‘সিজোফ্রেনিয়া’- মানসিক রোগটা নিয়ে একটু আধটু জানতাম, বেশী জানতাম না। হাজার বছরের পুরাতন এই রোগের কারণ আজো অজানা!
মানসিক রোগটা নাকি অনেক সাধু-সন্ত, নবী-রসুল, পীর-দরবেশের ছিল। এই তথ্যটি শুনে আমি অবাক হয়েছি, আরো জানার জন্য অতি আগ্রহী হয়েছি।
বাংলাদেশ ও জাপান সহ সারা দুনিয়ায় লক্ষ লক্ষ মানুষ নাকি এই রোগের রোগী। ভাবনায় পড়ে গেছি – নিজে আক্রান্ত কিনা! চিন্তার বিষয়- জ্ঞানের এ মহাজয়ের যুগেও এই রোগটি সঠিক নিরাময়ের পথ আবিস্কৃত হয়নি।
আজ সারাদিন ‘সিজোফ্রেনিয়া’ মানসিক রোগ নিয়ে পড়লাম, আর ভাবলাম। বহু পুরাতন রোগটির রোগটি হলে, প্রধানত মানুষ নিজেকে মহাপুরুষ ভাবতে শুরু করে, গায়েবী আওয়াজ শুনতে পায়, অশরীরি জিনপরী ফেরাস্তা দেখতে শুরু করে। যা বাস্তব জীবনের সাথে সম্পর্কিত নয়। আবোল তাবোল অবাক করা সুবচন বলতে শুরু করে, কেউ কেউ অস্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করে দেয় – যা দ্বারা সাধারণত মানুষ অনেক সময় বিভ্রান্ত হয়, মোজেজা মনেকরে, মহাপুরুষ খেতাব পেয়ে যায়।
আরো মারাত্নক বিষয় – রোগটি হলে রোগী অধিকাংশ সময়ই বুঝতে পারে না, নিজের দৃষ্টিভ্রম, বুঝখ্রম ছাড়া সবারটা ভুল মনে করে, অনেক সময় নিজের অতি বাস্তব ভাবনা, অভিজ্ঞতা সমাজে ও জীবনে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কলহ, ত্রাস, ষড়যন্ত্র এমনকি যুদ্ধ পর্যন্ত করে।
বাংলাদেশে নাকি ১৬ লক্ষের মত মানুষ এই অজানা মানসিক রোগে আক্রান্ত। শিক্ষিত হলে হয়তো রোগী বা পরিবারের লোকজন হয়তো বুঝতে পারে, কিন্তু অশিক্ষতরা- বিশেষ করে গ্রামের মানুষ হলে বেশীর ভাগ সময় বুঝতে পারে না। অস্বাভাবিক ও ভৌতিক আচরণে অনেকে পীর-দরবেশ, ফকির-কবিরাজ, সাধু-সন্ত হিসাবে মান্য হয়। নিজে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে, অন্যকে জড়িত রাখে।
আমি তো যত্রতত্র নিজেকে ফেইসবুকে ‘মহামতি’ বলি, আবোল-তাবোল নানান বিষয়ে কথা বলি। শঙ্কিত হয়ে – আজ গায়ে চিমটি দিয়ে চেক করলাম, আমার স্বঘোষিত মহামতি দাবীটা., আবোল-তাবোল কথাগুলো- ‘সিজোফ্রেনিয়া’ রোগের নিশানা নাতে ? আমার ‘সিজোফ্রেনিয়া’ থাকলেও থাকতে পারে। বঞ্চিত মানুষ, ধাক্কা খেতে খেতে উঠে দাড়িয়েছি। বাবার মৃত্যুর পর ঢাকার বাড়িতে অশরীরের হাঁটাহাটি দেখলেও এখনো জীন-পরী-ফেরেস্তা দেখিনি। কিছুদিন আগে গভীর রাত্র পর্যন্ত কাজ করার পরে – মনে হয়েছিল, ‘কে যেন অন্য কামড়ার দরজার পাশ থেকে আমাকে দেখছে।’ ভয়ে ভয়ে গেলাম, দেখি কেউ নেই। আরো কয়েকটি অভিজ্ঞতা আছে, তবে মোজেজা দেখানোর মত না, ভয়ের না – আনন্দের । যাইহোক আমার মত অদৃশ্যকে দেখা অভিজ্ঞতা হয়তো অনেকের আছে।
‘সিজোফ্রেনিয়া’ নিয়ে, নিজের ভাবনা ও অভিজ্ঞতা দিয়ে একটি ভিডিও বানাবো। সত্ত্বর আমার ইউটিউব চ্যানেল ও ফেইসবুক পেইজে প্রকাশিত হবে। আশাকরি বন্ধুরা দেখবেন ও উপকৃত হবেন।