Japan is preparing for Diet’s upper house election on 21 July
লাঠি-শোটা, গুন্ডা-বদমাইশ, রামদা-বল্লম নিয়া শো-ডাউন করা যাবে না । মোবাইলে কথা বলে ভোট চাওয়া যাবে, কিন্তু এসএমএস করা যাবে না, টাকা টেন্সফার করা যাবে না ।
বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্র্রাথী ভোট চাইতে পারবে না! কারণ – ভোট দিবে না, চোখে মুখে সেই ছাপ দেখে; ভোটের পর ‘দেইখ্যা লইমু’র সম্ভাবনা আছে! সংখ্যালঘুরদের চোখ রাঙানো, পিঠে হাত ভুলানো সম্ভবনা থাকে! আর থাকে প্রতাপশালীদের দামী সাকে (মদ-টত) উপহার দিয়ে, ওজিসামা বলে, তেল মেরে, লোভ দেখিয়ে, আত্নীয়-টাত্বীয় বলে; দলে ভাগানো সম্ভাবনা থাকে! তাই – প্রার্থীর বাড়ি বাড়ি যাওয়া জাপানি ভোটাভোটিতে নিষিদ্ধ, হারাম!
দশজনের অসুবিধা হবে না, এমন জায়গায় ‘একা একা’, ছবির মত বিরাণভূমিতে হাও-গাও করে ভোট চাওয়ার বাঁধা নাই! তবে মাগনা কামলা, চামচা-চেলা ব্যবহার নিষিদ্ধ! অফিসিয়াল ষ্টাফ ও ডিকলিয়ার কর্মী ছাড়া কেউ পোষ্টার-ফেষ্টুন হাতে রাখতে পারবে না! কাছামারা-ঘামঝরা মানুষ নিয়া দল লম্বা করা যাবে না । ধর্মের দোহাই তো পরের কথা, বিপক্ষের প্রার্থী- অযুক্তি আচরনের প্রমান জাহির করতে পারলে, প্রতিপক্ষ বিনাভোটে পাশ।
শুনেছি – প্রার্থীরা নাকি একে অনে্যর ভুল ধরার জন্য, গোপনে পেইড এজেন্ট নিয়োগ দিয়ে রাখে! ফলত, রুই-কাতলও ভোটে যোগ্যতা হারানোর প্যারাকলে পড়ার ভয়ে তথস্থ থাকে!
এই হলো জাপানি ভোটের উৎসব। পুরোই যেন বাংলাদেশ, ফাকিস্তান আর ‘জয় শ্রী রাম’ ভারতের উল্টো!
আসছে ২১ শে জুলাই ভোট হবে। রাস্তায় প্রতি প্রার্থীর ১টি করে গাড়ী ও মাইক ছাড়া কিছু দেখছি না। কেমন যেন মেটমেটা, মরামরা লাগছে!
– মাগনা চা খাওয়া ধুম, টাকার খেলা, মিথ্যা আশ্বাস, পাগলা-মিছিল, কান ফাটানো হাস্যকর মাইকিং ছাড়া কি নির্বাচন জমে?
গতকাল, জাপানি ভোটের এই সুন্দরী ক্যানভাসারের ছবিটা তোলেছি। তোলার আগে সুন্দরী মাইয়ারে কইলাম,
– তোমার একটা ছবি তুলি?
হেসে বলে,
– তোল!
– ফেইজবুকে দিমু, ঠিক আছে?
– দিও! তয়, আমার নাম দিও না !
জাপানে, ফেইজবুকেও ছবি ব্যবহারের আগে অনুমতি লাগে। বান্ধবী তো পরের কথা; বউয়েরও । এই কারণে, আমার বউয়ের ছবি, টাইম লাইনে কম ঘুরে! “কি শান্তি ঘরে ঘরে!”
বেশী ফূর্তি ভালো না, বেশী আনন্দ, বেশী ছেবলামি ভালো না! বিশেষ করে রাজনীতি আর ভোটাভুটি’র মত সিরিয়াস বিষয়গুলোতে! বাংলাদেশে গনতন্ত্র, জাপানের মত প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করুক; সমাজ ও উন্নয়ন বিকশিত হোক; সেই কামনা রইলো!