সকালেই এই দুঃসংবাদটি শুনে মর্মাহত হলাম। ছাত্র জীবন থেকে মানুষটি আমার প্রিয় আবৃতিকার ছিলেন। ক্যাসেটে তার, স্বৈরাচার বিবোধী ও ভালেরাসার আবৃতি শুনে অভিভূত হতাম। কি সুন্দর কন্ঠ, যেন হৃদয়ের ভাষা। বিশ্ববিদ্যালয়ে, তার অনেকগুলো ক্যাসেটের সংগ্রহ ছিল আমার।
এরপর বিএনএনআরসি’র বজলু ভাই, মন্জু ভাইয়ের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিলেন ২০০৬ সালে। তিনি একজন মিল্টিমিডিয়া ডিজাইনার খুঁজছিলেন। বজলু ভাই বলেছিলে,
– একজন ভালো মানুষ ও দক্ষ ডিজাইনার দিলাম। সারা জীবন, নিশ্চিন্তে সিরাজ ভাইয়ের সঙ্গে কাজ করতে পারবেন। মাল্টিমিডিয়া প্রডাকশন নিয়ে- আপনার ব্যস্ততা অনেক কমে যাবে!
প্রিয় মানুষের সামনে সেদিনের নিজের প্রশংসা শুনে কাচুমুচু করেছিলাম। শ্রদ্ধায় তাকিয়ে ‘যথা সম্ভব সেবা দেয়া হবে’ এই সম্মতি জানিয়ে ছিলাম।
পরিচয়ের প্রথম থেকেই মঞ্জু ভাই আমাকে খুব ভালোবাসতেন, রিলাই করতেন, কাজের প্রশংসা করতেন। প্রথম দেখাতেই তার গড়া এনজিও ‘মাস লাইন মিডিয়া সেন্টারের’ অফিসিয়াল ওয়ের ডিজাইনার বানিয়েছিলেন।
এরপর এমএমসি’র পাশাপাশি ‘শিশু প্রকাশ’ অনলাইন পত্রিকাসহ ৪ টা ওয়েব সাইট বানিয়েছিলাম, ওয়েব মাষ্টার হিসাবে কাজ করেছে ‘মাজিজো টিম’। বেশ কয়েকটি ভিডিও ডকুমন্টেরীও বানিয়ে ছিলাম তার সঙ্গে । মাচিজো সঙ্গে এমএমসি’র সম্পর্ক ছিল শেষ পর্যন্ত, ২০১৬ পর্যন্ত।
এরপর হঠাৎ ক্রনিক ডাইবেটিসে অসুস্থতার কারণে সংঘটন ছোট করে অবসরে চলে গেলেন; যা আমার কাজের সিডিওলে শুণ্যতা তৈরী করেছিল। মঞ্জুভাই ও তার এমএমসি’র সঙ্গে টানা ১০ বছর কাজের অভিজ্ঞতা ছিল অনবদ্য।
লেনাদেনা, কথায় ও কাজে ছিলেন সৎ, পরিস্কার ও প্রফেশাল । মিডিয়া, উন্নয়ন ও ম্যানেজম্যান্টের অনেক কিছুই তার কাছ থেকে শিখেছি।
পরপারে মঞ্জু ভাইয়ের শান্তি কামনা করেছি।
তার সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা ও সুসম্পর্ক আমি কখনো ভুলবো না!