বাংলাদেশের ছেলে-মেয়েদের আগে বাবা-মা-অভিভাবকগণ স্কুল-কলেজে ভতর্ি হন! টাকা আর ক্ষমতার মানডন্ডে শিক্ষার বিচার করেন, প্রিয় ছেলে-মেয়েদের জন্য বিষয় ঠিক করেন, বিতকর্িতভাবে অনুপ্রাণিত করেন! যেখানে বেশী টাকা, চাকুরীর বেশী নিশ্চয়তা সেখানেই – সবাই পড়ে ও পড়তে চায়! আনন্দ, সমাজ কল্যানের ইদানিং খুবই কম গুরুত্ব দেয়া হয়!….ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিবিএ-এমবিএ, কম্পিউটার ইত্যাদির প্রতির আকষর্নের উঠানামা দেখলেই সহজেই বাংলাদেশীয় মনঃস্তত্ব বুঝা যায়!
ভাল ছাত্র হওয়ার পরও অজনপ্রিয় জিওলাজি পড়ার কারণে ছাত্র-জীবনে প্রায়শঃ শুনতে হত-‘ভাল চাকুরী পাবা? েকন এটা পড়তে গেলা..’ অনেক ধাক্কাধাক্কির পর শেষপযর্ন্ত টিকে থাকতে না পেড়ে ভু-তত্ব ছেড়ে – নতুন জগত মাল্টিমিডিয়াতে আসতে হল! নতুন জগতে ভালই করছি! িকন্তু আজও আমি মানতে পারি না! মাঝে মাঝে মনে হয় – ভুবিজ্ঞানের পথটি সঠিক ছিল, ধরে রাখতে পারলে অনেক কল্যান হত!
শিক্ষায় অর্থলোভ, পদলোভ, দূনীতিলোভ, সহজে ধনী-হওয়ার কৌশল পরিতাজ্য!…আমাদের সময় জাহাঙ্গীর নগরে ‘ফামেসী’, নৃবিজ্ঞান ইত্যাদি পড়া ছিল অভিজাত-অধ্যায়ন! কারণ বেশী বেতনের চাকুরী নিশ্চিত! এখন অনেক ছেলেমেয়েরা বিবিএ-এমবিএস ছেড়ে ‘উন্নয়ন বিদ্যা’, মিডিয়া পড়ার দিকে ঝুকছে -লক্ষ্য অনেক টাকার চাকুরী! আমি নিশ্চিত – আজ যদি ‘রিক্স্রাবিদ্যা’ , পরিচ্ছন্নবিদ্যা বা ‘বুয়া বিদ্যা’ চালু করে বলা হয়, েতামরা সবচেয়ে বেশী বেতন পাবে, চাকুরী নিশ্চি – সবাই গড্ডালিকপ্রবাহের মত সেদিকেই ঝুকবে! আনন্দ বা সমাজ প্রয়োজনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখােনা হবে!
সবকিছুর আগে শিক্ষার মুল উদ্দেশ্য – একজন দক্ষ ও সৎ মানুষ হওয়ার গরুত্ব পাওয়া উচিত! উন্নত বিশ্বের শিক্ষা চচ্চর্া ও বিস্তার দেখে যত তাড়াতাড়ি আমরা আমাদের ভুল পথ-চলা বুঝতে পারব, ঠিকঠাক করে সঠিক পথে চলতে পারবে, ততই তাড়াতাড়ি আমাদের উন্নয়ন হবে।