সবাইকে নারী দিবসের শুভেচ্ছা, বিশেষ করে নারী বন্ধুদেরকে, যারা সাহসী ভুমিকা নিয়ে জীবন ও সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে!
আমি েছাটবেলা থেকেই ‘নারী-পুরুষ’ সমান – এই যুক্তি মানি, তকর্ করি ও সমথর্ন করি! িকন্তু েকানক্রমেই পুরোটা চচ্চর্া আনতে পারছিলাম না! মাথার ভিতর একটা কুশক্তি েকানক্রমেই আমাকে যেন মুক্তি দিচ্ছিল না! এজন্য জাপানী স্ত্রী’র সঙ্গে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে, অনেক খুনসুটি করতে হয়েছে। অবশেষে বুঝেছি, মেনে নিয়ছি। বলতে গেলে, এখন জাপানে আমি ‘হাউজ হাজবেন্ড’ (House Husband’। পেশাগত তথাকথিত সাফল্য, বিখ্যাত হওয়ার দু’রাশা, পুরুষতান্ত্রিকতার অহমিকা ত্যাগ সহজ নয়, বড়ই কঠিন! এখন আমি নিজেকে পুরুষ হিসাবে নয়, একজন মানুষ হিসাবে দাবী করি!
আগে যখনই ঘরের কাজ করতাম – মনে হত, এই বুঝি আমার সময়গুলো নষ্ট হল! স্ত্রী ঘরের কাজের তাগিদা দিলেই বিরক্ত হয়ে বলতাম – “আমি কি আপনার বুয়ার কাজ করার জন্য ইউনিভাসিটর্িতে পড়েছি!…” আমার কথার উত্তরে সে আস্তে আস্তে বলত, ‘বুয়ারা কি মানুষ না? আপানাদের দেশে মানবাধীকার নাই, কম টাকায় দাসের মত অন্যকে দিয়ে কাজ করান, আর নিজের বেশী বেতন নেন! নিজের কাজ অন্যকে ঠকিয়ে করানো এটা অন্যায়…’
আমি বিশ্ববিদ্যালয় জীবন থেকেই রান্না করা পছন্দ করি ! িকন্তু প্রতিদিন, এমনকি জরুরী কাজের সময়ও রান্না করতে হবে, এটা একে বারেই মানতে চাইতাম না! ! রান্নার কাজে বিরক্ত হয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তকর্ বাধলে সে বলে – “পৃথিবীর সব বিখ্যাত পাচক, পুরুষ! আপনার হতে বাঁধা েকাথায়? তাছাড়া রান্না করা, ঘরের কাজ করা শুধু নারীর কাজ, আপনাকে কে বলেছে?”…অবশেষে একযুগ সংগ্রাম করে বুঝতে পেরেছি আসলেই ‘নারী আর পুরুষের তফাৎ নাই’! তফাৎটা আমরা তৈরী করি, কৃসংস্কারের ছায়ায় তৈরী হই! জাপান-ইউরোপ-আমেরিকায় হাজার হাজার পেশাজীবি, েকাটি-পতি ব্যবসায়ী নারী! আমার আশা নারী, কুসংস্কার ও পুরুষের অযথা যতাকল থেকে বাংলার নারী বের হতে পারলে – বাংলাদেশের উন্নয়ন কেউ থামাতে পারবে না! নারী আর পুরুষে সমান অংশগ্রহন ছাড়া কখনই কোন সমাজ ও সংসারে উন্নয়ন, সমৃদ্ধি ও সুখ আসে না!
আমার স্ত্রী আমার মত কাজ করে! আমার চেয়ে অনেক বেশী চাকুরি করে, গাড়ি চালায়! কৃষিতে আমােক সাহায্য করে। আমি ২ বেলা রান্না করি, ঘরের কাজে পুরো সহায়তা করি ! অনলাইনে ঢাকার অফিস চালাই! আমি পেশাজীবিতার সাথে সাথে একজন দক্ষ ‘হাউজ হাজবেন্ড হতে চাই’! প্রমান করতে চাই – সংসার সুখের হয় পুরুষের গুণে, শুধু নারীর গুণে নয়!