ইদানিং জাপান সহ উত্তর বিশ্বের দেশগুলোতে ‘ভালো লাগে না!’ এই রোগটা বেশ রেড়ে গেছে। এর কারণে শিশু হত্যা, আত্নহনন, অকারণে বিবাহ বিচ্ছেদ, বিরোধ, বেহেমিয়ানগিরি, নেশাবাজি, কাজ-কর্মে অনাগ্র, অযথা অভিযোগ, স্বেচ্ছায় দারিদ্রতা গ্রহন অাশঙ্কাজনক ভাবে দ্রুত বাড়ছে!
এর মুল কারণ ব্যাখ্যায় জাপানি টিভিতে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন – একাকিত্ব, প্রেম অভাব, একাধিক পার্টনারের সঙ্গে লটর-বটর, অন্যকে বুঝতে না পারা, বাস্তবতাকে মেনে না নেয়া, নিজের অজন্তে স্বার্থপরতার চরম চর্চ্চা করা, সামাজিক ও মানসিক সম্পর্কের হাইপারটেশনে জটিলতায় নিজেকে জড়িয়ে রাখা!
সংসার কেন্দ্রিক ও সমাজিক দায়িত্বশীলতায় ব্যস্ত মানুষের এই রোগটা নাকি কম হয়। যারা কম্পিউটার, ইলেকট্রনিক গেইমস্ ও ইন্টারনেট নির্ভর জীবনযাপন করেন তাদের নাকি এ রোগটা বেশী হচ্ছে!
জাপান সরকার – এর প্রকোপ নিয়ে শঙ্কিত। তাই স্কুলে, সামাজিক অনুষ্ঠানে ও কর্মস্থলে মানুষকে নানান ভাবে স্বাভাবিক জীবনে আগ্রহী করার চেষ্টায় চলছে। সংসারমুখি করার জন্য চালু করেছে নানান সুবিধা! নিয়মিত ব্যায়াম, খেলাধুলা, পরিবারের সাথে অন্তরঙ্গ বসবাস করে, নিয়মিত বিনোদন, গান-বাজনা করা, প্রকৃতি দেখা ও নিজের প্রতি যত্নবান হয়ে নাকি এ রোগ থেকে দ্রুত আরগ্য লাভ করা যায়!
কষ্টের কথা – চীনে’গেইম ও ইন্টারনেটে’ নেশাগ্রস্থ কিশোরদেরকে স্বাভাবিক জীবনে আনার জন্য তো ইতিমধ্যে বিশেষ জেল খানা চালু হয়েছে। জাপানে জেলখানা এখনো চালু না হলেও – স্কুল. শিশু-কিশোরদের দিনে ১ ঘন্টার বেশী স্মাটফোন ও গেমস্ ব্যবহারের অনুমতি দেয় না! বাবা-মা ও বিষয়টা বিশেষ নজরে দেখাশোনা করে।
সোস্যাল মিডিয়ার কারনে আমরা বিশ্বের বাস্তবতা থেকে এখন আর আলাদা নই । তাই প্রিয় বাংলাদেশী ভাই-বোনদের বিষয়টি নিয়ে সর্তক থাকার অনুরোধ রইলো।