড়ার সময় আত্নীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সবাই বলতো,
– এই মিয়া, কি সাবজেক্ট পড়? এইডাতে তো কোন চাকুরি-বাকুরি নাই! কলেজেও তো পড়াইতে পারবা না!…
কমন-কালা মন্তব্যে অনেকাংশে আমি নিরুৎসাহী হতাম, চুপসে যেতাম!
এখন তো দেখছি এই লাইনেই সবচেয়ে বেশী ও দামী চাকুরি। আর জলবায়ূ ইস্যু আসার পর থেকে তো রমরমা।
কিন্তু ইতিমধ্যে তো ২০ বছর চলে গেছে। পিছনে ফেরার সুযোগ নেই। তারপরও হিসাব-নিকাশ করে দেখলাম, অজান্তে চুপে-চুপে মিডিয়া, জলবায়ূ পরির্বতন ও পরিবেশ নিয়ে অনেকগুলো মাল্টিমিডিয়া প্রডাকশন করেছি, যা আমাকে ইমেজ ক্রাইসিস থেকে রক্ষা করেছে, ভবিষতেও আরো কাজ হবে আশাকরি!
– ক্লাইমেট চেঞ্জ সেল, সিডিএমপি/ইউএনডিপি, সিএসআরএল/অক্সফাম, লাইট হাউজ, এনগেইমিডিয়া, প্যানস লন্ডন, ওয়ান ওয়ার্ল্ড, দ্বীপ-উন্নয়ন, ইকুটিবিডি, ক্লাইমেট রেডিও ইত্যাদি ২০টি’র অধিক সংঘটন, এনজিও এবং প্রজেক্টের ই-বুক, ওয়েব, ভিডিও, রিপোর্ট ও অডিও ষ্টরি ইত্যাদি বানানোর অভিজ্ঞতা আমাকে বেশ আরাম দেয়!
পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তনের উপর অজস্র ছবি, মাল্টিমিডিয় ব্লগপোষ্ট ইমেজহীন বাস্তবতায় আমাকে যেন ইমেজ দেয়! ভূ-বিজ্ঞান বিষয়টি খারাপ না! প্রিজোডিজ ও মনের ভুলে অনেক সুযোগ নষ্ট হয়েছে বোধহয়! প্রফেশনাল প্রকৃতি-বিজ্ঞানী হওয়ার সুযোগটি হাত ছাড়া হওয়ায় এই পৌঢ়ত্ব্যে মাঝে মাঝে বেশ কষ্ট লাগে!