কাজী নাসির মামুন একজন প্রতিশ্রুতিশীল কবি ও লেখক। দেড় বছর পূর্বে ভিডিও রের্কড করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ঝুলে থাকার পর আজ এডিটিং শেষ করলাম। কবি-বন্ধু ভিডিওটিতে তার প্রথম কাব্য ‘লখিন্দরের গান’ থেকে পাঠ ও আলোচনা করেছে। তার কবিতা পড়লে ঐতিহ্যের গর্বে বুক ভরে যায়। প্রাণ জেগে উঠে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে । কাব্য সম্পর্কে আমি কিছু বললাম না , যা শোনার কবির কাছ থেকেই সরাসরি শুনুন। শুধু এইটুকুই বলব – অসাধারণ।
প্রসঙ্গতঃ প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমি বিজ্ঞানের ছাত্র! বিজ্ঞানীনের মতই সাহিত্যে আমার টান । যারা প্রগতির কথা বলেন, শিল্প-সাহিত্য-দর্শন চর্চ্চা করেন, ভালোবাসেন, তাদেরকে আমার অতি আপনজন মনে হয়। বাল্য বন্ধু ‘কবি কাজী নাসির মামুন’ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু, ‘শোয়েব জিবরান’ এর সাহিত্য চর্চ্চা আমার বিশেষ মনোযোগ কেড়েছে। তারা কি করে, কি ভাবে তা আমি নিয়মিত জানার চেষ্টা করি । দু’জনে সাহিত্যে বেশ ভালো অবদান রাখছে। ময়মনসিংহে গেলে কাজী নাসির মামুনের সঙ্গে আমার সবচেয়ে বেশী সময় কাটে । সে আমার দর্শন-চিন্তা মনোযোগ দিয়ে শোনে। আমিও তার কবিতা ও ভাবনা বুঝার চেষ্টা করি।
আশি-নব্বইয়ের দশকে বাংলাদেশের কবিদের সম্পর্কে – ‘ঝুলা ওয়ালা’, দাড়ি-চুল ওয়ালা ‘বহেমিয়ান’ হিসাবে যে অপবাদ গড়ে উঠেছিল। ‘শোয়েব জিবরান’ ও ‘কাজী নাসির মামুন’ দুজনেই এ অপবাদকে অতিত্রুম করেছেন। দু’জনে সৃজনশীলতায়, আলাপ-আলোচনা ও আচরণে বেশ গোছানো, পরিপাটি, স্মার্ট । পাশাপাশি দু’জনই শিক্ষাবিদ। সরকারী বড় বিদ্যানিকেতনে সাহিত্য পড়ান, সাহিত্য চর্চ্চা করেন । আশাকরি দু’জনেই বাংলা সাহিত্যে আরো অনেক অবদান রাখবে।