শায়েস্তা খাঁর আমল ও জাপানে মানুষ ছাড়া দোকানদারী

কথিত আছে, বাংলার সুবাদার শায়েস্তা খাঁর আমলে ( ১৬৬৪-১৬৭৮) এক টাকা আট মন ধান পা্ওয়া যেত। মানুষ এত শান্তিতে থাকতো যে ঘরে তালা লাগাতে হতো না, সবাই ছিল নিরাপদ….। আমাদের সেই ঐতিহ্য আজ আর নেই , কিন্তু এখনো গ্রামীন জাপানে আছে। জাপানের গ্রামে সাধারনত ঘরে তালা দেয়া হয় না, দোকানী ছাড়াই দোকান সাজানো হয়। এমন এক দোকানে গত পরশু গিয়ে ছিলাম। আমাদের সবজী েেতর পাশে একটি গ্রীণ হাউজ েেত্র 'বিগ সেল' জাপানী লেখা দেখে দাঁড়ালাম। দেখি, েেতই অস্থায়ী টেবিল দিয়ে দোকান খোলা হয়েছে। সবজির আর ফলে গায়ের কাগজে দাম লেখা। দাম বাজারের প্রায় অর্ধেক! মনের মতো সবজী আর ফল কেনার পর, মানুষ খুঁজছি দাম দেবার জন্য; কিন্তু মানুষ পেলাম না। দেখি, একটি বাঙ্রে গায়ে লেখা – এখানে ইয়েন রাখুন। মিসুজু সানকে জিজ্ঞাসা করলাম, কেউ যদি টাকা না দিয়ে চলে যায়, কৃষকের তো তি হবে। সে বললো, কেউ করবো না। যে করবে, সে খুব খারাপ মানুষ। সমাজের কেউ তাকে পছন্দ করবে না, সহযোগীতা করবে না। …সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শায়েস্তা খাঁয়ের আমলের কথা মনে পড়ে গেল । আমরা কি, আমাদের আগের সেই ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পারি না? আমরা সবাই কি আবার নিরাপদ আর সততার সাথে বাস করতে পারি না?

August 30, 2012