সোনালি ধানে ভরে আছে মাঠ! জাপানে এখন নবান্ন চলছে। ধান কাটা, মাড়াই ও প্যাকেট পর্যন্ত হয় ক্ষেতেই। এখানে গরু-মহিষের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয় ধান-কাটার মেশিন, ট্যাক্টর । বাংলাদেশের মত এখানে অনেক মানুষ এক সঙ্গে ধান কাটে না, এত উৎসব মুখুর হয় না। প্রতি ক্ষেতে ১-২ জনেই সব কাজই পরিপাটি ভাবে দ্রুত শেষ করে ফেলে।
বাংলার চাষীরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, কতই না কষ্ট করে! গান গাইতে গাইতে ধানকাটে, মাড়াই করে, আর ফল যায় জমির মালিকের (জমিদারের) ঘরে ! জাপানে প্রায় সব লাভই থাকে কৃষকের ঘরে। মাঝে মাঝে অবশ্য কোম্পানীর ঘরে যায়, তবে স্বীকৃত ন্যায্যতা আছে।
অবাকের বিষয় – যে সুন্দরীকে গতকাল কফি হাউজে বসে আড্ডা দিতে দেখে, মডেল মনে করে ভুল করেছি। তাকে ক্ষেতে কাস্তে হাতে কৃষানীর পোষাকে কাজে দেখে, আমি তো হতবাক। এখানে ১০০ ভাগ নারী-পুরুষ শিক্ষিত, সচেতন ও অধিকারে পুষ্ট। শিক্ষার নামে, কাজে ও সম্পকর্ে শ্রেণী নাই বললেই চলে। নারী-পুরুষের মাঝে লিঙ্গের ব্যবধান তাছাড়া তেমন পাথর্ক্য নাই । সবাই সব কাজ করে । পাপ্য মযর্াদা পায়। বাংলাদেশের নারীদের মত এখানেও নারীরা, পুরুষের তুলনা বেশী কাজ করে । বাংলাদেশের নারীরা সারাদিন গৃহস্থলীর কাজ করার পরও স্বীকৃতি পায় না, নিজের টাকা থাকে না, কিন্তু জাপানে থাকে । নারীর ওয়ালেটে টাকা থাকে বলে, ধমর্ ও আইনের কাছে সমান গণ্য বলে – পুরুষের ভাড়ামী তেমন পাত্তা পায় না। নারীরাও পুরুষের মত সমান শক্তি দেখাতে পারে, নিজের পছন্দ মত বাজার করে, কফি খায়, আনন্দ করে ও স্বাধীনতা ভোগ করে সম্মানের সাথে।