জাপানের স্কুলে প্র্রতিটি ছেলে মেয়ের জন্মদিন পালন করা হয়। কেক পাটর্র্ির আয়োজন করা হয়। হোকশো ( কিন্টারগাডর্র্েন ) স্কুলে প্র্রতিটি শিশুর জন্মদিন বেশ ঘটা করেই পালন করা হয়। বিষয়টি প্র্রথম শুনে আমার বেশ অন্যরকম মনে হয়েছিল – প্র্রতিটি ছেলে-মেয়ের জন্মদিন পালন, এটা কি করে সম্ভব? তাহলে তো প্র্রতিদিনই কারো না কারো জন্মদিন থাকবে। তারপর খোঁজ নিয়ে দেখি – প্র্রতি সপ্তাহে, একদিন নিয়মিত জন্মদিনের কমন কেক পাটির্র্র আয়োজন করার হয়। মুল উদ্দেশ্য – শিশুদেরকে বিনোদন, উৎসাহ ও রিকগনিশন করা। সেই হিসাবে, আজ কুওনকুনের জন্মদিন হলেও গত কাল তার পঞ্চম জন্মদিনে স্কুলে পালন হয়েছে। তবে বাড়িতে আজ আমরা পালন করবো। সে তো মহাখুশি – আজ সকালে তার পছন্দের কেক নিয়ে মায়ের সঙ্গে অনেকক্ষন আলোচনা করেছে।
বাংলাদেশে গ্র্রামের শিশুদের জন্মদিন পালন, এমনকি স্মরণ করিয়ে দেয়ার রীতি এখনও চালু হয়নি তেমন। শহরের ছেলে মেয়েদের অনেকে এখন বেশ ঘটা করে পালন করে, কিন্তু উদ্দেশ্য শিশুর আনন্দের চেয়ে আভিজাত্য জাহির, যা মুল উদ্দেশ্যকে অনেকাংশে নসাৎ করে। অনেকটা বিব্র্রতকর! আমি মনে করি – জাপানের মতো বাংলাদেশেও স্কুলেও সকল শিশুর জন্মদিন পালন জরুরী । এতে শিশুরা শিশুকাল থেকেই আনন্দ ও ভালোবাসার সাথে বেড়ে উঠবে।