বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার রেজাল্ট টা মনের মত না হওযার কারণ এতদিন পর বুঝলাম। বিজ্ঞানের পোলা, বিজ্ঞান রাইখা সাহিত্য সাহিত্য করলে কি চলে? কিন্ত আমি করেছিলাম টানা ১০ বছর ( ১৯৯০-২০০০) । স্যারদের কথা শুনতাম না । জিওলজিকে সাহিত্যের চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ ও সহজ মনে করতাম! আসলে তা নয়।
খারাপ হোক ভালো হোক পুরাতন লেখাগুলো পড়ে নিজের ধৈয্যের প্রশংসা নিজেই করছি। শত ব্যস্ততাতেও এত লেখা লিখলাম কিভাবে?
গতবার মুক্তগাছা থেকে হারিয়ে পান্ডুলিপির পুরাতন বইয়ের সাথে পেয়েছিলাম। অনেকগুলা হারিয়ে গেছে! যেগুলো পেয়েছিলাম, সেগুলো নিয়ে এসেছিলাম। মাত্র ১০০ পৃষ্টা টাইম হলো। আরে ৫০০-৭০০ পৃষ্টা বাকি ।
অতীত রুমান্থন, ভাবনার আয়োজন আর টাইপের কষ্টে তো আমার জান যায় যায় অবস্থা! হাসছি, মাঝে মাঝে কাঁদছি, পড়ছি আর ফেলছি। হৃদয়কাড়া গুলো টা্ইপ করছি- ‘হারিয়ে যাওয়া পান্ডুলিপি’ নামে গল্পগ্রন্থ প্রকাশে ইচ্ছায়।
এখন থেকে প্রতিবছর অন্ততঃ ২টা বই প্রকাশের ইচ্ছা আছে। আবার লেখালেখার যাত্রা শুরু হলো! শেষ চেষ্টা করি- দেখি না কি হয়!