“কপিরাইট: শিল্পী-লেখকরাও ‘সচেতন নন” মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রীর কথাটা বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ৯৯% সঠিক! ইউরোপ-আমেরিকা-জাপানে, এই ডিজিটালের যুগেও কেউ অনুমতি ছাড়া কোন শিল্পীর শিল্প বা লেখা প্রকাশ তো পরের কথা , ব্যবহারও করে না। লেখক-শিল্পীরাও ছাড়ে না – ধরা পড়লে কেইস ফাইল ও সরকারের মাধ্যমেই উপযুক্ত জরিমানা!
‘কপিরাইট’ আসলে সংস্কৃতি, সভ্যতা – অন্যের জিনিষ চুরি বা গ্রাস না করার সুঅভ্যাস! যা গড়ে উঠতে সময় লাগে! বাংলাদেশ – স্বভাবটা মনেহয় ইন্ডিয়া থেকে পেয়েছে! হিন্দি গানের ও ছবি বিনামূল্যে উত্তাপ ছড়ানো আগে বাংলাদেশের বাজার ছোট থাকলেও অবস্থা এত খারাপ ছিল না!
বাংলাদেশে // গান, বই বিক্রি, সিডি, ফটো এমনকি ফেইজবুক ষ্ট্যাটাসের কপি দেখলে বুঝা যায় – কি করুণ অবস্থায় আছেন আমাদের লেখক ও শিল্পীগন।
গত বই মেলায় ”জাপান স্মৃতি বাংলা প্রীতি’ নামের বইটা প্রকাশ করার ইচ্ছা করেছিলাম। কয়েকজন প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। সবই বললো – সুন্দর থীম, লেখা গুলোও বেশ ভালো। পাঠক প্রিয় হবে। কিন্তু স্যার, ছাপার খরচটা আপনাকে দিতে হবে। আমি বললাম – কত টাকা লাগবে? কত কপি ছাপাবেন?
প্রকাশক বললো – আপনি জাপানে থাকেন, টাকা অভাব তো আপনার নাই! ৫০ হাজার দিলেই হবে? ১০০০ কপি ছাপাবো, পরে চললে আরো ছাপাবো…
আমি বললাম – আর কপিরাইট? কষ্ট করে লিখলাম – আমাকে কিছু দিবেন না?
এই প্রসঙ্গ আনতেই প্রকাশক মিয়া বললেন – স্যার, এবার থাক, সময় কম! আগামীবার প্রকাশ কইরেন! ….
আমি জানি, আমার কপালে আগামীবার আর আসবে না ! বই প্রকাশ করতে চাইলে, টাকা আমাকে দিতেই হবে! প্রথম বই ‘আশার আলো’ টাকা দিয়েই প্রকাশ করতে হয়েছিল!
“হাল ছেড়ো না বন্ধু বরং কন্ঠ ছাড়ো জোরে…. ” কিন্তু আমি হাল ছেড়ে দিয়েছি।
ভাবছি, জাপান থেকেই প্রকাশ করবো। এতে খরচ নিয়ে শুভঙ্করী হবে না, চললে – কপিরাইটের পুরো লাভটা পাবো! বাংলা বলে, প্রচার সংখ্য হয়তো একটু কম হবে!