েভাট দেয়ার সুখ-অসুখ

‘নিবর্াচনে অনিয়ম, ফলাফল অস্বীকার’ বাংলাদেশের েভাট সংস্কৃতিতে অাজন্ম অভিযোগ! ৪৫ বছরের এই জীবনে – আমি একবারও শুনলাম না – বাংলাদেশে েকান নিবর্াচন সঠিক হয়েছে! আমি সমস্ত প্রকার অনিয়মের বিপক্ষে! এরাশাদ, সাত্তার, খালেদা সবার আমলেই আমি েভাট দিয়েছি। ( হাসিনার আমলে , দেশে না থাকার কারণে েভাট দিতে পারিনি!) আইডি দেখিয়ে েকান প্রকার ঝামেলা ছাড়াই ৫ মিনিটে ফকুরুদ্দিেনর আমলে েভাট দিয়ে শান্তি পেয়েছিলাম! আর সবচেয়ে কষ্ট পেয়েছিলাম এরশাদের আমলে – ভোটারহীন েকন্দ্রে ৯০ভাগ েভাটদানের ফলাফল দেখে! স্কুলঘরের টিনের েবড়ার ফুটা দিেয় ‘শামসুল হুদা েচৌধুরী’র পক্ষে সন্ত্রাসীদের সীল মারার দৃশ‍্য আজও মনে পড়ে!….

যাইেহাক, গতকালের নিবর্াচন নিয়ে এত অনিয়মের অভিেযাগ ( কিছু সত‍্য, িকছু মিথ‍্যা) পরও মাত্র কয়েকদিন আগে পেট্রোল বোমা ও সন্ত্রাসের নেতৃত্ব দেয়া দলটির সমথর্িত প্রাথীর্ীর কিন্তু কম েভাট পাইনি! জয়ের প্রায় কাছাকাছি! সন্ত্রাস-দূনীতির মামলা মাথায় থাকায় ( েখাদ একজন প্রাথীর্ও ) তাদের নেতাকমর্ীদের অংশগ্রহন কম ছিল! তাদের সব নেতাকমর্ীরা অংশগ্রহন করতে পারলে – হয়ত তারা জয়ী হত! এই জয় সভ‍্য ও গনতান্ত্রীক সমাজে একবাের কাম‍্য নয়! এত েবামা, এত দগ্দতা, এত নাবিশ্বস েভাগান্তী কি আমরা সহজেই ভুলে গেলাম? সত‍্য ও ন‍্যায়ের বিচারে এদের ভোট পাওয়ার কথা না! কিন্তু পায় ও পেয়েছে! এটা আমাদের সামাজিক অসচেতনার ও দেওলীপনার স্পষ্ট চিত্র! শঙ্কার কারণ- এভাবে চললে কি আমারা উত্তর েগালাধর্ের দেশগুেলার মত উন্নত হতে পারব? আইনের শাসন ও সত‍্যিকারে মানবাধীকার প্রতিষ্ঠা করতে পারব?

ভোটের অনুপাত দেখে – আমার পূবর্ের বিশ্লেষনটি আবারও মনেহয় সত‍্য প্রমানিত হল! বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষের রাজনৈতিক সচেতনতা ও জীবন দশর্ন – বংশগত, উত্তরাধীকার সূত্রে প্রাপ্ত ! যার ‘বাবা’ বা ‘মা’ যে দল করেন, যে আদশর্ ধারণ করেন, যে পক্ষে থাকেন – সন্তানেরাও সেই দল করে ও সেই পক্ষেই থাকে ! এই ব‍্যাপারে আমরা খুবই পিতা-মাতার ভক্ত! সাধারণত, সচেতনতা, তথ‍্য-উপাত্ত, বাস্তবতা ও উন্নয়নে স্বপ্ন দেখে বাংলাদেশের খুব কম নাগরিকই তাদের রাজনৈতিক ও সামাজিক আর্দশগত অবস্থান নেন! এটা এক ধরনের অন্ধত্ব ও পূবর্ধারনার ( কুসংস্কাের ) গ্রাস! দীঘর্ ৩০ বছরের বেশী ধরে অসৎ, ছদ্মবেশী দেশপ্রেমিক ও স্বাধীনতা বিেরাধীরা দেশের ক্ষমতা প্রত‍্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দখল করে এই গ্রাসকে আরও তীব্র করেছে!

বাংলাদেশে সবসময়ই – ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় থেকে জিতলেই প্রতিপক্ষ বলে, ” কারচুপি হয়েছে, অনিয়ম করেছে!…” আর ক্ষমতাসীনরা যে েকান নিবর্াচনে হারলে বলে, “সরকার জনপ্রিয়তা হারিয়েছে, আজই পদত‍্যাগ করুন…”! এমন মনোভাব পরিত‍্যাগ করা জরুরী ! গনতন্ত্রে যে েকান অভিেযাগ গ্রহনযোগ‍্য; কিন্তু উদ্দেশ‍্যমুলক, বােনায়াট ও মিথ‍্যা অভিযোগ কি গ্রহনীয়? অনুমান িনর্ভর, অপপ্রচার বা েশানা কথায় েদৌড়াদৌিড় না করে, সবাইকে আইনগত ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় প্রমান সহ কথা বললে কিন্তু অভিেযাগটি গণতান্ত্রিক ও সঠিক হয়। সংশি্রষ্ট বিভাগে অভিেযাগ আমলনামায় নিতে বাধ‍্য থাকে! কিন্তু আমরা েসই সুশীলতায় দিকে যাই না , বা যাওয়ার েচষ্টা করি না ! তাহলে কি আমরা আমাদের সামাজিক ও প্রশাসনিক দূর্বলতাকে েমনে নিয়েছি, লালন করি? কষ্টের বিষয় – আমি মনে করি, আমরা প্রায় সবাই এখনও েঘােরর মধ‍্যে আছি! ভাল ও মন্দকে সঠিক ভাবে সনাক্ত করতে পারছি না! এই ব‍্যাধি আমাদের সারাতেই হবে!

বাংলাদেশের নিবর্াচনের উপর আমি ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে ২০০৮ সালে ২টি ছোট ভিডিও বানিয়ে ছিলাম – েযখানে ‘সরল মানুষ তাদের কথা সরল ভাবে বলেিছল…’ যা আজও প্রযোজ‍্য ও শিক্ষনীয়! ভিডিও দু’টির লিংক।

https://www.youtube.com/watch?v=C0UfCqqaTC0
https://www.youtube.com/watch?v=ME-1TMiEbmY

April 29, 2015