নীল আর্মষ্টং এর চন্দ্রভ্রমণ, ভানুর মঙ্গলযাত্রা ও বাঙালীর রাজনৈতিক চরিত্র

প্রথম চন্দ্রে অবতরণকারী নীল আর্মষ্টং এর পরলোকগমন উপল্যে আমি ফেইজবুকে একটি পোষ্টিং দিয়েছিলাম। নীল আর্মষ্টং এর সাহসিক অভিযানকে আমি সবসময় সালাম জানাই। স্কুল জীবন থেকে ভূগোল আমার প্রিয় বিষয়। সেই সূত্রে নীল আর্মষ্টং আমার কাছে খুব প্রিয় নাম। আর ভূতত্বে পড়াকালীন সময়ে মহাকাশ বিদ্যা পড়তে পড়তে আরো বেশী অভিভূত হয়ে পড়েছি। কি সুন্দর এই বিশ্ব ! যিনি এটি বানিয়েছে, তিনি কতই না হৃদয়বান, কতই না ভালোবাসায় ভরপুর, কতই না সৃষ্টিশীল। এই চিন্তা থেকেই আমি আজ ভাববাদী দর্শনে আসক্ত। স্রষ্টা, সৃষ্টি আর ভারোবাসা এখন আমার কাছে প্রচলিত ব্যাখ্যা থেকে ভিন্ন। সব কিছুই এখন কাছের আর আপনজন মনে হয়। দার্শনিক চিন্তা, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আর ভালোবাসার ছোঁয়া আমাকে অসম্ভব বিশ্বাস ও শক্তি দিয়েছে। নিজেকে আজ সত্যিই ধার্মিক মনে হয়।

নীল আর্মষ্টং চন্দ্র ভ্রমণ করেছিলেন আমার জম্মের ২ বছর পূর্বে ২০ জুলাই ১৯৬৯ সালে। সেই পথ ধরে বিজ্ঞানের আজ অনেক উন্নতি হয়েছে। গবেষণাগার থেকে বিজ্ঞান আজ মানুষের প্রতিদিনের জীবন আর ভাবনার অংশ। মানুষ আজ মঙ্গলযাত্রার স্বপ্ন আজ দেখে। পোস্টিংটিতে আমি বলেতে চেয়েছি, মহাকাশ ভ্রমনের যাত্রা ব্যয়বহুল বলে বাঙ্গালী হয়তো এখনি মহাকাশে যেতে পারবে না, কিন্তু স্বপ্ন তো দেখতে পারে? এর উত্তরে ব্রাজিল থেকে নাজমুল ভাই ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'মঙ্গলযাত্রা' কৌতুকটি পাটিয়েছেন। বলেছেন বানু ইত্যিমধ্যে মঙ্গল ভ্রমন করেছেন।

আমার ছেলেবেলায় ডিজিটাল প্লোয়ার বা কম্পিউটার ছিল না। মুক্তাগাছায় ক্যাসেট প্লেয়ার আর মাইকে ভানুর কৌতুক শুনতে শুনতে দমফাটা হাসিতে হাসতাম। সেই স্মৃতি ভুলবার নয়। ভানুর মজার কৌতুক শুনে আবার হাসিতে গাড়াগড়ি করলাম।

শুনতে হাস্যকর হল্ওে তার এই কৌতুক বাঙালীর প্যাচুক স্বভাব ও রাজনৈতিক কটুকৌশলকে স্পর্শ করেছে। যদি আমরা এ স্বভাব বদলাতে পারি , সত্যিই আমরা একদিন মহাকাশ ভ্রমন করতে পারবো। বিশ্বের মানচিত্রে সম্মানিত দেশ হিসাবে নিজেদের অবস্থান করতে পারবো।

August 27, 2012