ছোট সময় সেনাবাহিনীর পেদানি খেয়ে সুচি মনেহয় নিজেই এখন সেনা অফিসার, সেনা বাহিনী! সত্যিই সেনাবাহিনীর উপর জিনিষ নাই।
ফররুদ্দীনের আমলে , আমি ময়মনসিংহ থেকে বাসে করে ঢাকায় আসছি। গাঙ্গিনাপাড়ের মোড়ে হঠাৎ কয়েকজন সেনাবাহিনী আমাদের বাসটা দাঁড়া করালো । এক অফিসার বললো
– এই ড্রাইভার মিয়া, জোড়ে ব্রক করলা ক্যান? ড্রাইভার-হেলপার সবাই নামো
৩ জন নামলো। সেনা অফিসার বললো,
– তোমরা তিনজন গাড়ির পুটকি দিয়া ঢুকবা আর মুখ দিয়া বাইর হবা। পিছনে তাকাবা না
ওমা স্যতিই তাই করতে হইলে। তিনজন মানুষ, দেখি গাড়ীর নীচে পিছন থেকে সামনে হামাগুড়ি দিয়া বাহির হচ্ছে! আমি ভয়-কষ্টের সময়ও হাসি চাপিয়ে রাখতে পারছিলাম না!
নাটক শেষ হবার পর, সবাই গাড়িতো উঠলো । ভাব-গতি চেক করার জন্য সঙ্গে একজন সোনাবাহিনীও । ঘটনাটা হাস্যকর , বিশেষকরে সিনেমাষ্টাইলে বাহিনীর মাস্তানি! একসঙ্গে বসা সুট-টাই পড়া মধ্যবয়সি দুইজন সুশীল ধরনের মানুষ হেসে দিল। সেনা অফিসার একটু ঘুরে দাড়িয়ে বলল,
– এই ভদ্রমিয়া দুইজন , আপনারা হাসলেন ক্যান? আপনাদেরও গাড়ির পুটকি দিয়া ঢুকতে হইবো।
স্যাুট-টাই খুলে , সত্যিই তাই করতে হলো। এরপর সেনা-অফিসার গাড়িতে এসে সবার উদ্দেশ্য বললো।
– ভাই ও বোনেরা, দেশে আইনের শাসন চলছে। আইন শেখানো জন্য আমরদের এই কামটা করতে হইলো, দুঃখিত! এই ড্রাইভার মিয়া, সোজা গাড়ি টান দিবা। ভালুকা পর্যন্ত কেউ টু শব্দ করবেন না, পিছনে তাকাবেন না।
সত্যিই কেউ তাকালো না, ভালুকা পর্যন্ত কেউ কথা বললো না, আমিও না! ভালুকা গিয়ে – ড্রাইভার শুধু ক্ষীন কান্নাজড়া কন্ঠে বললো,
– দেশটা মগের মুল্লক হয়ে গেছে। যা ইচ্ছা তাই করে!
এখন বুঝন – সেনাবাহিনী কি জিনিষ !
ফেইবুক, আরারকান, রোহিঙ্গা আর ফকরুদ্দিন কিন্তু এ না বন্ধুরা! সময় বদলালেও, সেনাবাহিনী কিন্তু কোন দেশেই বদলায় না! বার্মা তার প্রমাণ! আর সিভিল যদি সেনাবাহিনী হয় তবে তো আরও মারাত্নক! এরশাদ-জিয়া কি আমাগো কম পেদানী দিয়েছে?
শুনেছি জিয়া-এরশাদের সেনা শাসনের সময় নাকি কোন যুবকের ষ্টাইল করা লম্বা চুল দেখলে রাস্তাতেই কাটা হতো, শাড়ীর ফাঁক দিয়া নারীর পেট বা চামড়ার ভাঁজ দেখা গেলে, গায়ে আলকাতরা লাগিয়ে দেয়া হতো! আর ফাকিস্তান আমলে তো লুঙ্গি খুইলা হিন্দু-মুসলমান চেক করতো, বিয়া ছাড়াই লাড়েলাপ্পা করতো!
আফগানিস্তানে মানুষের মুখে মার্কিন সেনারদের পেশাপ করা, হিটলার বাহিনীর হিটলারি, বার্মিসদের বুট, থাইদের গুলি, ফিদেল মার্কোস বাহিনীর কান্ডকানা সহ অজস্র ঘটনা তো আমার সাবার জানা!
সেনাবাহিনীর ব্যাপারে বলা সহজ, বিশেষ করে ফেইজবুকে, কিন্তু পরির্বতন করা কঠিন! দেশে দেশে যুগ যায়, জীবন যায় কিন্তা এরা বদলায় না!
বি.দ্রঃ আমার বিশ্ববিদ্যলয়ের প্রিয় বন্ধু ‘মামুন’ ফেইবুকে – সুচি’র তুখোর সমালোচনা করে, সুচির চরিত্রে্র উন্নয়ন ঘটাতে চান। তার পোষ্টের প্রক্ষিতেই এই ছোট লেখাটার জন্ম!