বিখ্যাত পারফরমিং আর্ট ‘কডো’ উপভোগের অভিজ্ঞতা

সাপ্তাহিক বন্ধ শনি আর বরিবার জাপানের প্রতিটি জয়গায় কোন কোন না অনুষ্ঠান থাকেই। এ বিষয়ে জাপানীদের বক্তব্য , সারা সপ্তাহ সবাই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকি, নিজের তো বিশ্রাম নেয়া দূরের কথা – ছেলে মেয়েকেও বিনোদন আর সময় দেয়ার ঝু নেই ! তাই বন্ধের দিনে কোন নতুন অনুষ্ঠান হলে কেউ যোগদানের সুযোগ হাতছাড়া করতে চায় না। সাদো দ্বীপ হওয়ার কারনে একটু বেশী সুবিধা পায়। প্রধান শহর নিগাতাতে কোন সাংস্কৃতিক দল আসলেই , সাদো ভ্রমন করে। পরিবেশনের পাশাপাশি দ্বীপটার সুন্দর্য দেখারও সাধ হয়তো শিল্পীদের থাকে ।

বেশ কিছুদিন ধরে বিখ্যাত ‘কডো’ দল এ অঞ্চলে পারফরমেন্স করছে। আজ আমরা সবাই অনেকদিন প্রতিক্ষার পর কডো দেখতে গিয়েছিলাম । ১ ঘণ্টার অনুষ্ঠান দেখে আমরা সবাই মুগ্ধ । ভেবেছিলাম , ১ বছরের কুওন  বোধহয় ড্রামের শব্দে ভয় পাবে, কাদবে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় সেও মুগ্ধ হয়ে দেখেছে। ঢোল আর ড্রামের পারফরমেন্স এত উপভোগ্য হতে পারে, আমার কল্পনায় আসনি। মাঝে মাঝে অবশ্য একগুয়ামীতা ত্যাগ করার জন্য শিল্পীরা জাপানীজ ঐতিহৃবাহী নৃত্যনাট্য পরিবেশন করেছে । ড্রামের পাশাপাশি কটো, বাশি, নুপুর, করতাল আরো অনেক জাপানিজ হস্ত নিমিত ও হস্ত চালিত বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছিল অনুষ্ঠানটিতে ।

ছবি ও ভিডিও তোলা নিষেধ থাকার কারনে মুল পরিবেশনের ভিডিও করতে পারিনি। তবে শিল্পীদের সঙ্গে ছবি তুলেছি। অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষাথী কডো শিল্পীরা বাহিরে পারফরমেন্স করেছে তার ভিভিও করেছি। যখন নুপুরের শব্দ বেজেছে তখন রাজবাড়ির নর্তকীর কথা আমার মনে পড়েছে। যখন ড্রামের শব্দ লক্ষ্য করেছি দূর্গাপুজার ঢোলের শব্দ কানে এসেছে। যখন ড্রামের লাঠির কসরতে মনোযোগ পড়েছে – মহরমের লাঠিগুড়ানোর কথা মনে পড়েছে। এত বিখ্যাত শিল্পী অথচ তাদের চোখে মুখে আচরনে কোন অহংকার দেথেনি। আয়োজকরাও হামকি-দমকি করেনি। আমি বাংলাদেশ থেকে এসেছি শুনে বাংলাদেশ নিয়ে অনেক কিছু জিজ্ঞাসা করলো । কুওন-কুনকে কোলে নিয়ে ছবি তুললো।

কডো অফিসিয়াল সাইট http://kodo.or.jp

October 13, 2012