ছবিটি ‘নিগাকুশিকি’ ( Nyuugakushiki ) অথর্াৎ প্রথম স্কুলে যাওয়া , অনুষ্ঠানের । কন্যা ‘অানিকা’র অভিভাবক হিসাবে আমি স্বস্ত্রীক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেিছলাম। অনুষ্ঠানে েপাষাক-আষাক, আচার-আচরনে বুঝার উপায় নেই , কে ধনী, কে গরীব । সবাই সমান । ধনী-গরীর, সিন্তু-বৌদ্ধ, বণর্-ধমর্-গোত্রের উধ্বর্ে অনুষ্ঠান পিতা-মাতা, েছলে মেয়ে সবার সমান অংশ্রগহন ও মযর্াদা দেখে আমি েতা হতবাক! একটি পুঁজিবাদী দেশে, বিশাল অর্থনৈতিক ব্যাবধানে এটা িক করে সম্ভব?
জাপানে আসার পর থেকে – পুঁজিবাদী সমাজ সম্পকর্ে বাংলাদেশীয় ধারনাগুেলা বদলে যাচ্ছে! অনেকগুেলা বছর বাস করে, বাস্তব-অভিজ্ঞতা থেকে এখন মনে হয়, মতবাদ বিষয় নয় , মুল বিষয় মানবাধীকার, আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়্যতা! জাপান পুঁজিবাদী রাষ্ট্র হলেও এখানে পুঁুজি অথর্াৎ ধনের বা বিদ্যার কারণে কেউ বাড়তি সুবিধা পায় না!
ছেলেবেলা থেকে আমি বুঝে না বুঝে – পুঁজিবাদ বিেরাধী! সাম্রাজ্যবাদ, বিলাসী জীবন, বিশ্বব্যাংক, অতিমুনাফা এসব সম্পর্কিত বিষয় গুেলা শুনলেই আমার মনটা অস্থির হয়ে যেত! মনে হত পুঁজিবাদই সব নষ্টের মুল! এজন্য ছেলেবেলা থেেকই ‘েসাভিয়েত ইউনিয়ন’ ও সমাজতন্ত্রের প্রতি ভালবাসা গড়ে উঠেছিল। মনে হত সাম্যবাদ প্রতিষ্ঠা করা গেলে বাংলাদেশের মত উন্নয়নশীল দেশের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সমস্ত সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। অনেকের মত েসাভিয়েত ইউনিয়ন ও সমাজতন্ত্রের পতনের পর কষ্ট পেয়ে ছিলাম! গনতন্ত্রের নামে পুঁিজবাদের জয় দেখে, পশ্চিমা বিশ্ব নিয়ে আগ্রহী হয়ে উঠেছি। যতই দিন যাচ্ছে পুঁজিবাদ সম্পর্ক আমার পূর্বধারনা ও সংস্কারগুেলা দিন দিন বদলে যাচ্ছে! এখন মনে হয় – পুঁজিবাদ বা সমাজতন্ত্র সমস্যা নয়, স্বার্থপরতাই সকল অনষ্টের মুল! প্রকৃতপক্ষে মানবাধীকার নিশ্চিত করা গেলে, সকল মতবাদেই শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। তবে মানবাধীকার ও গণতন্ত্র চচ্চার্ সবচেয়ে সহজ পন্থা।