আজ পিতা-পুত্র পিকনিকে গিয়েছিলাম! ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে পিতা বা মাতাকে যেতে হয় বলে – এটা আমার দশম অভিজ্ঞতা! বাংলাদেশের মত জাপানের স্কুলগুলোও পিকনিকের আয়োজন করা হয়। তবে এটাকে ‘বনভোজন’ না বলে ‘পাকর্ ভোজন’ বলা যেতে পারে । এখানে বাস চলার সময় – বিকট শব্দে সিনেমার গান বাজানো হয় না , তবে বাসের রূপসী এসিটেন্ট মজার মজার গল্প বলে – শিক্ষকতা জাহির করেন। শিক্ষাথর্ীরা হাসতে হাসতে পেট ফুলিয়ে ফেলে, আর আনন্দের সঙ্গে শিখে! এখানকার পিকনিকের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল – বাড়ী থেকে নিজের খাবার নিয়ে আসতে হবে! বনে বা পাকর্ে রান্না-বান্না করে সময় ও পরিবেশ নষ্ট করা যাবে না! একটি ময়লাও ফেলানো যাবে না – যেভাবে বাড়ী থেকে প্যাকেট আনা হয়েছে সেভাবেই নিতে হবে। রান্না-বান্নার ব্যবস্থা নেই বলে – খাবার নিয়ে ঝগড়া-ঝাটি ও অভিযোগ নেই । শিক্ষার্থীরা সবাই মিলে পরিবেশ থেকে প্রাণখুলে শিখে , খেলে, উল্লাস করে এবং একসাথে রসনাবিলাস করে! জাপানী পিকনিকের আরেকটি বৈশিষ্ট্য আমার ভাল লাগে – শিক্ষাথর্ীরা প্রতি ঋতুতে অথর্াৎ বৎসরে অন্ততঃ চার ঋতুতে চার বার পিকনিকে যায়! যেখানে বাংলাদেশের রীতি শুধু বৎসরে একবার! স্কুলগুলো পিকনিকের আয়োজন করে – ঋতু আর পরিবেশের পরিবতর্নের সঙ্গে পরিচয়ের পাশাপাশি বন্ধুদের পিতা-মাতা-স্বজনদের সঙ্গে ঘনিষ্টতা তৈরী করার জন্য। শিক্ষাথর্ীদেরকে সামাজিকতায় দক্ষ করে তোলার জন্য।
বনভোজন নয়, পার্কভোজন!
May 20, 2015