আমার ১২ বছরের পুত্র – করোনেট হিলারীর ভক্ত! কষ্টের সাথে সে বলছে.
– বাবা, এটা তো কথা ছিল না ! সব জরিপ আর টিভি সব সময়ই বলছিল – হিলারী, হিলারী, হিলারী, হিলারী….হঠাৎ ট্র্র্য্যাম্প!? কেন?”
আমি বললাম, একটু চিন্তা কর ! কতক্ষন ভেবে সে বললো
– ট্র্রাম্প সফল ব্যবসায়ী মানুষ তো, সে ষ্ট্যাটিজি জানে, অনেক ধযর্র্্য্য আছে, সম্ভবত ট্র্রাম্পের ধয্যর্র্ের ফল! আর জয় নিশ্চিত জেনে হিলারীর ভিতর মনেহয় অহংকার ঢুকেছিল, তাই পতন হয়েছে! বাবা , এই ঘটনার সঙ্গে খরগোশ আর কচ্ছবের গল্পের সাথে কি মিল আছে? …
আমি বললাম, তা মনে হয় না! দু’জনেই অনেক প্র্রচার করেছেন। লক্ষনীয় – হিলারী শিবির মানুষকে আশা-স্বপ্ন দেখানোর চেয়ে, দেশ-সমাজ গঠনে রাজনৈতিক প্র্রতিশ্র্রুতি দেয়ার চেয়ে – ট্য্যম্পকে মন্দলোক ও ভিলেন বানিয়ে হাসাহাসিতে ব্য্যস্ত ছিলো। আর ট্য্যম্প নীরবে তা মেনে মানুষকে ‘গ্র্রেট আমেরিকার স্বপ্ন’ দেখিয়েছেন। আমার মনে হয় সাধারন পাবলিক তোমার হিলারী-ওয়ালাদের ভাব-গতি পছন্দ করেনি! উনার হাসি সুন্দর হলেও – মন্ত্র্রীর থাকার সময় শান্তির পক্ষে কিন্তু তেমন কাজ করেননি! বরং তলে তলে অনেক যুদ্ধ ও অশান্তির ফন্দি করে মানুষ হত্য্যায় মদদ দিয়েছিলেন! হয়তো মানুষ তা বুঝে ফেলেছে! যদিও মিডিয়া তাকে হিরো বানিয়ে অনেক হৈ হৈ করেছে, আসলে ভিতরের ঘটনায় ছিল ভিন্ন!
আমার ব্যাখ্য্যা শুনে – পুত্র আমার দিক করুণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রাইলে, কতক্ষন!