বাহ্ , আমার সঙ্গে আইনষ্টানের মিলে গেছে! মুখস্ত আমার কাজ না, বিষয় বুঝা আমার অভ্যাস। ছাত্র জীবনে ফাইনাল পরীক্ষায় আমি নম্বরে পাকা থাকলেও, মুখস্তে ছিলাম কাঁচা! বিজ্ঞান – বিশেষ করে ভুতত্ত্ব পড়ার সময – নম্বর পাওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রাইমারী ছাত্রদের মতো অনেককিছু মুখস্ত করতে হতো। যারা মুখস্ত করতে পারতো – তারা পেত টিউটিরিয়াল পরীক্ষায় ২০ মধ্যে ২০, আর আমি পেতাম ২০ মধ্যে ২ ( প্রথম বর্ষে) ! কম নম্বর পাওয়ার ভয়ে খাতা-দেয়ার সময় জড়জড় থাকতাম!
প্রথম বর্ষের পর বাধ্য হয়ে আমাকে মুখস্তের পথ ধরতে হয়েছিল। তারপরও চুথা নোটের হুবুহু মুখস্ত করতে পারতাম না। অনেক শ্রদ্ধেয় শিক্ষক আমাকে বকা দিতেন, ‘শাহজাহান সিরাজ- জিওলজি কি সাহিত্য নাকি? যে বানাইয়া বানাইয়া নিজের মত করে লেখ..’ । বিষয়ের কোন কিছুই আমার উত্তরে বাদ পড়তো না, তারপরও কাঙ্খিত নম্বর পেতাম না! নম্বরে তৃপ্ত না হলেও জ্ঞানে ও বুঝায় আমি তৃপ্ত ছিলাম। আমি বিজ্ঞান বুঝি, মানি ও ভালোবাসি। বিজ্ঞানের টানে প্রতিদিন এগিয়ে যাই, কুসংস্কার মুক্ত থাকার চেষ্টা করি সবসময়ই।
শুনেছি- অর্নাস ও মাষ্টাস দুই পরীক্ষাতেই – উত্তর লেখায় নিজ্স্বতার কারণে আমার অধিকাংশ খাতাই নাকি – ‘থার্ড এক্সামিন’ হয়েছিল। আমার রেজাল্ট শেষ থেকে প্রথম সারিতে চলে এসেছিল।
যাইহোক, লেখাপড়া এখনও আমি করি, প্রতিদিনই পড়ি, ঠিক ছাত্র-জীবনের মতো! কিন্তু মুখস্ত করি না, করতে পারি না। মুখস্ত নয়, জ্ঞার্নাজনে সৃজশীলতা ও আনন্দই আমার পথ!