ভালোবাসা নিয়ে আমার একটি বয়ান আছে! অধিকাংশ মানুষ বিশেষ করে বাংলাদেশে তরুণ-তরুণীরা প্রেম বলতে রুমান্টিকতাকে বুঝাতে চান! বিষয়টি অবশ্য একদিনে হয়নি! এফডিসির চলচ্চিত্রে ও টিভির নাটকের অবিরাম প্রচারনা পাশাপাশি ইংেরজী স্কুল-কলেজ আর বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুেলাতে পড়ালেখার চেয়ে পশ্চিমা সংস্কৃতির গুণগান ফল আজ গাছে ধরেছে। কষ্টের কথা হিন্দি সিনেমা আর সিরিয়াল গুেলা আজ আজ আমাদের রুমান্টিকতাকেও বদলে দিয়েছে! আবেগ থেকে তাও যেন শরীরে এসে ছুইতে চায়! প্রেমিক প্রেমিকা গন নিজেদেরকে একজন-আরেকজনের পরিবর্তে ‘বয়ফ্রেন্ড – গার্লফ্রেন্ড’ বলতে আনন্দিত হয়। সস্পকর্ ধরে রাখার চেয়ে ভেঙ্গে নতুন সস্পকর্ গড়ার্ই যেন বিজয়ের নিশানা …যাইেহাক দীর্ঘদিন গবেষনা করে আমি সিদ্ধান্তে পৌছেছি – প্রকৃত ভােলাবাসা ৪ প্রকার
১.পিতামাতা ভালোবাসা ( স্রষ্টাপ্রেমের সমরুপ ),২. সন্তানের ভালোবাসা ৩. ভাইবোনের ভালোবাসা (যা পরবর্তিতে সংসার জীবনে সস্পকে নির্ধারণ করে). ৪. রুমান্টিক ভালোবাসা (সুখী দাম্পত্য জীবনই লক্ষ্য)। অনেকে হয়তো মনে করতে পারে ‘দেশপ্রেম’ (সমাজ সেবা )এর মতো গুরুত্বপূর্ন ভালোবাসা গেল কোথায়? আমি বলব – যারা পরিবারে ভালাবাসা চচ্চা করতে পারে না, তারা সমাজেও করতে পারে না! সমাজ বা দেশ পরিবারের একটি বৃহৎ রুপ ! পারিবারিক জীবনে যারা যেমন ভালোবাসা-সম্পর্ক চচ্চা করেন, সামাজিক-রাষ্ট্রীয় জীবনেও তেমনটা করেন! একজনের পারিবারিক সম্পর্কগুলো দেখে সামাজিকজীবন যাপন বুঝা যায, সামাজিক জীবন দেখে তার পরিবারের রুপও বুঝা যায়।…বিষয়টি গুরুত্বহীন মনে হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ন। আজই, এখনই আমাদের সর্তক হওয়া দরকার! পরিবার কেন্দ্রিক ভােলাবাসাই আমাদের মুক্তি দিতে পারে , জীবনের সকল ক্ষেত্রে শান্তি আনতে পারে। …( স্রষ্টাকেন্দ্রক পৃথিবীও একটি পরিবার! যেখানে আমরা সবাই ভাইেবান! …)