ইন্টারনেটের থেকে কেনা ৫ দিন পর আজ আমি আমার পিসি চশমাটি পেলাম! গত ১৫ বছর একটানা কম্পিউটারের সাথে বাস করতে করতে আমার চোখের দূগতর্ি হয়েছে, আমি বুঝতেই পারিনি! অসুখকে তোয়াক্কা না করা আমার স্বভাব। গত কয়েক বছর যাবৎ আমি সব সময় কম্পিউটার ব্যবহারের সময় চোখ ছোট করে রাখি ! মিসুজু সান বার বার বলে, আপনার চোখের সমস্যা আছে। আমি বলি, "নাই! আমার কোন রোগ নাই! রোগ হবেও না! যেদিন হবে সেদিন আমি মরে যাবো! মরনই আমার একমাত্র রোগ!" এমন দৃঢ়তায় মিসুজু চুপ হয়ে যা! আসলেই তাই, ১০ বছরের আমাদের সংসার জীবনে, আমি একদিনের জন্যও অসুস্থ হয়নি! অবশেষে মিসুজুসানের অনেক পিড়াপিড়িতে চোখ পরীক্ষার জন্য সাদো সরকারী হাসপাতালে গেলাম। ছোট শহরের বড় হাসপাতাল দেথে তো আমি হতবাক! স্থানীয় এই হাসপাতাল , অথচ আমাদের ধনী স্কয়ার হাসপাতের চেয়ে সুন্দুর, পরিপাটি ! আরো সুন্দর ডাক্তার নাসর্দের ব্যবহার আর যত্ন করে রেগী দেখা! সরকারী হাসপাতাল হলেও, জাপানে চিকিৎসার জন্য টাকা দিতে হয়। তবে স্বাস্থ্যবীমা থাকার কারনে ৭০ শতাংশ পেয়েছি।
ডাক্তার আর সেবিকা প্রায় এক ঘন্টা নানান ভাবে , নানান যন্ত্র আর কম্পিউটারের মাধ্যমে চোখ পরীক্ষার পরও কোন ক্রটি পেলেন না। আমি তো মহা খুশী, "যাক! আমার যে রোগ হয় না, তার প্রমান হিসাবে আরেকটি যুক্তি দাঁড় করানো যাবে।" সবশেষে, সন্দুরী নাসর্ হেসে, একটি কম্পিউটার স্ক্রিন ও কীবোডর্ের লেখা পড়তে বললেন। সবলেখা পড়তে পারলাম না! দেখি, আমি ছোট ছোট অক্ষর গুলো একেবারেই পড়তে পারছি না! একটি নমুনা চশমা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে, সব লেখা স্পষ্ট পড়তে পারলাম! বুঝলাম – আসলেই চোখের সমস্যা আছে।
এরপর চশমা কেনার পালা! সরাসরি দোকানে গিয়ে চশমা কেনা ঝামেলার , তাছাড়া দামও দ্বিগুনের বেশী । তাই বাপ-বেটা এক সঙ্গে ইন্টারনেটে বসে পড়লাম, চশমা বাছাই করতে । ( ই-কমাসর্ সাইটটির ঠিকানা http://www.zoff.co.jp ) হাজারো রকমের চশমা থেকে কোনটা রেখে কোনটা কিনি, বিরম্বনায় পড়ে গেলাম। অবশেষে , একটি সফটওয়ার দিযে পছন্দের অনেকগুলো ওয়েব কেমের মাধ্যমে পড়ে পড়ে যাচাই করলাম। ( আপনারাও এই সফটওয়ারের মাধ্যমে ডিজিটাইলি চশমা পড়তে পারেন http://www.zoff.co.jp/mirror/ ) দাম ও চেহারার সঙ্গে মানান সই এখন যেটা পড়ে আছি সেটা কিনলাম! সবচেয়ে সুখের খবর – চশমাটি ব্লু-লাইট প্রটেক্টর থাকার কারনে – মনিটর থেকে আর ক্ষতিকর রশ্মি চোখে আসতে পারবে না!