ঈদ মোবারক! Eid Mubarak!

‘ফসল ভরা ক্ষেত’, পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ‍্যের একটি!
( ‘Crop field’ is one of the most beautiful landscape of the planet. )

এবারের ঈদটা জাপানেই করতে হলো। অনেক ইচ্ছে ছিল বাংলাদেশে করার, যেতে পারলাম না । নসিবে নাই!

 বাংলাদেশ ও জাপান একই এশিয়ার হলেও, ঈদ ও ধর্ম পালনে ভিন্ন দৃশ‍্য। এখানে কোন ধর্মের ভিত্তিতে সরকারী ছুটি নাই। কোরবানি ও বলি নাই! স্বাস্থ‍্য ও পরিবেবেশের বৈজ্ঞানিক নিয়ম মান‍্য করে গরু-ছাগল জবাই করতে হয়। হত‍্যা তো পরের কথা, যত্রতত্র পালনেরও অনুমতি নাই। পশু পালনের জন‍্য বিশেষ খামার ও সেইফটি লাইসেন্স লাগে।

 আল্লাহ বা খামিসামা ( জাপানিরা স্রষ্টাকে খামিসামা বলে ) যার নামেই কোরবানি করেন না কেন, নিদ্দিষ্ট স্থানে জবাই করতে হবে। পরিবেশের দুষন হলে- তৎক্ষনাৎ জরিমানা! রাজা-বাদশাহ-মন্ত্রী-এমপি যেই হোক, তাকে আইন ও নিয়ম মানতেই হবে। ক্ষমতার দাপট-তাদবীর-মওকুফ-মাস্তানির কোন সুযোগ নাই। স্বর্গে যাওয়ার জন‍্য পারাপারি-ধরাধরি-বাহাদূরী নাই। ঘুষ-দূনীতি, চুরি-চামারি করে, অন‍্যের সম্পদ-সুযোগ ও সম্ভাবনা হরন করে, নিজের পশুত্ব বজায় রেখে বড়বড় পশু কোরবানির রীতি, ধর্মনীতি জাপানিরা বুঝে না!

জটিলতার কারণে প্রতিবারের মতো মায়ের মাধ‍্যমে এবারও মুক্তাগাছায় কোরবানি দিয়েছি।

মুসলমানের সংখ‍্যা জাপানে ১ পারসেন্টেরও কম! মসজিদ-ঈদগাহ না থাকার কারণে কুলাকুলি করতে পারিনি ।
 
পুত্র-কন‍্যার সঙ্গে বেড়াতে গিয়েছিলাম । হ‍্যান্ডমেইড মাজদার রুটি কিনেছি। পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর দৃশ‍্য ‘ফসল ভরা ধান ক্ষেত’ দেখেছি, ছেলে-মেয়ের সঙ্গে আনন্দ করেছি, ছবি তোলেছি।
 
পথে বন্ধুর বাসায় গিয়েছিলাম। কয়েকটা উপহার দিয়েছে। উপহার গুলো পেয়ে ঈদের ফূর্তি লাগছে।
 
মায়ের সঙ্গে ফোন কথা হয়েছে। বিনা তারের ফোনে মাংসে গন্ধ ও স্বাদ নেয়ার চেষ্টা করেছি কয়েকবার।
 
—————
ফটো ক্রেডিট // আমার কন‍্যা, আনিকা/ নিভো
September 2, 2017