লেখালেখির ইচ্ছা ও অভ্যাস আমার স্কুল জীবন থেকেই। কেন এই আবেগটি আমার জীবনে এসেছিল তা আমি জানি না। ছেলে-বেলা থেকেই নিয়মিত পত্রিকা পড়া, বই-ম্যাগাজিন দেখলে ঘাটাঘাটি করা, কাগজের ফেরিওয়ালা কাছ থেকে সের ধরে পুরাতন বই কিনে পড়া, লাইব্রেরীতে যাওয়া ছিল আমার অভ্যাস। হয়তো সেটারই ফল! তরুণ বয়সেই বেশ কয়েকটি উপন্যাস ও গল্প লেখা হয়েছিল। এরপর অনেক কবি-সাহিত্যিক, প্রকাশক ও পত্রিকায় পিছনে ঘুরেছি – প্রকাশ করার জন্য। বন্ধুদের সহয়োগীতায় কিছু কিছু প্রকাশও হয়েছিল। কিন্তু আস্থার পথ পাচ্ছিলাম না – লেখালেখিকে পেশা হিসাবে নেবার ।
১৯৯৫ সারে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করা পর – বিজ্ঞানের বাহিরে না-পড়া সমাজবিজ্ঞান, মনোবিজ্ঞান, রাজনীতি, দর্শন, ইতিহাস, উন্নয়ন, মিডিয়া, কমিউনিকেশন ইত্যাদি বিষয়ের গভীরে হাত দিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম – অনেক শেখার বাকি, অনেক জানার বাকি। তাই লেখার চেয়ে, বই পড়ার পর নোট নেয়ার অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল আমার। আজ আমার বুকসেলফ বইয়ের পাশাপাশি নোটবুকের দখলে। ২০১০ সালে আবিস্কার করলাম, গত ১৫ বছর কেন আমি সাহিত্য রচনা করিনি? আমার সবচেয়ে প্রিয় বিষয়, অথচ ১৫ বলার মত কোন কাজই করা হলো না। হৃদয়ের গহীন শুন্যতা বোধ করে ছিলাম! নিজের প্রতি নিজেই অপরাধী হয়ে গেলাম! ১৯৯১ সালে লেখা প্রথম উপন্যাস ‘আশার আলো’ প্রকাশ করলাম ২০১২ সালে! প্রকাশকের পিছনে ঘুরে ক্লান্ত না হয়ে, নিজেই যেহেতু ওয়েব সাইট ও ব্লগ বানাতে পারি, ব্লগিংকেই বেছে নিলাম – প্রকাশের বিকল্প পথ হিসাবে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আমার আমার শত শত পোষ্টিং বিভিন্ন ব্লগে! নিজেও সবগুলোর ঠিকানা জানি না! আমার ব্লগের পোষ্টিংগুলো সাধারন হলেও – আমি সব সময়ই চেষ্টা করি নতুন তথ্য, আনন্দ ও প্রেরণা দেবার।
গত সপ্তাহে বিডি নিউজের সহকারী সম্পাদক তন্ময় ইমরান আমার পোষ্টিং পড়ে বললেন – আপনার লেখাগুলো ভালো । প্রবাস জীবনের অভিজ্ঞতা নিয়ে যদি বিডিনিউজে লিখেন – পাঠকের গ্রহন করবে। সেই প্রস্তাবের জবাবেই – ‘জাপানে কাঁচা মাছ খাওয়ার স্মৃতি’ লিখলাম । আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে ।
এখন থেকে নিজস্ব ও নতুন ধারায় নিয়মিত লেখালেখি করতে চাই। মনের ভিতর অনেক তথ্য, অভিজ্ঞতা, ভাব, আশা ও দর্শন গিজগিজ করেছে। বের করা দরকার – নইলে হৃদয় শান্ত হবে না।