লোকটি উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন। নিজে ভোগ না করে, এটাসেটা করে, ঢাকায় একাধিক বাড়ি গাড়ি ফ্লাট করেছেন।
উনসত্তর বছর বয়সে, সবাইকে ভূগিয়ে, সকালে করোনায় মারা গেছেন।
ঘরে লাশ রেখে – অশ্রুপাতে রিপরীতে; ছেলেমেয়ে, মেয়ের জামাইয়ের চোখেমুখে লোভ আর আক্রোশের রক্ত। কতক্ষন পর পর বিদেশে নিকট আত্নীয়দের সঙ্গে ফোন করে, সলা-পরামর্শ করছে,
– কে কোন বাড়ি-ফ্লাট পেয়েছে। কোনটা কাকে দিয়েছে, কেন দেয়েছে! কারটা দাম বেশী, কারটা কম দাম ইত্যাদি
শেষ বিদায়ের চেয়ে, ‘পাওয়া-না পাওয়ার’ হিসাবটা যেন সবার কাছে মূখ্য বিষয়।